পুঁজিবাজারে আসছে দেশের ইলেক্ট্র্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটনের করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত হয় রোড শো। এতে বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, আর্থিক অবস্থা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও আইপিও সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) যাচ্ছে ওয়ালটন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রোড শো আয়োজকদের দাবি, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করে ওয়ালটন এখন দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে রোল মডেল। এরই ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় জনসাধারণকে উন্নয়ন অংশীদার করতে পুঁজিবাজারে আসছে এই প্রতিষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী জানান, প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৮) কোম্পানির প্রতি শেয়ারে আয় (ইপিএস) ১০ টাকা ৫৯ পয়সা ও নিট পরিসম্পদ ২০৮ টাকা। পুঞ্জিভূত মুনাফা ২ হাজার ৭৯৮ দশমিক ১৩ কোটি টাকা ও শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ১৭ দশমিক ২০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের লক্ষ্য ওয়ালটনের। এই বিপুল অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মানোন্নয়ন, ব্যাংক লোনের আংশিক দায় পরিশোধ এবং আইপিও খরচ সংকুলানে ব্যয় হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, পরিচালক এসএম মাহবুবুল আলম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর এম ফরহাদ হোসেইন এফসিএ, ‘ট্রিপল এ’ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাজা আরিফ এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহম্মদ তাবারক হোসেইন ভূঁইয়া।
রোড শো’তে বিনিয়োগকারী (ইলিজিবল ইনভেস্টর) হিসেবে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউট্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলার, ব্যাংক, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি, বীমা প্রতিষ্ঠান, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, রিকগনাইজড পেনশন অ্যান্ড প্রভিডেন্ড ফান্ড, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
