ইমেজ সংকটের কারণে গত ৩ মাসে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকার সরকারি আমানত চলে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান তমাল এসএম পারভেজ। তবে সাধারণ জনগণের আমানত একটাকাও কমেনি। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্যাংকের সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলেন তিনি। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কাজী মো. তালহা।
তমাল এসএম পারভেজ বলেন, সম্প্রতি ইমেজ সংকট তৈরি হয়েছে। যার ফলে ৫০০ কোটি টাকার মতো সরকারি আমানত চলে গেছে। তবে সাধারণ জনগণের আমানত একটাকাও কমেনি। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সাধারণ মানুষের আমানত এক টাকাও কমেনি দাবি করে তিনি বলেন, এই সময়ে সরকারি আমানত ৫০০ কোটি টাকা চলে যাওয়ার পরেও বর্তমানে আমাদের ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আমানত রয়েছে।
এনআরবিসির চেয়ারম্যান বলেন, যে উদ্দেশ্যে আমাদের এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল আমরা শীঘ্রই সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবো। শীঘ্রই আমরা বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসবো। নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমরাই প্রথম আগামী ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আনবো। এছাড়া শীঘ্রই আমরা প্রবাসীদের জন্য নতুন সেবা তৈরি করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিচালকদের সরাসরি নেওয়া ঋণের ১০০ কোটি টাকা ফেরত এসেছে। এ কারণেই আমাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে। যাদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল তারা ভালো প্রতিষ্ঠান। ঋণ পরিশোধে তাদের কোনও গাফিলতি নেই। আমাদের ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ২ শতাংশের কম।
তিনি জানান, আমাদের স্পন্সর শেয়ারহোল্ডাররা বিদেশ থেকে আমানত এনেছে। আমি নিজেও আমানত আনছি। আমরা এখনও জনগণের আস্থা হারাইনি। জনগণও এই ব্যাংকের ওপর আস্থা হারায়নি।
প্রসঙ্গত, অনিয়ম ও দুর্নীতির ১০টি গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি নতুন প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেওয়ান মুজিবুর রহমানকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরেই ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠণ করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেন। পরিচালনা পর্ষদের সব কমিটি নতুনভাবে গঠন করা হয়েছে। ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাছত আলীকে সরিয়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তমাল এসএম পারভেজ।
