X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নতুন মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৬.৮ শতাংশ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৭আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০১৮, ১৫:০৩

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে বেসরকারি খাতে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতে এটা ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। 

সোমবার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের ৫ম তলার জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি সংবলিত ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে- বেসরকারি খাতে অস্বাভাবিকভাবে ঋণের প্রবাহ বেড়ে যাওয়া, নির্বাচনের বছরে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়া, আমদানির চাপ বেড়ে যাওয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে এ মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি খাতে অব্যাহতভাবে বাড়ছে ঋণ বিতরণ। বর্তমানে এই খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৯ শতাংশেরও বেশি। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আবার চাল, পেঁয়াজসহ জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির হারও বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আগামী জুন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি থাকার কথা ৫ দশমিক ৮ শতাংশের নিচে। কিন্তু এরই মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার অসহনীয় মাত্রায় রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ডিসেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ; যা নভেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৮৩ ভাগ। এ মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ; যা নভেম্বরেও ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, আগের মুদ্রানীতিতে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ২ শতাংশ। আর আগামী জুন পর্যন্ত এই খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু নভেম্বরেই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ১৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি বছর ২ বার মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে থাকে। একটি অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই মাসে এবং অন্যটি জানুয়ারি মাসে। সাধারণত মুদ্রার গতিবিধি প্রক্ষেপণ করে এই মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতির অন্যতম কাজগুলো হলো- মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করা, ঋণের প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ঋণের যোগান ধার্য করা এবং মুদ্রার প্রচলন নিয়ন্ত্রণ করা।

 

/জিএম/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইতিহাস গড়ে বুন্দেসলিগা শেষ করলো ‘ইনভিন্সিবল’ লেভারকুসেন
ইতিহাস গড়ে বুন্দেসলিগা শেষ করলো ‘ইনভিন্সিবল’ লেভারকুসেন
জলবায়ু পরিবর্তন: ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে বাংলাদেশে
জলবায়ু পরিবর্তন: ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে বাংলাদেশে
বেলারুশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে বড় বিনিয়োগের পথে পোল্যান্ড
বেলারুশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে বড় বিনিয়োগের পথে পোল্যান্ড
বাজারে সংকট সৃষ্টি করতে মজুত করা এক লাখ ডিম উদ্ধার
বাজারে সংকট সৃষ্টি করতে মজুত করা এক লাখ ডিম উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি