X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাকেশ আস্তানার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার মেয়াদ বাড়লো

গোলাম মওলা
৩০ মার্চ ২০১৬, ১৭:৫৮আপডেট : ৩০ মার্চ ২০১৬, ১৮:১২

বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে গঠিত ফরেনসিক তদন্তদলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার মেয়াদ ৩০ দিন বাড়ানো হয়েছে। এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে এই কমিটির তদন্ত কাজ শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের প্রায় ৮০০ কোটি  টাকা চুরি হওয়ার পর বিশ্বব্যাংকের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক উপ-প্রধান কর্মকর্তা রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে একটি ফরেনসিক তদন্ত দল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটিকে ৩০ মার্চের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে ফরেনসিক তদন্ত দলের কাজ এখনও শেষ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য তাদেরকে আরও এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাকেশ আস্তানা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা-বিষয়ক পরামর্শক। তিনি বিশ্বব্যাংকের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক উপ-প্রধান কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির পর তার নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স-এর একটি ফরেনসিক তদন্ত দল এ ঘটনার তদন্ত করছে।

সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হওয়ার ১৪ দিন আগেই হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে ঢুকতে সক্ষম হয়। আর এ ১৪ দিন কম্পিউটার ঘাঁটাঘাঁটি করে পুরো সিস্টেম নিজেদের আয়ত্তে নেয় হ্যাকাররা। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন তৈরি করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই ইনকরপোরেশন ও ওয়ার্ল্ড ইনফরমেটিক্স।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্ভারে ম্যালওয়্যার বসিয়েছিল যাতে পেমেন্টগুলোকে প্রকৃত বলে মনে হয়। হ্যাকাররা বেশ চাতুর্যের সঙ্গে কাজটি করেছে, যাতে তাদের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সিস্টেম থেকে চলে যাওয়ার সময় কম্পিউটার লগ মুছে ফেলে তারা, যাতে কারো সন্দেহ না হয়। আর সেসময় তারা ওইসব কম্পিউটারে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে, যাতে পরে সুবিধাজনক সময়ে আবার প্রবেশ করতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হ্যাকাররা যথেষ্ট দক্ষ। তারা কম্পিউটার লগ ডিলিট করে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করার সমস্ত ট্র্যাক মুছে ফেলেছে। তাদের কার্যপদ্ধতি থেকে ধারণা হতে পারে, কোনও রাষ্ট্রের নিয়োগকৃত হ্যাকারদের কাজ হতে পারে এটা। তবে ফায়ারআই- এর গোয়েন্দা শাখার ধারণা, এটি পেশাদার অপরাধীদের কাজ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় রাকেশ আস্তানার তদন্ত দল ছাড়াও আরও দুইটি দল তদন্ত করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত কাজ করে যাচ্ছে। এর বাইরে সিআইডির একটি তদন্ত দল ঘটনার পর থেকে তদন্ত কাজ করে যাচ্ছে।

এপিএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
বাবার সঙ্গে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ
বাবার সঙ্গে অভিমান করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
প্রেম নাকি বিয়ে, মুখ খুললেন ইলিয়ানা
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
কুড়িগ্রাম জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে শোকজ
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা