X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ৯ পণ্যের রফতানি ভর্তুকি পাওয়ার শর্ত জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:৪৮আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৩৩

মোট ৯টি পণ্যে রফতানি ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এর চারটি হচ্ছে ওষুধ, দেশে তৈরি মোটরসাইকেল, সিরামিক সামগ্রী ও টুপি।

ওষুধ, মোটর সাইকেল, সিরামিক, টুপিসহ ৯টি পণ্য রফতানিতে ১০ শতাংশ করে নগদ সহায়তা (ভর্তুকি) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। গত সেপ্টেম্বরে ওই ঘোষণার পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রজ্ঞাপনও জারি করেছিল। মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর)  ভর্তুকি পাওয়ার শর্ত, আবেদনের নিয়মাবলি এবং ভুলভাবে কাউকে ভর্তুকি দিলে করণীয় বিষয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অনুমোদিত সকল ডিলার ব্যাংকের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রফতানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন হারে ভর্তুকি পাওয়া ২৬টি পণ্যের সঙ্গে এ ৯টি পণ্য যুক্ত হওয়ায় ভর্তুকি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫। ফলে ২০১৮ সালের এক জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজিকৃত ৩৫টি পণ্য রফতানির বিপরীতে ভর্তুকি পাবে।
যে ৯টি পণ্যে ১০ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেওয়া হবে সেগুলো হচ্ছে, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, ফটোভোলটাইক মডিউল, মোটরসাইকেল, কেমিক্যাল পণ্য (ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড), রেজর ও রেজর ব্লেডস, সিরামিক দ্রব্য, টুপি, কাঁকড়া ও কুচে (হিমায়িত ও সফটসেল, পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণ সাপেক্ষে) এবং গ্যালভানাইজড শিট/কোয়েলস। অর্থাৎ কোনও রফতানিকারক এই ৯টি পণ্যের  যে কোনোটায় ১০০ টাকার পণ্য রফতানি করলে সরকারের কাছ থেকে ১০ টাকা নগদ সহায়তা পাবেন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৬ ধরনের পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও এসব পণ্য রফতানি মূল্যের বিপরীতে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব পণ্যে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার ন্যূনতম ৩০% হতে হবে। এসব খাতে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একসঙ্গে প্রযোজ্য হবে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে ভর্তুকি পরিশোধ করা হলে পরিশোধকৃত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত পরিশোধকারী ব্যাংকের হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনিয়মে সহযোগিতা করলে কিংবা সংঘটিত অনিয়মের সঙ্গে কোনও ব্যক্তি ও ব্যাংক বা সরকারি কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/জিএম/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের বড় চমক
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের বড় চমক
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
ভাগ্নিকে শায়েস্তা করতে নাতিকে হত্যা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
৫ বছর বন্ধ সুন্দরবন টেক্সটাইল, সংকটে শ্রমিকরা
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া