নির্মাণাধীন আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে নেওয়ার জন্য নদীর অংশে (রিভার-ক্রসিং) কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) আগামী ৩০ মাসের মধ্যে কাজটি শেষ করবে। এ জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কেইসি ইন্টারন্যাশনাল লি.-কে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জুন ২০১৮) পিজিসিবি’র প্রধান কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তিপত্রে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঞ্চালন লাইনটির সাড়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রিভার-ক্রসিং অংশের কাজ শেষ করে পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা।
উন্নয়ন সহযোগী এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি সম্মিলিতভাবে এ কাজে অর্থায়ন করছে। পিজিসিবি’র গৃহীত আমিনবাজার-মাওয়া-মংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের আওতায় কাজটি করা হচ্ছে।
আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে রামপাল এবং পায়রায় নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হবে। সঞ্চালন লাইনটির রিভার-ক্রসিংয়ের জন্য পদ্মা নদীতে ৭টি উঁচু টাওয়ার স্থাপন করতে হবে। সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ টাওয়ারগুলো স্থাপনের জন্য নদীতে বেজলাইন তৈরি করে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন এবং কেইসি’র পক্ষে কান্ট্রিহেড কুলদ্বীপ কুমার সিনহা চুক্তিপত্রে সই করেন। পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে কেইসি কর্মকর্তাদের প্রতি তাগিদ দেন।
পিজিসিবি’র নির্বাহী পরিচালক মো. শাফায়েত হোসেন ও মো. এমদাদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মোনায়েম চৌধুরী, কেইসি’র প্রকল্প পরিচালক অরুদ্রনাথ, সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুনীল কুমারসহ উভয়পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।