যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়েছে। গত এক দশকে অর্থ্যাৎ ২০০৬ সালের পর দেশটি সুদহার বাড়ালো।
বুধবার বিবিসি’র প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ২০০৬ সালে সুদ হার বাড়িয়েছিল। দীর্ঘদিন অর্থনৈতিক মন্দাজনিত সংকটে ছিল দেশটি। ফলে ২০০৮ সালে এ হার কমে শূন্যের কাছাকাছি নেমে এসেছিল।
এতে আর বলা হয়েছে, সুদহার বাড়ানোর ফলে ডলার শক্তিশালী হবে। এতে অনেক দেশ ও কোম্পানির ঋণ পেতে সমস্যা হবে এবং এ বাবদ তাদের খরচ বাড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপ ঋণ নেওয়া শর্ত আগের তুলনায় আরও শিথিল করেছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র সুদহার বাড়িয়ে দিলো। এতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও জটিল হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছি। এমন ইতিবাচক সম্ভাবনায় ফেডারেল ফান্ডের সুদাহার কিছুটা বৃদ্ধি করা যথার্থ হবে।
ফেডারেল রিজার্ভ আশা করছে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ। যদিও পূর্বাভাষে এ হার ধরা হয়েছিল ২ দশমিক ৩০ শতাংশ।
এদিকে সুদ বাড়ানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজার ।
/এফএইচ/