X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজি আমদানিতে বছরে ঘাটতি সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ মার্চ ২০১৯, ১৬:৪৫আপডেট : ১১ মার্চ ২০১৯, ১৭:০০

টিসিবি অডিটোরিয়ামে গ্যাসের মূল্যহার পরিবর্তনে গণশুনানি প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করলে বছরে ২৪ হাজার ৫৪০ কোটি টাকা ঘাটতিতে পড়বে জ্বালানি খাত। আগামী এপ্রিল থেকে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এ কারণে গ্যাসের দাম সমন্বয়ের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) টিসিবি (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানিতে পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে ঘাটতি মোকাবিলায় গ্যাসের দাম বাড়ানো দরকার বলে জানায়। গণশুনানি গ্রহণ করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পূর্ণাঙ্গ কমিশন। এতে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য আব্দুল আজিজ, মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, মাহমুদউল হক ভুইয়া।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন জানান, দেশে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের জন্য এলএনজি আমদানি অব্যাহত রাখতে হবে। সঙ্গত কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানোর কোনও বিকল্প নেই। শুনানির শুরুতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, আগে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় সামিট এলএনজির ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়নি। আগামী এপ্রিল থেকে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ফলে গ্যাসের দাম সমন্বয় করা দরকার।
এলএনজি আমদানিতে বছরে ঘাটতি সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি মেটাতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তিন হাজার ৬৬০ কোটি টাকা দরকার ছিল বলে শুনানিতে পেট্রোবাংলা অভিযোগ করে।কিন্তু অর্থ বিভাগ পেট্রোবাংলাকে কোনও অনুদান দেয়নি। পেট্রোবাংলা তার আবেদনে বলছে, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, বাণিজ্যিক ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার সঞ্চিত না থাকায় বেসরকারি ব্যাংককে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এভাবে অর্থায়ন করলে আরও ৫ ভাগ খরচ বাড়বে।
পেট্রোবাংলার লিখিত আবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে দেশের কোম্পানি বিজিএফসিএল'র কাছ থেকে ৭৭২ এমএমসিএফডি গ্যাস ৭০ পয়সা হারে (ঘনমিটার), বাপেক্সের কাছ থেকে ৩ টাকা ৪ পয়সা হারে ১০৮ এমএমসিএফডি, এসজিএফসিএল -এর কাছ থেকে ২০ পয়সা হারে ১২৪ এমএমসিএফডি, আইওসির কাছ থেকে ২ দশমিক ৫৫ টাকা হারে ১ হাজার ৭১২ এমএমসিএফডি গ্যাস কেনা হচ্ছে, যার ইউনিট প্রতি দাম পড়ছে গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ টাকার মতো। আর আমদানি করা এলএনজির দাম পড়বে ৩৯ দশমিক ৮২ টাকা। বর্তমানে গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৭ দশমিক ১৭ টাকা দরে বিক্রি করছে। এর সঙ্গে এলএনজি চার্জ ৯ দশমিক ৫৫ টাকা হারে নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা।

/এসএনএস/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘে ভোট
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন