সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ও লেনদেন গত কার্যদিবসের চেয়ে বেড়ে শেষ হয়েছে এদিনের লেনদেন কার্যক্রম। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়েছে এবং সিএসইর প্রধান সূচক ২১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়েছে।
এদিন উভয় পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৬৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫৫৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
ডিএসই ও সিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই
এদিন ডিএসইতে টাকার অঙ্কে মোট লেনদেন হয়েছে ৬০০ কোটি ৭১ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৫২৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৯ পয়েন্টে, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩২৯ পয়েন্টে এবং ১০ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে ডিএসই-৩০ সূচক দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৭২টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।
এছাড়া টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ইফাদ অটোমোবাইল, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, আইডিএলসি, আমার নেটওয়ার্ক, ব্র্যাক ব্যাংক, বিবিএস কেবল, সিটি ব্যাংক, বিডি ফাইন্যান্স, ট্রাস্ট ব্যাংক এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক।
সিএসই
অন্যদিকে এদিন সিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ ২১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার। সুতরাং এক কার্যদিবসের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২১ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে, সিএএসপিআই সূচক ৩৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৭৪৩ পয়েন্টে, সিএসই-৫০ সূচক ৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪১০ পয়েন্টে এবং সিএসই-৩০ সূচক ৬৮ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৬৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৪০টির এবং কোনও পরিবর্তন হয়নি ২১টি কোম্পানির শেয়ার দর।
টাকার অঙ্কে এদিন সিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ব্যাংক এশিয়া, গ্রামীণ ফোন, বেঙ্গল উইন্ডসর, আমার নেটওয়ার্ক, এনসিসি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইফাদ অটোমোবাইল, লংকা-বাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বিবিএস কেবল।