X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

৭২ ঘণ্টা পার, সরেনি একটি ট্যানারিও

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:৩০আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০১৬, ১৮:৪৭

স্বয়ং মন্ত্রীর দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটামও মানেননি হাজারীবাগের ট্যানারি মালিকরা। ট্যানারি হাজারীবাগ থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে স্থানান্তরিত হয়নি কোনও ট্যানারি কারখানা। রবিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু হাজারীবাগ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ট্যানারি স্থানান্তর না করলে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে দেশের ট্যানারি শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ট্যানারির মালিকরা। বুধবারও দেখা গেছে, সচল ছিল হাজারীবাগের প্রত্যেকটি কারখানা।
জানা গেছে, বিসিক ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে হওয়া সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, মালিকদের ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হাজারীবাগের সব ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের কথা ছিল। হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্পনগরী হস্তান্তর করার জন্য ১২১ জন শিল্প মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যদিও দুই দফা সময় বাড়িয়ে ট্যানারি স্থানান্তরের সময়সীমা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। ট্যানারি মালিকরা এ সময়ের মধ্যে স্থানান্তরিত না হওয়া গত রবিবার ৭২ ঘণ্টা সময় দেন মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শিল্পমন্ত্রী কেন এমন ঘোষণা দিলেন এটা মন্ত্রী নিজেই জানেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে একটা দর কষাকষির জায়গা উনি তৈরি করছেন। সাভারকে পুরোপুরি প্রস্তুত না করে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো সরানো যাবে না। আগেও সাভারের স্থানান্তরের বিষয়ে সময় বাড়াতে আদালতে আবেদন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এখানে মন্ত্রণালয় কেন সময় চাইবে?

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এক্ষেত্রে উচিত ছিল যারা সাভারে ঠিকমতো স্থানান্তরের কাজ করছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

এ প্রসঙ্গে ট্যানারিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ সাখাওয়াত উল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেটা আমরাও খবরে জেনেছি। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনও লিখিত নোটিশ বা নির্দেশনা আসেনি। তবে আমরা আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করবো। তখন সিদ্ধান্ত নেব।

মোহাম্মদ সাখাওয়াত আরও বলেন, মাত্র কোরবানি গিয়েছে। এখন দেশ-বিদেশ থেকে আমাদের অর্ডার আসছে। রাত-দিন কারখানাগুলোতে কাজ হচ্ছে। ট্যানারির মালিকদের পুঁজি কম। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। গতবছর ব্যবসায় মন্দা গেছে। এবছর আগের চেয়ে ভালো। এই মুহূর্তে মন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ঠিক হবে না। যদি মন্ত্রী করেন তবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক ঋণের দায়ে দেউলিয়া হতে হবে। সাভারে স্থানান্তরের বদলে আমাদের কবর রচনা হবে।

ট্যানারিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বলেন, বিদেশি ক্রেতারাও চায় পরিবেশবান্ধব কারখানা। তাই আমরাও দ্রুত স্থানান্তর করতে চাই। প্রত্যেক ট্যানারি মালিক সাভারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষতিপূরণের টাকাও সরকার কিস্তিতে দিচ্ছে, একবারে দিলেও আমাদের কাজে লাগতো। একদিকে ব্যবসা সচল রাখা, অন্যদিকে নতুন স্থানে কারখানা স্থাপন আমাদের জন্য বাড়তি চাপ।

 

/সিএ/এফএ/আপ-এনএস/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
তিন গোলে জেতার আশা করেননি পুলিশের রোমানিয়ান কোচ
তিন গোলে জেতার আশা করেননি পুলিশের রোমানিয়ান কোচ
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
তীব্র গরমে যেসব অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে
তীব্র গরমে যেসব অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে
চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
উপজেলা নির্বাচনচেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ