X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টেংরাগিরি বনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাপার উদ্বেগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ মে ২০১৮, ০৩:১৪আপডেট : ০৯ মে ২০১৮, ০৩:৫৫





বিদ্যুৎ পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা ও কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা ছাড়াই টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) উদ্বেগ জানিয়েছে। একইসঙ্গে পরিবেশ-প্রতিবেশ ও জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এ উদ্যোগ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিনের সই করা এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা ও কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা না করে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়া দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন হিসেবে পরিচিত সংরক্ষিত বরগুনার টেংরাগিরি বন থেকে ১ কিলোমিটারের কম দূরত্বে ৩০৭ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান আইসোটেক ও বিদেশি দুটি প্রতিষ্ঠান। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এরই মধ্যে ২৫ বছরের পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ) করেছে। এ ধরনের উদ্যোগে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাপা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে আও বলা হয়, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৭-এর ৭(৪) ধারা অনুযায়ী, ‘লাল’ শ্রেণিভুক্ত যেকোনও শিল্প স্থাপনে পূর্ণ পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) সাপেক্ষে পরিবেশ অধিদফতরের ‘পরিবেশ ছাড়পত্র’ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা না মেনে এই কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন নিষেধ হলেও তা অমান্য করে একতরফা এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইনি বাধ্যবাধকতাকে সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।
তারা জানায়, নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সুখ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান দিয়ে যথাযথভাবে পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা (ইআইএ) না করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর নামে সংবিধান এবং আইন লঙ্ঘন করে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাছের অভয়ারণ্যবিনাশী পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজার ধ্বংসকারী মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দক্ষিণ বাংলায় এ ধরনের প্রাণ ও প্রতিবেশবিধ্বংসী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত বনাঞ্চলকে আরও ধ্বংসের ঝুঁকিতে ফেলে এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের উপকূলীয় জনগণের জীবন, জীবিকা ও জীববৈচিত্র্যকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। 

 

/এসএনএস/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
প্রতিবন্ধী শিল্পীদের আয়োজনে মঞ্চস্থ হলো ‘সার্কাস সার্কাস’ নাটক
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!