রাজধানীর হাজারীবাগে চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা কাঁচা চামড়া নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করর্পোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান হজরত আলী।
রবিবার বিকেলে মতিঝিলে বিসিক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
হজরত আলী বলেন, ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবারও ট্যানারি স্থানান্তরের সময় বাড়ানো হলো। তবে ১১ এপ্রিল থেকে কোনও মূল্যেই সেখানে আর কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা।
‘চামড়া শিল্প নগরীতে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ পাচ্ছে না’ ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের এ ধরনের অভিযোগ সত্য নয়। সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠরা প্রস্তুত আছেন। তবে ট্যানারি মালিকরা এখন পর্যন্ত আবেদনই করেননি। তারা আবেদন করলেই এসবের সংযোগ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি)সম্পর্কে তিনি বলেন, শিল্প নগরীতে ৪টি মডিউল স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। অথচ সেগুলো বর্জ্যের অভাবে সচল করা যাচ্ছে না। ফলে নদী থেকে পানি এনে এগুলো চালু রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৫৪টি ট্যানারি শিল্প কারখানার মধ্যে মাত্র ১টি কারখানা সাভারের শিল্প নগরীতে স্থানান্তর হয়েছে। বাকী ১৫৩ টি প্রতিষ্ঠান এখনো হাজারীবাগে অবস্থান করছে।
গত ২০ মার্চ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর দূষণরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সংক্রান্ত সভায় ১ এপ্রিল থেকে হাজারীবাগে কাঁচা চামড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত দুইদিন কাঁচা চামড়া প্রবেশ করতে দেওয়া না হলেও আজ থেকে আবার ১০ এপ্রিল পর্যন্ত হাজারিবাগে চামড়া নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
/এসআই/এসএনএইচ/