স্বল্পমেয়াদি বিদেশি কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক গ্যারান্টির শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে (বায়ার্স ক্রেডিট) ব্যাংক গ্যারান্টির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনও অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলো আমদানিকারকের নিজস্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে ১৮০ দিন পর্যন্ত বায়ার্স ক্রেডিটে গ্যারান্টি দিতে পারবে। সোমবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
এর আগে যেকোনও ধরনের ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগতো। পরিপত্রে বলা হয়েছে, স্বল্পমেয়াদে শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইআইটিএফসি) অনুকূলে ব্যাংকগুলো গ্যারান্টি ইস্যু করতে পারবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনও অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে ব্যাংককে অবশ্যই ঋণ নিয়ম-নীতি যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। সেক্ষেত্রে একক গ্রাহক ঋণসীমা কোনও অবস্থায় অতিক্রম করে অর্থায়ন করা যাবে না।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের বায়ার্স ক্রেডিটের তথ্য চাইলে ব্যাংকগুলোকে আমদানির বিল অব এন্ট্রিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, বায়ার্স ক্রেডিট হচ্ছে দেশের আমদানিকারকের বিদেশি কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া ঋণ। দেশের কোনও আমদানিকারক মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানি করতে আমদানিকারক স্থানীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সাপেক্ষে বিদেশি কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ওই পণ্য আমদানি করতে পারেন। এক্ষেত্রে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ।
বিদেশের অনেক ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এ ধরনের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তাব করে।
জানা গেছে, জেপি মরগান, আইএফসি, আইডিবি, এইচএসবিসি, স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকসক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আমদানিকারকদের বায়ার্স ক্রেডিট দিচ্ছে।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বায়ার্স ক্রেডিট গ্রহণের ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন থেকে দেশের উদ্যোক্তারা মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ইত্যাদি আমদানিতে এই ঋণ নিয়ে আসছেন।