দেশে ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদে সাড়ে চার লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নির্ধারণ করেছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স ব্রান্ড কোম্পানি ওয়ালটন।
কর্তৃপক্ষের মতে, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা বৃদ্ধি, পণ্যে মান বৃদ্ধি এবং সাশ্রয়ী মূল্য হওয়ায় ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি দিন দিন বাড়ছে। কোরবানির গোসত সংরক্ষণের জন্য বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজের বিক্রি বাড়ে। তাই বাড়তি চাহিদা মেটাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ওয়ালটন। এজন্য কারখানায় উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ছয় থেকে সাত হাজার ফ্রিজ। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত যানবাহন।
চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১ শতাংশ ফ্রিজ বেশি বিক্রি করেছে ওয়ালটন। আবার গত বছরের শুধু জুলাই মাসের তুলনায় এবছর জুলাই মাসে বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৮৯ শতাংশ।
ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার সংযোজনের ফলে বিক্রি বেড়েছে নো ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরের। বিশেষ করে ওয়ালটনের ৪৩০ লিটার, ৩৬৫ লিটার, ৩৪৮ লিটার, ৩২০ লিটার, ২৬৫ লিটার, ২৪৪ লিটার, ২৯৫ লিটার ও ২৫৪ লিটার ধারণক্ষমতার ফ্রিজগুলোর চাহিদা বেশি। তিন দরজা বিশিষ্ট ৫২৬ লিটারের ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজটি মন কেড়েছে সৌখিন ক্রেতাদের।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (প্লাজা সেলস ও ডেভলপমেন্ট) এবং বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানি ঈদের আগে ফ্রিজের ব্যাপক চাহিদা দেখা যায়। সেজন্য তারা রোজার পরপরই উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন পরিকল্পনা তৈরি করেছি। আশা করছি, ঈদকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ বাজারে ফ্রিজের যে বাড়তি চাহিদা তৈরি হবে তার সিংহভাগ ওয়ালটন মেটাতে পারবে।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, ওয়ালটনের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা বেড়েছে। নির্ভরতা বেড়েছে। তাদের বিশ্বাস জন্মেছে যে, আমদানি করা ফ্রিজের তুলনায় দেশে তৈরি ওয়ালটন অনেক উচ্চমানের, দামেও সাশ্রয়ী। ধারণা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা আরও বাড়বে।
/এসএনএইচ/