গত ফেব্রুয়ারি মাসে রফতানি কমার খবরে গত কয়েকদিন কমেছিল চীনের শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ার দর। তবে মঙ্গলবার আবারও বেড়েছে শেয়ারবাজারগুলোর সূচক।
সরকারি তথ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটির কাঙ্খিত রফতানি আয় অর্জিত হয় নি। মূলত এরপর থেকেই শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী গতি লক্ষ্য করা যায়।
ওই তথ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় দেশটির রফতানি ২৫ দশমিক ৪০ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি আমদানিও কমেছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন এ ধরনের তথ্য দেশটির শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
মঙ্গলবার দেশটির সাংহাই কম্পোজিট সূচক ০ দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৯০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে হংকংয়ের হ্যাং স্যাং সূচক ০ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ২০ হাজার ১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ার দর ইতিবাচক প্রবণতায় ফেরা এবং এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও এ এলাকার শেয়ারবাজারগুলোতে নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
চলতি বছরে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ব্যারেল প্রতি সর্বোচ্চ ৪০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চীনের রিফাইনারি কোম্পানিগুলোতে লোহার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটিতে আকরিক লোহার দামও ২০ শতাংশ বেড়েছে।
অন্যদিকে, জাপানে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দাম কমায় দেশটির রফতানিকারকরা হতাশ হয়েছেন। ফলে দেশটির কার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টয়োটার শেয়ার ১ দশমিক ৭ শতাংশ, হোন্ডার শেয়ার ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং নিশান কোম্পানির শেয়ার ২ দমমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
এদিন জাপানের নিক্কেই-২২৫ সূচক ০ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে ১৬ হাজার ৭৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরে এটা সর্বনিম্ন সূচক।
এছাড়া বোম্বের বিএসই সেনসেক্স সূচক ২৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ২৪ হাজার ৬৭৫ পয়েন্টে, কলম্বোর সিএসই অল শেয়ার সূচক ১২২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৩৪ পয়েন্ট, লাহোরের এলএসই-২৫ সূচক ৪৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
/এসএনএইচ