X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা পেতে মানব সম্পদের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:১০আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:১৬

আলোচনা সভায় কথা বলছেন আলোচকরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ভোগ করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানব সম্পদের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করের ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান। ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) ডিসিসিআইতে ঢাকা চেম্বার ও বাংলাদেশ সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলুশন (বিডিফোরআইআর) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক। 

ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সর্বোপরি সামগ্রিক পেক্ষাপটে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। এই বিপ্লবের সুবিধা আদয়ের জন্য বাংলাদেশকে এখনই প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়কালে রোবটিকস, ক্লাউট টেকনোলোজি, ব্লকচেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানোটেকলোজি এবং বায়োটেকনোলোজি প্রভৃতি বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে। এসব প্রযুক্তিসমূহের ঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি এই বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রণোদনার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানান।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছে। তারা ইতোমধ্যে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহারের অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকোচিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের সুযোগও সৃষ্টি হবে। এই কারণে আমাদের এখনই যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। সামনের দিনগুলোতে যারা নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারবে, তারাই পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারবে।’

অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ফোরথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলুশন’র (বিডিফোরআইআর) সহসভাপতি সৈয়দ তামজিদ উর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী বলেন,  ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন নতুন কাজের দিগন্ত উন্মোচিত হবে একইসঙ্গে কর্মচ্যুতিরও আশঙ্কা থাকবে। এজন্য আগামী ২০ বছরের মধ্যে আমাদের দেশের কর্মক্ষম প্রায় সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে পুনঃপ্রশিক্ষণ দিতে হবে। আরও ২ কোটি মানুষকে নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে।’ এজন্য তিনি বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং নতুন উদ্ভাবিত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

/জিএম/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
ফিরেই ফর্টিসকে বিধ্বস্ত করলো মোহামেডান
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
রাশিয়ায় বন্ধ হলো জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কার্যক্রম
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা