X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ-জ্বালানির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:১৯আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৩০

‘দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ-জ্বালানির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের মানুষ যত বেশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহার করবে দেশ দেশ উন্নত হবে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ- জ্বালানি খাতে যে নবযাত্রার সূচনা ঘটেছে তা আরও বেগবান করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘জ্বালানি আমাদের কর্মশক্তি। কর্মশক্তির বিকাশ যত বেশি হয় কাজ তত বেশি হয়। কাজ যত বেশি হয় দেশের উন্নয়ন তত বেশি হয়। তাই মানুষের কর্মশক্তি বাড়িয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হবে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো, এর পাশাপাশি বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো। বিদ্যুৎ সাশ্রয়েও আমাদের মনোযোগী হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমও বক্তব্য রাখেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ খাতের এই বিশাল অর্জনের কারণ বাংলাদেশের বিরল যোগ্যতা, কর্মক্ষমতা ও নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও প্রেরণার কারণেই বিদ্যুৎ খাত আজ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনা কেবল। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। অনেক কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্ম এই অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের আজকের এই অর্জন একধরনের উন্নয়নের জোয়ার তৈরি করেছে। ১৯০৮ সালে প্রথম বাংলাদেশে আহসান মঞ্জিলে বিদ্যুতের আলো জ্বলে উঠে। এরপর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৩০০ মেগাওয়াট। এরপরের সাত বছরে দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়ায় ৭০০ মেগাওয়াটে। এরপরের ৩৮ বছরের বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় চার হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। সবশেষ গত নয় বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়ায় ২০ হাজার মেগাওয়াটে। অর্থাৎ চার গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নের জোয়ার তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। এটি বাংলাদেশের শেষ নয়, বাংলাদেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা হলো।’
এবারের মেলায় নতুন সংযোজন ছিল ক্যারিয়ার সামিট। বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি কোম্পানি আহ্বান জানায় আবেদনপত্র জমা দিতে। মেলার তিন দিনে মোট পাঁচ হাজার জন আবেদন করেন। এর মধ্যে সোল শেয়ার, সামিট গ্রুপ ও গ্রামীণ ফোন সমাপনী অনুষ্ঠানেই তিনজনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে।

/এসএনএস/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দোকান থেকেই বছরে ২ লাখ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব
দোকান থেকেই বছরে ২ লাখ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় সম্ভব
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অতীত ফিরিয়ে আনলেন শান্ত-রানারা
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অতীত ফিরিয়ে আনলেন শান্ত-রানারা
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ জেনে নিন
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ জেনে নিন
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি