পায়রা বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণ ও তীর রক্ষা বাঁধ ও আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে স্থাপনা নির্মাণে চীনের দুটি কোম্পানির সঙ্গে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের তিনটি সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমওইউতে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর সাইদুর রহমান এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষে যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএল জেং নান হাই এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক লি সুজি যান। এসময় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের নৌমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্ন। এ বছর ১৩ আগস্ট এই বন্দরের অপারেটিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৮টি জাহাজ এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্য খালাস করেছে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৭ কোটি টাকা।’ তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যে এই বন্দরের টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বন্দরের মূল অবকাঠামোর মধ্যে রয়েছে সংযোগ ব্রিজ, রাস্তা, বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যক অবকাঠামোসহ পয়ঃনিষ্কাশন, জল নিষ্কাশন, আন্তঃসড়ক সংযোগ ও রেল যোগাযোগ ইত্যাদি।
চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি) বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের কাজটি করবে। নদীর তীর রক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্যা প্রতিরোধ ও ভূমি ক্ষয়রোধ ইত্যাদি প্রতিরোধ করা সুদৃঢ় হবে। নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ও আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের স্থাপনা নির্মাণ করবে সিএসসিইসি। এই তিনটি উন্নয়ন কম্পোনেন্ট জিটুজি এর আওতায় বাস্তাবায়িত হবে।
উল্লেখ্য, পায়রা বন্দরে মূল কম্পোনেন্ট এর সংখ্যা ১৯টি। এর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বাস্তাবায়ন করবে ৯টি।
- গাইবান্ধার সাঁওতালরা এখনও ৭০০ একর জমির মালিক!
- ‘নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল’ সেবা চালু নিয়ে জটিলতা বাড়ছেই
/এসআই/এমডিপি/আপ-এমও/