জাপানের অর্থায়নে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর ওপর কালনা সেতুসহ দেশের অন্যান্য সড়কে সতেরটি সেতু, একটি টোল প্লাজা এবং দুটি এক্সেল লোড স্টেশন নির্মিত হতে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে সোমবার সেতু ভবনে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর লিড পার্টনার ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস গ্লোবাল কোম্পানি লিমিটেড, ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্টস কোম্পানি লিমিটেড ও প্যাডকো কোম্পানি লিমিটেড এর দলনেতা আসুশি নিশিমুরা এবং মহাব্যবস্থাপক রুহি ঈশি নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক, সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. আহমেদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের বলেন, সতেরটি সেতুর মধ্যে বেনাপোল-মাদারীপুর সড়কে পাঁচটি সেতু, বারৈয়ারহাট-রামগড় সড়কে আটটি সেতু এবং কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে নির্মাণ করা হবে চারটি সেতু। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাপানে অর্থ সহায়তা থাকছে প্রায় এক হাজার নয়’শ কোটি টাকা।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর পুরোপুরি সুবিধা কাজে লাগাতে হলে আমাদের এশিয়ান হাইওয়ের মধুমতি নদীর ওপর মিসিং লিংক কালনা সেতুও নির্মাণ করতে হবে। চার কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কসহ সাত’শ মিটার দীর্ঘ চারলেনের কালনা সেতু নির্মাণে প্রায় ছয়শত বাহাত্তর কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে তিনি জানান।
ডিজাইনসহ অন্যান্য প্রস্ততি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করে আগামী মার্চে কালনা সেতুর মূল কাজ শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে এসময় মন্ত্রী জানান।
উল্লেখ্য, ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুইশত ছত্রিশ কোটি টাকা চুক্তিমূল্যে নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো সতেরটি সেতু ও সাতটি কালভার্ট, একটি টোলপ্লাজা এবং দুটি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশনের নকশা তৈরি এবং নির্মাণকাজ তদারক করবে।
এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী সহযোগী পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে স্ম্যাক ইন্টারন্যাশনাল পিটিওয়াই লিমিটেড, জাপান ব্রিজ এন্ড স্ট্র্যাকচার ইন্সটিটিউট ইন-কর্পোরেশন, এসিই কনসালটেন্টস্ লিমিটেড, ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টস্ লিমিটেড এবং বিসিএল এসোসিয়েটস্ লিমিটেড।
/এসআই/