X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

খেলাপি ঋণে কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশ জিডিপি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৯আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০০

সিপিডির মিডিয়া ব্রিফিং শক্ত হাতে খেলাপি ঋণ দমন করা গেলে দেশের জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি হতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। রবিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে (সিপিডি) আয়োজিত ‘রিভিউ অব বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনায় তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক প্রভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দুর্বল করে দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা যা ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান ও খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলাপি ঋণ আদায় হলে তার মাধ্যমে আলাদাভাবে বাংলাদেশের চলমান অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল। যেমন, তিনটি পদ্মা সেতু অথবা তিনটি পদ্মা রেলওয়ে ব্রিজ, তিনটি মাতারবাড়ি পাওয়ার প্লান্ট, পাঁচটি মেট্রোরেল অথবা সাতটি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। গবেষণায় আরও তুলে ধরা হয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে মোট খেলাপি ঋণের ৪২ শতাংশ ছিল বেসরকারি ব্যাংকের। কিন্তু ২০১৮-১৯ এসে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ শতাংশে।
ব্যাংকিং খাতের মূলধন সম্পর্কে বলা হয়, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে মূলধনের অপর্যাপ্ততা একটি বড় সমস্যা। ঋণ বিতরণের তুলনায় পর্যাপ্ত বিনিয়োগ পাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। এ কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে কল মানি (আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার) থেকে দৈনিক ভিত্তিতে টাকা ধার করার প্রবণতা। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, কিছু বিশেষ ব্যাংকে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে আমানত বৃদ্ধি করা হচ্ছে যা আর্থিক খাতের জন্য মোটেও সুখকর নয়। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন ব্যাংকে ১৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা তারল্য সরবরাহ করেছে সরকার। এ কারণে খারাপ ব্যাংকগুলো আরও উৎসাহিত হবে বলে ধারণা সিপিডির।
ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া আগের তুলনায় অনেকটাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত তথ্য না পাওয়ায় সুশাসন ও জবাবদিহিতার অভাব থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও সক্রিয় করার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

 

 

/জিএম/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’
‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই পিটার হাস গা ঢাকা দিয়েছেন’