X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়া ও কোরিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ধীরগতি

সঞ্চিতা সীতু
০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৩৩আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ২২:৩৬

 কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার চার বছরেরও বেশি  সময় পার হলেও যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের চুক্তিই সই করতে পারেনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। মন্ত্রণালয় তাগাদা দিলেও কাজের কচ্ছপগতি থেকে বের হতে পারছে না পিডিবি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জি-টু-জিভিত্তিতে বড় কেন্দ্র নির্মাণের ব্যর্থতার কারণেই ছোট কেন্দ্র থেকে বের হতে পারছে না পিডিবি। গত দুই বছরে ছোট আকারের তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যে কেন্দ্রের সবই চলবে উচ্চদরের তরল জ্বালানি দিয়ে। এতে সার্বিক বিদ্যুতের দর কমানো সম্ভব হবে না বরং তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য দাম বাড়তে পারে। কিন্তু এর বিপরীতে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসলে অর্ধেক দামে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব হতো।

চার বছরে পেরিয়ে গেছে এখনও মালেশিয়ার কোম্পানি তেনেগা ন্যাশনাল বারহেডের সঙ্গে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করতে পারেনি পিডিবি। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন বিষয়ে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। ওই সমঝোতার আলোকে তেনেগার সঙ্গে একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করার কথা পিডিবির।কিন্তু এখনও যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্পটির পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এখনও তেনেগার সঙ্গে তাদের যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন চুক্তি হয়নি।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রতিবেদনে বেলা হয়, ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তেনেগার কাছে একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের চুক্তির খসড়া তৈরি করে তেনেগার কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। গত বছর ৫ নভেম্বর ঢাকায় মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। চুক্তি অনুযায়ী কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র নির্মাণের কথা রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, শুরুতে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে তেনেগার সঙ্গে কাজ করার কথা বলা হয়।সেই অনুযায়ী পিডিবি কাজ করছিল। কিন্তু পরে তেনেগাকে বাদ দিয়ে পাওয়ারটেক মালয়েশিয়াকে ৫০ ভাগ শেয়ার দিয়ে কাজটি করার কথা বলা হচ্ছে।এর ফলে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেভাবেই হোক ইতোমধ্যে এমওইউ সইয়ের চার বছর সময় পেরিয়ে গেলেও উভয় পক্ষ একটি কোম্পানি গঠনের চুক্তিই করতে পারেনি।

একইভাবে ধীরগতি দেখা গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সরকারের করা এমওইউতে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশ ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নে একসঙ্গে করতে এমওইউ সই করে।এর ভিত্তিকে কোরিয়ান কোম্পানি কেপকো এবং পিডিবি একটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে যৌথ মূলধনী কোম্পানিই গঠন করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠনের জন্য চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছে।এরপর ২ এপ্রিল ২০১৭ সালে যৌথ উন্নয়ন চুক্তি তৈরি করেও পাঠানো হয়েছে।কিন্তু এখনও যৌথ মূলধনী কোম্পানিই গঠন করা সম্ভব হয়নি।কেপকোর সঙ্গেও পিডিবির একটি সমান ৫০ ভাগ মালিকানায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্র নির্মাণের কথা রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ি দুই দেশের কোম্পানি কেন্দ্র নির্মাণে একমত হলে সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ সই করে থাকে। এর ভিত্তিতে দুই দেশের কোম্পানি মিলে একটি পৃথক কোম্পানি গঠন করতে যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে। এরপর ওই কোম্পানি কেন্দ্রটি নির্মাণ করে থাকে।কিন্তু এই দুই বড় কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রেই যা এখনও করে উঠতে পারেনি পিডিবি।

/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ‘বড় পরিবর্তন’ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে ‘বড় পরিবর্তন’ দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র
পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
জীবনানন্দ পুরস্কার পেলেন জাহিদ হায়দার ও মোস্তফা তারিকুল আহসান
জীবনানন্দ পুরস্কার পেলেন জাহিদ হায়দার ও মোস্তফা তারিকুল আহসান
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল
শাকিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা অন্যরকম: চঞ্চল
সর্বাধিক পঠিত
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
রাজকুমার: নাম নিয়ে নায়িকার ক্ষোভ!
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুদক
তাপপ্রবাহ থেকে ত্বক বাঁচানোর ৮ টিপস
তাপপ্রবাহ থেকে ত্বক বাঁচানোর ৮ টিপস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস