X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১
দেশে এলইডি চিপ তৈরি

শুল্ক বৈষম্যের কারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত উদ্যোক্তারা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ এপ্রিল ২০১৬, ২১:১৪আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০১৬, ২১:১৫

এলইডি চিফ শুল্ক বৈষম্যের কারণে দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এলইডি (লাইট ইমেটিং ডায়োড) বাল্ব তৈরির কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। জানা যায় এ বাল্ব তৈরির প্রধান উপকরণ এলইডি চিপ। এই চিপ তৈরিতে আটটি উপাদান ব্যবহার করা হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশে সম্পূর্ণ তৈরি এলইডি চিপ আমদানি করতে ৩০ দশমিক ৭৯ শতাংশ কর দিতে হয়। আর এ চিপ দেশেই উৎপাদন করতে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক দিতে হয় ৩৭ থেকে ১৩০ শতাংশ।অনেক উদ্যোক্তার এ খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ থাকলেও শুল্ক বৈষম্যের কারণে তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে হাই-টেক শিল্পে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।
উদ্যোক্তারা জানান, দেশে এলইডি চিপ তৈরির প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতে যে পরিমান কর দিতে হবে তার চেয়ে অনেক কম খরচে চিপ আমদানি করাই ভাল।  
এলইডি চিপ তৈরির প্রধান কাঁচামালগুলো হলো- লিড ফ্রিম, ফসপর, ক্যারিয়ার টেপ, প্লাস্টিক রিল, কভার টেপ, গোল্ড ওয়্যার, ডাই অ্যাটাচ মেটেরিয়াল বা অ্যাডহেসিভ এবং অ্যানক্যাপসুলেশন বা রেসিন। এর মধ্যে লিড ফ্রিম, ফসপর, ক্যারিয়ার টেপ এবং কভার টেপ আমদানিতে ১০ শতাংশ করে কাস্টমস ডিউটিসহ প্রতিটিতে সর্বমোট কর দিতে হয় ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর গোল্ড ওয়্যার, ডাই এ্যাটাচ মেটেরিয়াল বা অ্যাডহেসিভ, অ্যানক্যাপসুলেশন বা রেসিন আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টম ডিউটি, ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কসহ কর দিতে হয় ৬০ দশমিক ০২ শতাংশ। এছাড়া প্লাস্টিক রিল আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কসহ সর্বমোট ১৩০ দশমিক ২৬ শতাংশ কর দিতে হয়। তবে সম্পূর্ণ তৈরিকৃত এলইডি চিপ আমদানিতে কর দিতে হয় মাত্র ৩০ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সানটেক্স ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান শামসুল আরেফীন সোহেল বলেন, দেশের স্বার্থে এ ধরনের শুল্ক বৈষম্য দূর করা দরকার। সরকার একদিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানাচ্ছে, অন্যদিকে এলইডি চিপ তৈরির কাঁচামালের উপর অত্যধিক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দেশিয় উৎপাদনকে নিরুৎসাহিত করছে।
তিনি আরও বলেন, যদি দেশেই উচ্চ প্রযুক্তি ও মানসম্পন্ন এলইডি চিপ উৎপাদন কারখানা গড়ে উঠতো, তাহলে নিজস্ব তত্ত্ববধানে মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। এতে করে পরিবেশের ক্ষতি যেমন এড়ানো যেত তেমনি গ্রাহকরাও উচ্চ গুণগতমানের এলইডি পণ্য কিনতে পারতেন। পাশাপাশি, এ ধরনের উচ্চ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে দেশও অনেক এগিয়ে যেতো।
এ বিষয়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশ পার্টের সাবেক প্রধান অর্থনীতি মুহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, কাঁচামালের কর কম না হলে উৎপাদন খাত টেকসই হয় না এবং স্থানীয় উৎপাদন নিরুৎসাহিত হয়।
/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনাসহ ২৮৫ বিজিপি সদস্যকে
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে বাইডেনের সই
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা