ঢাকা ও ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই)সভাপতি আবুল কাসেম খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিসিসিআইতে আয়োজিত ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেনটি ভিভেনকো টি. বেনডিলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
আবুল কাসেম খান বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকা এবং ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। এতে করে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে কিছুটা হলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রতিবন্ধকতা নিরসনে ঢাকা ও ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে হবে।’
বাংলাদেশের মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইন যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ডিসিসিআই’র সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ফিলিপাইন প্রতি বছর ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, যোগাযোগ মেশিনারিজ, রড ও স্টিল, টেক্সটাইল ফেব্রিক্স, কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক প্রভৃতি পণ্য প্রচুর পরিমাণে আমদানি করে এবং এক্ষেত্রে ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ হতে এসব পণ্য আমদানি করতে পারেন।’
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিসেনটি ভিভেনকো টি. বেনডিলো বলেন, ‘ফিলিপাইনের উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি, বিজনেস প্রসেস ম্যানেজমেন্ট, পর্যটন ও ট্রান্সপোর্টেশন, কৃষি, মৎস্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তিগত জ্ঞানের আদান-প্রদান, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং পর্যটন খাতের উন্নয়নে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের যৌথভাবে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এশিয়ান অঞ্চলে পণ্য সরবরাহ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে ফিলিপাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ গেটওয়ে হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।’ তিনি জানান, ফিলিপাইনে বায়োটেকনোলজি, ফটোনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি খাতে বিনিয়োগ করলে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, খন্দকার রাশেদুল আহসান, মো. আলাউদ্দিন মালিক, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, এস এম জিল্লুর রহমান, ওয়াকার আহমদ চৌধুরী এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির।