X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

লোকসান গুনছে সরকারের যে ছয় শীর্ষ প্রতিষ্ঠান

গোলাম মওলা
২৪ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:০১আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০১৬, ০৩:১৭

সরকারের লোকসানি শীর্ষ ছয় প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে সরকারি মালিকাধীন শীর্ষ ছয় প্রতিষ্ঠান। ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অদক্ষতা, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ছয় প্রতিষ্ঠান লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি বলে মনে করছেন কয়েকজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ। তাদের মতে,  এই ছয়টি প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর লোকসান গুনতে গুনতে রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর লোকসান গুনতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত শীর্ষ ছয় প্রতিষ্ঠান হলো—(১) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন—বিএসএফআইসি, (২) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন—বিপিসি, (৩) বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন—বিটিএমসি, (৪) বাংলাদেশ পাটকল সংস্থা—বিজেএমসি, (৫) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন—বিআরটিসি ও (৬) বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড—বিপিডিবি। এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণ এক লাখ হাজার কোটি টাকারও বেশি বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সরকারের লোকসানি ছয় প্রতিষ্ঠানের একটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি)। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, লোকসানের পাল্লা বছর বছর কম-বেশি হলেও  গত ৩০ বছরে একবারও এই প্রতিষ্ঠানটি লাভের মুখ দেখেনি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, তৎকালীন বাংলাদেশ বস্ত্র শিল্প করপোরেশন (বাবশিক) স্বাধীনতার পর থেকেই লোকসান গুনছে। তবে একবার ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে মাত্র ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা লাভ করেছিল। এরপর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একবারও লাভ দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। গত অর্থবছরে এটি লোকসান দিয়েছে ৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি লোকসান করেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

জানা গেছে, ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে বিটিএমসি লোকসান দিয়েছে ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। পরের অর্থবছর লোকসান করেছে ২৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। একইভাবে ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছরে লোকসান হয়েছে ৩৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এছাড়া ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিটিএমসি লোকসান দিয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ শিল্প প্রতিষ্ঠান (রাষ্ট্রীয়করণ) আদেশের ১০ নং অনুচ্ছেদের আওতায় (১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ নং-২৭)  বিটিএমসি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭২ সালের ১ জুলাই থেকে জাতীয়করণকৃত ৭৪টি মিল নিয়ে বিটিএমসি তার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বিটিএমসি আরও ১২টি মিল স্থাপন করার পর এর মোট মিল সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৬টি। সরকারের বিরাষ্ট্রীয়করণ ও ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর নীতির আওতায় ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৬৫টি মিল হস্তান্তর, বিক্রি ও অবসায়ন করা হয়েছে।

বিটিএমসির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিরাষ্ট্রীয়করণ ও ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর নীতির আগে বাংলাদেশের সুতা ও কাপড় বাজারে বিটিএমসি একচেটিয়া ব্যবসা করত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিটিএমসির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকা সুতা উৎপাদনকারী ১৮টি টেক্সটাইল মিলের মধ্যে বর্তমানে ১২টিই বন্ধ। আর সচল মিলগুলোও চলছে খুঁড়িয়ে-খুঁড়িয়ে। যদিও লোকসান গুনতে থাকা প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক করতে গত কয়েক বছর ধরেই বস্ত্রপল্লি নির্মাণসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে মামলা আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সবই আটকে আছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের চিত্তরঞ্জন কটন মিল এবং খুলনা টেক্সটাইলের বস্ত্রপল্লি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বিটিএমসি।

এ প্রসঙ্গে বিটিএমসির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে থাকা ১৮টি মিলের মধ্যে সচল আছে ৬টি। এর মধ্যে চারটি সংস্থার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সেবা-মাশুলের (সার্ভিস চার্জ) ভিত্তিতে চলছে। আরও ৩টি মিল সার্ভিস চার্জ ও বিএমআরই এর আওতায় পুনঃচালুকরণের চেষ্টা চলছে। ’

জানা গেছে, সচল মিলের মধ্যে সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল সম্প্রতি লাভের মুখ দেখেছে। বাকি তিনটি বেঙ্গল, আমিন ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিল লোকসান দিয়েই চলছে। ভাড়ায় চলছে রাজধানী ডেমরার আহমেদ বাওয়ানি টেক্সটাইল। মিলগুলোতে বর্তমানে হাজার দেড়েক শ্রমিক দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিটিএমসির নিজস্ব কোনও বিপণনব্যবস্থা নেই। ব্যবসায়ীরা তুলা কিনে সুতা তৈরির কার্যাদেশ দিলেই কেবল মিলের চাকা ঘোরে। অন্যথায় বন্ধ থাকে। 

লোকসান দেওয়ার তালিকায় কেবল বিটিএমসি নয়, বছরের পর বছর লোকসান করে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের পর অর্থনৈতিক শূন্যতা পূরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধকালে দেশ ছেড়ে যাওয়া উদ্যোক্তাদের শিল্প-কারখানাগুলো জাতীয়করণ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনও চালু রাখা হয়। ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ নীতির মাধ্যমে পাট, বস্ত্র, রসায়নসহ প্রধান প্রধান মৌলিক শিল্প, ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রমালিকানায় নেওয়া হলে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অদক্ষতা, দুর্নীতি ও পরবর্তীকালে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সরকারি মালিকানায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক হয়ে উঠতে পারেনি।  

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বছরের পর বছর শীর্ষ লোকসানি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। গত অর্থ বছরে বিপিডিবি লোকসান গুনেছে ৬ হাজার ২৩৩ কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ। সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য মতে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি লোকসান দিয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯০ সালের পর থেকে কেবল ২০০২ সালে একবার মুনাফা করেছিল ১৭৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

লোকসান দেওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম তৎকালীন বাংলাদেশ পাটকল সংস্থা (বিজেএমসি)। স্বাধীনতার পর থেকে এই সংস্থাটিও অব্যাহতভাবে লোকসান দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে সংস্থাটি লোকসান করে ১৪৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে লোকসান করে ১৫৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এই সংস্থাটি বর্তমানে বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) হিসেবে পরিচিত। ২০১০-১১ অর্থবছরে একবার লাভের মুখ দেখলেও অব্যাহতভাবে লোকসান দিয়েই চলেছে এটি। চলতি অর্থবছরেও প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের পরিমাণ ৫৮৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি লোকসান করেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

বিজেএমসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিজেএমসি বর্তমানে লোকসানি প্রতিষ্ঠান হলেও এক সময়ে দেশের পাটকল নিয়ে গর্ব করা হতো। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের শীতলক্ষ্যার তীরে ২৯৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিল্‌স। আদমজীকে এক সময় বলা হতো প্রাচ্যের ডান্ডি (স্কটল্যান্ডের ডান্ডির নামানুসারে)। এটি ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ২য় পাট কল (প্রথমটি হলো বাওয়া পাট কল)। পরবর্তীকালে ষাট ও সত্তরের  দশকে দেশে অসংখ্য পাটকল স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার আগে এই মিলের উৎপাদন থেকে বছরে ৬০ কোটি টাকা আয় হতো। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এটিকে জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে ১৯৮০ এর দশকের কয়েক বছর বাদ দিয়ে অন্য সব বছর এটি বিপুল পরিমাণে লোকসান দেয়। ২০০২ সালের ২২ জুন এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লোকসান থেকে মুনাফায় ফেরাতে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে সরকারি পাটকলগুলো। প্রাথমিকভাবে ৩টি পাটকল আধুনিকায়নের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন পাটনীতি করছে সরকার। 

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের আমিন জুটমিল, ঢাকার করিম জুটমিল ও খুলনার প্লাটিনাম জুটমিল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই ৩টি পাটকল আধুনিকায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি চীন সরকারের মালিকানাধীন ‘চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনে’র সঙ্গে চুক্তি করেছে বিজেএমসি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, বিটিএমসি ও বিজেএমসির মতো ১৯৯০ সাল থেকে অব্যাহতভাবে লোকসান করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। টানা ২৫ বছরে একবারের জন্যও লাভের মুখ দেখেনি এই প্রতিষ্ঠানটিও। গত অর্থবছরে এটি লোকসান দিয়েছে ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি মোট লোকসান করেছে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এছাড়া বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) প্রায় প্রতি বছরই মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান দিয়ে আসছে। গত অর্থবছরেই বিএসএফআইসি লোকসান করেছে ৪৬২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ১৯৯০ সালের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কয়েকবার লাভের মুখ দেখলেও ২৫ বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের মধ্যে সততা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা না থাকার কারণে বছরের পর বছর এই সব প্রতিষ্ঠান লোকসান দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত এই সব লোকসানি প্রতিষ্ঠান কমিয়ে আনা। তা না হলে অর্থনীতির জন্য এক ধরনের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।’ এক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারিকরণ করা যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জানা গেছে, দেশের বসরকারি চিনিকলগুলো মুনাফা করলেও বছরের পর বছর লোকসান গুনছে সরকারি ১৫টি চিনিকল। চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, শ্যামপুর এবং জিলবাংলা সুগার মিলের পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১১ কোটি টাকা। অথচ এই দুই কোম্পানির পুঞ্জিভূত লোকসান ৪৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সরকারি দুই চিনি কল কোম্পানির মূলধনের চেয়ে লোকসান ৪৪ গুণ। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ২২৭ কোটি টাকা, যা মূলধনের চেয়ে ২১ গুণ বেশি। অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে প্রতিষ্ঠান দুটি দেউলিয়া। এ কোম্পানি দুটি ১০ বছরেও বিনিয়োগকারীদের কোনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বেসরকারি কোম্পানির সিন্ডিকেট ভেঙে সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে চিনি বিক্রি করতে এসব প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিল সরকার। কিন্তু সরকারের ওই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, লোকসানি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)ও। দীর্ঘদিন লোকসান দেওয়ার পর গত দুই বছর ধরে মুনাফা করতে শুরু করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য নব্বইয়ের  দশকেও এটি লাভজনক হিসেবে পরিচিত ছিল। অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে বিপিসি একাই লোকসান দিয়েছে ১১ হাজার ৩৭১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। তার আগের বছর লোকসান দিয়েছে ৮ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। গত দুই অর্থবছরে ১৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা মুনাফা করলেও প্রতিষ্ঠানটি গত ২০ বছরে (১৯৯৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত) লোকসান দিয়েছে ৩৫ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জালাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাভজনক করার জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেবে। এ সব প্রতিষ্ঠানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় এ ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই। তবে বাজেটে এ সব প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু করার থাকলে তখন করে।’

আরও পড়ুন: শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিলো কর্ণফুলি সারকারখানা

/এমএনএইচ/

 

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হৃদরোগ বিভাগে ছারপোকার রাজত্ব, হাসপাতাল পরিচালক দুষছেন রোগীদের
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালহৃদরোগ বিভাগে ছারপোকার রাজত্ব, হাসপাতাল পরিচালক দুষছেন রোগীদের
‘মডার্ন মেট্রোপলিস’ থিমে ঈদ সংগ্রহ এনেছে ঢেউ
‘মডার্ন মেট্রোপলিস’ থিমে ঈদ সংগ্রহ এনেছে ঢেউ
কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
কাপাসিয়ায় গরু চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কবে সমন্বয় করবে রাজউক?
বহুতল ভবনের সংজ্ঞাফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কবে সমন্বয় করবে রাজউক?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়