X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

যেসব কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবারের ইউপি নির্বাচন

বিভুরঞ্জন সরকার
২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:২২আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০১৬, ১৬:২৫

বিভুরঞ্জন সরকার এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মানুষ এই নির্বাচনের কথা দীর্ঘদিন মনে রাখবে। এই নির্বাচন স্মরণীয় হয়ে থাকার কিছু কারণ এখানে উল্লেখ করছি।
ক. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দলের প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যানরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, আবার মেম্বাররা করছেন আগের মতো নির্দলীয়ভাবে। যার যার পছন্দের প্রতীক নিয়ে। স্থানীয় সরকারের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের এই নির্বাচন রাজনৈতিকভাবে হওয়ায় রাজনীতিটা এবার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। আমাদের দেশে রাজনীতি মানেই বিভক্তি, বিভাজন। কাজেই রাজনৈতিক বিভক্তি-বিভাজনও এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়ি বাড়ি পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। সব জায়গায় সমানভাবে না হলেও এটা হয়েছে।
খ. এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ইউপি নির্বাচনে যেখানে প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকে, সেখানে এবার অনেক ইউনিয়নেই কেবল আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকার বিষয়টি একেবারেই ব্যতিক্রমী। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান যেখানে ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী’, সেখানে ইউপি নির্বাচনে ডজন ডজন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগকে বিএনপির ওয়াকওভার দেওয়াটা মোটেও স্বাভাবিক নয়।
বিএনপি বলছে, ভয় দেখিয়ে কিংবা অন্য কোনও প্রতিক্রিয়ায় তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র  জমা দানে বাধা দেওয়া হয়েছে কিংবা ঠুনকো অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ বলছে, সারাদেশে সরকারি দলের জনপ্রিয়তা এতই প্রবল যে বিএনপির প্রার্থীরা হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভয় পাচ্ছেন অথবা দলের ছন্নছাড়া অবস্থার কারণে বিএনপি প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। কিন্তু প্রার্থী সংকটের প্রকৃত কারণ আর কেউ না জানলেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মানুষেরা জানেন। কোথাও কোথাও ভয়-ভীতির কারণে বিএনপির প্রার্থীরা নির্বাচনমুখী হতে চাননি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দানে বাধা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু উপেক্ষা করে বিএনপির প্রার্থীরা যেসব ইউনিয়নে নির্বাচন করেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে অথবা ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম করা হয়েছে।
গ. ব্যাপক সহিংসতার কারণেও এবারের ইউপি নির্বাচনের কথা অনেকের মনে থাকবে। আমাদের দেশে সব নির্বাচনেই কিছু সন্ত্রাস-সহিংসতা হয়ে থাকে। কিন্তু এবারের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ছয় দফা নির্বাচনের তৃতীয় দফা পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৪৫ জন মানুষ নির্বাচনি হাঙ্গামায় জীবন দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রার্থীদের কর্মীসমর্থক, আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও নারী-শিশুসহ একেবারে নির্দোষ মানুষও আছেন। শেষ দফা নির্বাচন পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যা কত হবে, আল্লাহ মালুম। অথচ ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র চার।
ঘ. নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার জন্যও এবারের ইউপি নির্বাচন ভবিষ্যতে অনেক দিন আলোচনায় থাকবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অঙ্গীকার করলেও নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সফলতার পরিচয় দিতে পারলে ইউপি নির্বাচন নিয়ে এত প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হতো না। কেবল বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার নিন্দা-সমালোচনা করা হয়েছে, তা নয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব দলই (আওয়ামী লীগ ছাড়া) নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। অথচ এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই দেশের বেশ কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেগুলোতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছিলেন।

আরও পড়তে পারেন: ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকায় ঢামেকের পুরনো ভবন!

রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন যে সক্ষমতা দেখাতে পেরেছিল, এবার ইউপি নির্বাচনে তার সামান্যতম অংশও পারেনি। নির্বাচন কমিশনের এই ব্যর্থতা সরকারের ভাবমূর্তিতেই অমোচনীয় কালি ছিটিয়ে দিচ্ছে।

ঙ. আরও যে কারণে এবারের ইউপি নির্বাচন আলাদা সেটা হলো, প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী লীগ যেহেতু ক্ষমতাসীন দল এবং নৌকা প্রতীক পেলেই যেখানে জয়লাভের সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ, সেখানে নৌকা পাওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের প্রতিযোগিতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিএনপি তো এখন খারাপ অবস্থায় আছে। রাজনীতিতে প্রান্তিক অবস্থানে থাকার পরও বিএনপিতে একদিকে দেখা যাচ্ছে প্রার্থী সংকট, অন্য দিকে প্রার্থীর আধিক্য। অনেক ইউপিতেই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়েছে আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়েছে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপি প্রার্থীদের জয়লাভ যেখানে খুব সহজ ব্যাপার ছিল না, সেখানেও দেখা গেছে বিএনপির অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিদ্রোহী প্রার্থী। যেমন আওয়ামী লীগের, তেমনি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও দলের অফিসিয়াল প্রার্থীকে কুপোকাত করে বিজয়ী হয়েছেন বেশ কিছু ইউনিয়নে।

চ. সর্বশেষ যে কারণে এবারের ইউপি নির্বাচন রাজনৈতিক মহল মনে রাখবে, সেটা হলো মনোনয়ন বাণিজ্য। এবারের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলেই কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাই। সংবাদ সম্মেলন করেই এই অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু কুমিল্লা নয়, আরও অনেক জেলা থেকেই এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে জেলা পর্যায়ের নেতা, এমপি, মন্ত্রী এবং কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার  নামও শোনা যাচ্ছে।

বিএনপিতেও একটি মনোনয়ন বাণিজ্য সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে বলে পত্রিকায় খবর বের হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান অফিসে এই সিন্ডিকেটের ঘাঁটি উল্লেখ করে খবরে বলা হয়েছে, পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে ৩০ কোটি টাকা আয় করেছেন এই সিন্ডিকেট সদস্যরা। খবরে বলা হয়েছে, ‘দরিদ্র’ এক নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে চার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। একজন নেতা দুটি ট্রাক কিনেছেন, দুটি বাড়ি বানিয়েছেন, অন্য একজন একটি ভক্সি গাড়ি কিনেছেন। এক সময় বলা হতো, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। এখন দেখা যাচ্ছে, রাজনীতি বাণিজ্যেও লক্ষ্মী খুব পিছিয়ে নেই।

ইউপির পরিষদের মতো একটি স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যদি এভাবে টাকার খেলা চলে তাহলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণকে সেবা দেবে না বিনিয়োগ করা অর্থ ঘরে ফিরিয়ে আনতে বাণিজ্যেই মনোযোগী হবে—সে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই মুখ্য হয়ে উঠছে।

দুই.

ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একচেটিয়া বিজয় এবং নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সম্ভবত দলের শীর্ষ পর্যায়ে কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করেছে। তাছাড়া নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের বাইরে বিপুল সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এবং অনেক ক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীদের জয়ী হয়ে আসার ঘটনাটিও আওয়ামী লীগের জন্য কোনও ভালো খবর নয়। তৃণমূল পর্যায়ে দলের নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক কাঠামো যে কতটা বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে তার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে ইউপি নির্বাচন থেকে। আওয়ামী লীগ যদি দ্রুত সংগঠন মেরামতের দিকে নজর না দেয়, তাহলে ইউপি নির্বাচনের একতরফা জয় শেষ পর্যন্ত দলের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে নাও থাকতে পারে।

আরও পড়তে পারেন: আইএস'র নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আর কাউকে না হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে বিষয়টি ভাবিয়েছে সেটা বোঝা যায় তার বার্তা নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের ঘটনায়। ২১ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে পাঠানো বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। তিনি চান না নির্বাচনে অনিয়ম, সহিংসতা হোক। নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। নির্বাচনি বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার সঙ্গে আওযামী লীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

ইউপি নির্বাচন এবং এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলের ব্যাপক নিন্দা-সমালোচনা, প্রশ্ন ও বিতর্কের মুখে নির্বাচন কমিশনের পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর বার্তা রাজনৈতিকভাবে একেবারে তাৎপর্যবিহীন নয়। প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেছেন, আগের দুই ধাপে যা হওয়ার হয়েছে। সামনের ধাপগুলোতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সহিংসতাও হবে না। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সাহায্য করতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের কাছে রেখেছেন।

২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের নির্বাচনও শেষ হয়েছে। এই নির্বাচনও অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলামুক্ত হয়নি। কাজেই পরবর্তী তিন ধাপের নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে—সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

তিন.

৩০ মার্চ ছিল দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন। টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ১৪৯ ভোটে পরাজিত হন বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি মো. রহিজউদ্দিন আখন্দ। রহিজউদ্দিন অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে ৫ বছর সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে দুবার উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিছু এরপরও তিনি এবার দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ১৪৯ ভোটে তাকে পরাজিত দেখানো হয়। রহিজ বলেছেন, ভোটে তিনি জয়লাভ করলেও ফলাফল তাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, যে দলের জন্য এত শ্রম দিয়েছি, সেই দল আমাকে এভাবে পরাজিত করেছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আর রাজনীতি করব না। দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হলাম। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। আর যতটুকু পারি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব।

আরও পড়তে পারেন: সেতারের নিরাপদ ধুন!

রহিজউদ্দিনের দুধ দিয়ে গোসল করে রাজনীতি থেকে বিদায় ও ভবিষ্যতে নির্বাচনে না করার সিদ্ধান্ত  ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতি কী অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যারা দীর্ঘ দিন থেকে রাজনীতি করছেন, যারা জনপ্রিয়, নির্বাচনে যাদের মনোনয়ন পাওয়ার কথা এবার ইউপি নির্বাচনে সেক্ষেত্রে অনেক ব্যতিক্রম দেখা গেছে। যাদের দলের সঙ্গে তেমন বন্ধন নেই, তারা বিশেষ কৌশলে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন। কতগুলো ক্ষেত্রে এই ব্যতিক্রম ঘটেছে তার একটি হিসাব আওয়ামী লীগের করা উচিত। দলের মধ্যে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা দূর করতে উদ্যোগী না হয়ে যদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলকে আওয়ামী লীগ তাদের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হিসেবে ধরে নেয় তাহলে বড় ভুল করবে।

এখন মাঠে আওয়ামী লীগের শক্ত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই ঠিকই কিন্তু এ অবস্থার দীর্ঘ দিন চলবে ধরে নেওয়াটা হবে চরম বোকামি। মনে রাখতে হবে আমাদের দেশে একটি প্রবাদ চালু আছে—বোকার ফসল পোকায় খায়।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত সহায়তার আহ্বান
ন্যাপ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর প্রতি পর্যাপ্ত সহায়তার আহ্বান
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
মীনা বাজার এখন মিরপুর-১২ নম্বরে
কুবিতে উপাচার্য-ট্রেজারার-প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৩ দফতরে তালা
কুবিতে উপাচার্য-ট্রেজারার-প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ৩ দফতরে তালা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ