চীনে অনুষ্ঠিত ক্যান্টন ফেয়ারে বিশ্বক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে ওয়ালটন। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটন পণ্য আমদানি এবং কম্প্রেসার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ ক্রয়ের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
চীনের গুয়াংজু শহরে চলছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় পণ্যমেলা হিসেবে পরিচিত ক্যান্টন ফেয়ার। ৫ দিনের মেলা শেষ হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। মেলার ৬০ বছরের ইতিহাসে এবছরই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ।
ফেয়ারের আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের দৃষ্টিনন্দন মেগা প্যাভিলিয়ন। ফলে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারি, আমদানিকারক ও ক্রেতা সাধারণের দৃষ্টি কাড়ছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য। প্রশংসিত হচ্ছে চীনসহ বিশ্বের দু’শরও বেশি দেশের ক্রেতাদের কাছে। মিলছে রফতানি আদেশও।
জানা গেছে, ওয়ালটনের প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়াসহ গুণগতমান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রেতারা। বিশেষ করে পণ্যের নিখুঁত ফিনিশিং, সাশ্রয়ী মূল্য এবং ব্যতিক্রমী ডিজাইন তাদের মন কেড়েছে। লেবানন, ইন্দোনেশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কয়েকজন বড় বড় ব্যবসায়ী ইতোমধ্যে ওয়ালটন পণ্য আমদানির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। অনেকেই আবার বাংলাদেশে ওয়ালটন ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
লেবাননের মোহাম্মদ অ্যান্ড আলী মোবারক প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী আলী মোবারক মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে সাজানো রফতানি মানসম্পন্ন ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ দেখে মুগ্ধ হন। এরইমধ্যে ওয়ালটনের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ নেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেছেন তিনি। আলী মোবারক জানান, ওয়ালটনের ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজগুলো লেবাননের আবহাওয়া উপযোগী। দামও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ লেবাননের বাজারে অতি অল্প সময়েই শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম বলেন, ক্রেতারা প্রধানত দেখছেন কার পণ্যের মান কত ভালো, সেটা কত কম দামে কেনা যাচ্ছে। এই বিষয়টিই আশা জাগাচ্ছে ওয়ালটনকে। কারণ পণ্যের মাথাপিছু উৎপাদন মূল্যে অনেকটাই এগিয়ে আছে ওয়ালটন। মান নিয়েও ক্রেতারা সন্তুষ্ট।
/এসএনএইচ/