X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রিপুরা থেকে নতুন করে বিদ্যুৎ আমদানি করবে না সরকার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩৫আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০১৯, ১৩:০৭

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা ত্রিপুরা থেকে আর কোনও বিদ্যুৎ আমদানি করবে না সরকার। কারণ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে যে সাবস্টেশন নির্মাণ করতে হবে তা অনেক ব্যয়বহুল। আপাতত এই ব্যয়ের কোনও যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করা হচ্ছে।

আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সপ্তদশ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় উপস্থিত সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনতে ব্যাক টু ব্যাক হাই ভোল্টেজ সাবস্টেশন (এইচএসভিডিসি) নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে। বাংলাদেশ এখন চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। ব্যয়বহুল সাবস্টেশন করা যৌক্তিক নয়। কুমিল্লা এলাকায় প্রচুর গ্যাস আছে। প্রয়োজনে সেখানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে। ত্রিপুরা থেকে এখন যে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে এর বাইরে আর বিদ্যুৎ আনবে না বাংলাদেশ। 

ভারত দীর্ঘ দিন থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন করে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ নিতে চায়। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগের সভায় পার্বতীপুর দিয়ে বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করার চিন্তা করা হলেও এখন সৈয়দপুরের পূর্ব সাদিপুর দিয়ে যুক্ত করতে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে প্রস্তাবিত কাটিহার-পাবতীপুর-বরাননগর ৭৬৫ কেভি লাইন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা যায় কিনা সে বিষয়ে একটি কারিগরি সমীক্ষা হবে।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন সদস্যরা সভা শেষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমরা এমন কিছু জায়গা চিহ্নিত করেছি। যেগুলো নিয়ে কাজ করলে উভয় দেশ লাভবান হবে।’

ভারতের বিদ্যুৎ সচিব সুভাষ চন্দ্র গার্গ বলেন, দ্রুত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসবে বলে আমরা আশা করছি। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনও বিষয়ে তিনি উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এদিকে সভায় ভারতে বিদ্যুৎ রফতানির বিষয়ে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিরাজমান বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় ভারতের বিদ্যুৎ আমদানি রফতানি বিষয়ক গাইডলাইন ও রেগুলেশনের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের সিডি, ট্যাক্স ও ভ্যাট থেকে অব্যাহতির বিষয়ে সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হলে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি তাদের কমিটির বিষয় নয়। এই বিষয়টি ভারতের রাজস্ব বিভাগ করে থাকে। তারা বিষয়টি রাজস্ব বিভাগকে অবহিত করবে। 

/এসএনএস/এসটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে সভা করে ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
জোভানের নতজানু বার্তা: আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ