X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘লুব্রিকেন্টের মান নিয়ন্ত্রণে পলিসি নির্ধারণ জরুরি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ নভেম্বর ২০২০, ২১:৪৬আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২০, ২২:৫৪

লুব্রিকেন্ট বিষয়ক আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশে লুব্রিকেন্ট অয়েলের বাজার আগের চেয়ে আরো দ্রুত বড় হচ্ছে। তাই এই তেলের মান নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। মান নিয়ন্ত্রণ করতে রেগুলেটরি বডিকে পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো ল্যাবরেটরি স্থাপন করাও জরুরি।

আজ শনিবার (২১ নভেম্বর) চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্ট অন লোকাল লুব্রিকেন্ট ইন্ডাস্ট্রি' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। পাক্ষিক এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং এমজেএল লুব্রিকেন্টের পরিচালনা বোর্ড সদস্য অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফী, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর সাইফুল্লাহ খালেদ, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. বায়েজিদ কবীর, এমজেএল লুব্রিকেন্টের সিইও মুকুল হোসেনসহ অন্যরা।

অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, লুব্রিকেটিং অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভালো না হলে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মান নিয়ন্ত্রণের জন্য ভালো ল্যাবরেটরি থাকা দরকার। সরকারিভাবে ল্যাব নাই বললেই চলে, শুধু বুয়েট কিছু নির্দিষ্ট পণ্য মান যাচাই করে। তবে বেসরকারিভাবে কয়েকটি কোম্পানির উন্নত ল্যাব আছে।

প্রকৌশলী খন্দকার সালেক সুফী বলেন, বাংলাদেশের লুব্রিকেন্ট অয়েল বিক্রিকারি বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিপিসি নিজেই আবার রেগুলেটর। যারা ব্যবসা করে তারা রেগুলেট করে কিভাবে। লুব্রিকেন্ট অয়েলের মান নিয়ন্ত্রণে বিইআরসি কাজ করতে পারে। এজন্য আলাদা পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, মানের ক্ষেত্রে কোনও রকম ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। কঠিন হাতে মনিটরিং জরুরি।

মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর সাইফুল্লাহ খালেদ বলেন, ১৯৯৭ সালে ২টি লুব্রিকেন্ট প্রসেসিং কারখানা ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে প্লান্ট রয়েছে ১৫টি, আরও ৩টি আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মনিটরিং না থাকায় আর মান যাচাই না করার কারণে একদল আমদানি করে পণ্য আনছে আরেকদম কম দামে দুবাই থেকে এনে বিক্রি করছে। এতে বাজারে নানা দামে লুব্রিকেন্ট বিক্রির কারণে মানের বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবছে না। আন্ডার ইনভয়েসে এনে মার্কেটে কারসাজি করছে। অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে মার্কেটে টিকতে না পেরে। রেগুলেটরি বডি বিইআরসি ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। তাদের না আছে লোকবল না আছে ল্যাবরেটরি।

এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন জানান, লুব্রিকেন্ট অয়েলের চাহিদা ১ লাখ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টন, মার্কেট সাইজ পাঁচ হাজার কোটির টাকার মতো। ছোট্ট মার্কেট কিন্তু দুনিয়ার এমন কোনও জ্ঞাত ব্রান্ড নেই যা পাওয়া যায় না। অনেক আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ডের লুব তৈরি হচ্ছে দেশীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করা সম্ভব। এইক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভেজাল ও মানহীন পণ্য বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় বেজড ওয়েলের চেয়েও কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। শিল্প এবং ট্রান্সপোর্টকে সুস্থ রাখতে লুব্রিকেন্ট জরুরি বলে তিনি অভিমত দেন।

 

/এসএনএস/এফএএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
চীনে আমেরিকার কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণের আহ্বান ব্লিঙ্কেনের
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
সারা দেশে আরও ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু: ‘অপরাধ আড়ালের চেষ্টা হচ্ছে’
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম