X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির দরপত্র মূল্যায়ন চলছে, কোম্পানি চূড়ান্ত হয়নি

সঞ্চিতা সীতু
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৭:৫৮আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:০০

বিদ্যুৎ

ভারত থেকে আরও বিদ্যুৎ আমদানির জন্য দরপত্র মূল্যায়ন শুরু করেছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। তবে এখনও কোনও কোম্পানি চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

যদিও বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনকে (এনটিপিসি) মনোনীত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিপিডিবি বা পিডিবি)খোঁজ নিয়ে এর সত্যতা মেলেনি। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করা হয়নি।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ভারত থেকে নতুন করে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি ও সরবরাহের জন্য দরপ্রস্তাব জমা দেয় ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে-ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) অধিভুক্ত সংস্থা এনভিভিএন, আদানি ও পিটিসি। নানা জটিলতা কাটিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই দরপ্রস্তাবগুলো খোলা হয়।

ওই দরপ্রস্তাবের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে পিডিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি এখনও দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন পর্যায়েই রয়েছে, কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

এ বিষয়ে পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ বলেন, দরপত্র চূড়ান্ত হয়নি। এটা কেবল খোলা হয়েছে। আমরা কাজ করছি,চূড়ান্ত হলে জানাতে পারবো।

পিডিবি সূত্র জানায়, ভারতের পিটিসি এবং এনভিপিএন ২০০ মেগাওয়াট আমদানির জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে। এরমধ্যে ভারতের রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) অধীনস্ত সংস্থা এনভিপিএন দরপ্রস্তাব করেছে ইউনিট প্রতি ৩ দশমিক ৪২ রুপি। যা সর্বনিম্ন দর।

কিন্তু পিডিবির চেয়ারম্যান বলেন, দরপ্রস্তাবের সঙ্গে আরও অনেক কিছু আছে। দরপত্র যাচাই করার পর বোঝা যাবে আসলে কী হচ্ছে। এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু থাকে।এর সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের কারণে আবার দরপত্রে দাম বাড়তে বা কমতে পারে।

বর্তমানে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। এরমধ্যে বেসরকারিখাত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনা হয়। এই বিদ্যুৎ পিটিসি বাংলাদেশকে সরবরাহ করে। এজন্য ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর পিটিসি এবং বিপিডিবি এর মধ্যে একটি বিদ্যুৎ বিক্রি চুক্তি (পিপিএ) সই হয়। এর মেয়াদ গত বছর ৩১ জুলাই শেষ হয়ে গেছে।এজন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের ক্রস বর্ডার নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এতদিন এই দরপত্র খুলতে পারছিল না বাংলাদেশ।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, নীতিমালা চূড়ান্ত না হওয়ায় এতদিন দরপত্র খোলা না যাচ্ছিল না। কিন্তু এখন বিকল্প ব্যবস্থা চিন্তা করা হচ্ছে। তাই দরপ্রস্তাব যাচাই-বাছাই শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান, দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছে। শিগগির একটি সমাধান বের হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বর্তমানে ভারত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। গতবছর নতুন করে ক্রস বর্ডার ট্রেড অব ইলেক্ট্রিসিটি ট্রেড আইন প্রণয়ন করে ভারত। কিন্তু, এটি বাস্তবায়নের জন্য যে নীতিমালা করা দরকার তা এখনও তৈরি করেনি তারা। ফলে দেশটি থেকে বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়া জটিলতার মধ্যে পড়ে। 

 

/এসএনএস /টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশ ২৯ এপ্রিল
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
ক্যাসিনো কাণ্ডের ৫ বছর পর আলো দেখছে ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্স
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি
আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি