কাঁচা চামড়া প্রবেশ রোধে হাজারীবাগ এলাকার প্রবেশ পথগুলোয় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশেই পুলিশ এ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ট্যানারির দূষণ বন্ধ করতে হাজারীবাগের কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলো ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে হাজারীবাগের সব ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের কথা ছিল। বিসিক ও ট্যানারি মালিকদের সংগঠনগুলোর মধ্যেও এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্তু ট্যানারি ব্যবসায়ীরা নিজেদের সিদ্ধান্তও মানেননি কখনও। এরপর সরকার একাধিকবার সময় বেঁধে দিলেও তারা কারখানাগুলো সরিয়ে নেননি।
এরপর গত ২০ মার্চ সচিবালয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীসহ আশেপাশের এলাকার দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সভায় বলা হয়, ঢাকার শিল্পবর্জ্যের ৬০ শতাংশ চারপাশের নদীগুলোর দূষণের কারণ। আর এই বর্জ্যের ৪০ শতাংশ আসে ট্যানারি থেকে। এজন্য আজ ১ এপ্রিল থেকে হাজারীবাগের ট্যানারিতে কোনও কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর দূষণরোধে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের আলোকেই আজ (১ এপ্রিল) থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া রোধে এলাকায় কাঁচা চামড়া প্রবেশে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়।
হাজারীবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই হুমায়ুন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, থানার পক্ষ থেকে কাঁচা চামড়া প্রবেশ রোধে প্রবেশ পথগুলোয় পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করা হয়েছে। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আজ থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া ঢুকবেনা, শুধু বের হবে। এটি সরকারের আদেশ। এ আদেশ মানতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বাধ্য করা হবে।
/জেইউ/এমএনএইচ/