রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধে গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এ প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত কমিটি।’
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪১তম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটওয়ারী, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, ভৌত ও অবকাঠামোর বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সভায় আঞ্চলিক সড়ক এবং মহাসড়কগুলো রক্ষা করতে পরিবহনের ওভারলোড বন্ধ করতে সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামকে প্রধান করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেবে। ওই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক ও মহাসড়কে লাইসেন্সবিহীন পরিবহন বন্ধে আরও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া যানবহনের বডি থেকে বাম্পার, হুক, অ্যাঙ্গেল অপসারণ করতে হবে। যাত্রী বাসে ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত ৮০ ভাগ কার্যকর হয়েছে। তবে ট্রাক,কাভার্ড ভ্যানে কার্যকর হয়নি। কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং ইজিবাইকের যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ করতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডিও পেলে সরকার আমদানি বন্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।’
সভা শেষে সড়কে নসিমন ও করিমন না চললে কম দূরত্বে মানুষ কিভাবে চলবে―এমন প্রশ্নের জবাবে হাইওয়ের বিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ‘এ জন্য বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা যায় কিনা সেবিষয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বিআরটিসিএ’র বাস নামানো যায় কিনা তাও বিবেচনা করা হবে।’