X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং হেফাজত বাস্তবতা

মাসুদা ভাট্টি
০৫ মে ২০১৬, ১৩:৪৯আপডেট : ০৫ মে ২০১৬, ১৪:৩০

মাসুদা ভাট্টি ৫ মে ২০১৬ তারিখে বসে যখন এই লেখাটি লিখছি তখন এ কথা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে, ২০১৩ সালের ৫ মে এদেশে কী ঘটেছিল। এই নিবন্ধের অনেক পাঠকের স্মৃতিতেই হয়তো এই দিনটি বিভীষিকাময় হয়ে আছে এবং না থাকার কোনও কারণও নেই। স্মরণ করি, এমন অনেক মানুষও ছিলেন, যারা সেদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন ঢাকায় আসা কয়েক লাখ হেফাজত কর্মী দেশ দখল করে একটি ইসলামিক-সরকার (ইসলামিক স্টেইট) কায়েম করবে। ধরুন, সেদিন যদি তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতো তাহলে কী হতো? অনেক তাত্ত্বিকই এই প্রশ্নের উত্তরে হয়তো বলবেন যে, কী আবার হতো, এদেশের একটি বিরাট সংখ্যক মানুষ যদি এরকম একটি ধর্মভিত্তিক উত্থানকে সমর্থন করে তাহলে তাই-ই হওয়া উচিত। প্রশ্ন হলো, এদেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ সেটা চায় কিনা?
আমরা আরও স্মরণ করতে পারি যে, সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে দেশকে রক্ষা করেছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এবং সরকারের পুলিশ বিভাগ, বিশেষ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ ও কঠোর সিদ্ধান্তে সেদিন হেফাজতের তাণ্ডব-বাহিনীকে ঢাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঢাকাবাসী তথা দেশবাসী সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিল একটি বড় ধরনের বিপদের হাত থেকে। তারপর থেকে আজ অবধি এদেশ পার করেছে আরও অনেক বিপদ ও আপদ, এখনও বাংলাদেশ অতিক্রম করছে এক দুঃসহ সময়। কিন্তু সেদিনের তুলনায় আজকের বিপদগুলো যেন নিতান্তই তুচ্ছ ঘটনা। সেদিক দিয়ে বিচার করলে এ কথা এখন বলার সময় এসেছে যে, হেফাজতের সেই তাণ্ডব এবং তার পূর্বাপর নিয়ে এখনও এদেশে তেমন কোনও গবেষণা বা সেদিনের পরের যে বাংলাদেশে আমরা এই মুহূর্তে বসবাস করছি তার ভবিষ্যতের ওপর সেদিনের ঘটনা কী ধরনের প্রভাব ফেলছে বা ফেলতে পারে তা নিয়ে কোনও আলোচনার তাগিদ ঠিক কারও মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। যেন দিনটিকে পার করা গেছে, এই ঢের, এ নিয়ে আবার আলোচনা-গবেষণার কি আছে? কিন্তু সত্যিই কি আলোচনা-গবেষণার কিছুই নেই?

আরও পড়তে পারেন: আচমকা নয়, পরিকল্পিতভাবেই শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় হেফাজত
এ প্রশ্ন আমি আগেও তুলেছি যে, ২০১৩ সালের ৫ মে যারা ঢাকা দখল তথা দেশ দখল করার উদ্দেশ্য নিয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়েছিল তাদেরকে ঢাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশ থেকে কি তাদের সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে? এ প্রশ্নের খুব সরল উত্তর হচ্ছে, না, তারা দেশেই আছে এবং এটাই স্বাভাবিক। সবচেয়ে বড় কথা হলো, তারাও এ দেশেরই সন্তান এবং এদেশের অংশ। একটি হঠকারী রাজনৈতিক চক্রান্তের খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে তারা ঢাকায় এসেছিল আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে, শুধুমাত্র এ কারণেই তাদেরকে নিঃশ্চিহ্ন করে দেওয়া কোনও সমাধান হতে পারে না, হওয়া উচিত নয়। বরং তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে তাদেরকে এই ভয়ঙ্কর পথ থেকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করাটাই হবে সময়োচিত পদক্ষেপ। আমরা দেখতে পাই যে, সরকার এ ব্যাপারে তাদের প্রতি সহানুভূতি নিয়েই কাজ করে চলেছে। হয়তো এ জন্য অনেকেই সরকারের সমালোচনা করছেন কিন্তু বিষয়টি যদি এভাবে দেখা যায় যে, এতো বড় একটি জনগোষ্ঠীকে বিভ্রান্ত ও বিরুদ্ধ-রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত রেখে দেওয়াটা যে কোনও সরকারের জন্যই আত্মঘাতী ব্যাপার হবে, তাহলে বোধকরি ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা সহজ হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকারের ভেতরের একটি অংশ কিংবা সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি পক্ষ মনে করে যে, হেফাজতকে ‘তেলে-ঝোলে’ রাখলেই হয়তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে হেফাজত নেতাদের নানা ‘খায়েশ’ মেটানোর প্রবণতাও আমরা লক্ষ্য করেছি বিগত বছরগুলোতে, যা কেবল দৃষ্টিকটুই নয়, বরং তাদেরকে এভাবে এক ধরনের উৎকোচ প্রদানের ফল হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তারা একটি- ‘খাই খাই’-এর ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে, নানা উছিলায় তারা সরকারকে এক ধরনের ব্ল্যাককমেইল করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তার চেয়েও বড় কথা হলো, তারা যে একটি শক্তি এবং সেই শক্তি সরকারকে টলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, সেটা যেনো সরকার মেনেই নিয়েছে। হেফাজতকে ঢাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া যদি সরকারের একটি বড় ধরনের সাফল্য হয়ে থাকে তাহলে তারপর থেকে ক্রমাগত হেফাজত-নেতৃবৃন্দকে তোষণ করাটাকে আমি সরকারের অন্যতম ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করতে চাই। কারণ, এভাবে হেফাজত নামে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা একটি ধর্মভিত্তিক প্ল্যাটফরমকে (যারা আসলে সরকারের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়ে নেমেছিল উৎখাত করার জন্য এবং তাও আবার অন্য একটি রাজনৈতিক শক্তির ভাড়াটে হিসেবে) শক্তিহীন করা যাবে না, বরং তারা এই ফাঁকে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

চোখের সামনে বাংলাদেশকে বদলে যেতে দেখছেন অনেকেই। বিশেষ করে, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর ভেতর ধর্মকে রাজনীতির একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের সফলতা বাংলাদেশকে একটি বড় ধরনের ধর্মবাদী রাষ্ট্র হিসেবে নতুন করে বিশ্বের সামনে পরিচিত করে তুলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এই প্রবণতা থেকে দেশকে বের করে আনতে পারছে না, বরং ক্রমাগত এই অভিযোগ আরও ভিত্তি পাচ্ছে যে, সরকার এই ধর্মবাদী শক্তিকে হয় ভয় পাচ্ছে না হয় ভোটের রাজনীতিতে তাদেরকে পাশে পাওয়ার লক্ষ্যে তাদেরকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ক্রমাগত শক্তিশালীই করে যাচ্ছে। একটু আগেই হেফাজতকে তোষণ করার কথা উল্লেখ করেছি। ৫ মে ২০১৩ সালে হেফাজত কেন হঠাৎ দেশ দখলে উৎসাহী হলো, কে বা কারা এর পেছনে ইন্ধন জুগিয়েছিল, কোনও বিদেশি কানেকশন এর পেছনে আছে কিনা, দেশের মানুষই বা হেফাজতকে কীভাবে দেখে বা দেখছে - এসব প্রশ্নকে সামনে রেখে কোনও পদক্ষেপ সরকার নিয়েছে বলে জানা নেই। এমনকি আজকের বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে যে, হেফাজত-তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে যতোগুলো মামলা তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী করেছিল সেগুলো এখনও নিষ্ক্রিয় হয়েই পড়ে আছে। কিংবা হেফাজত-সমর্থন যে বিশাল জমায়েত সেদিন ঢাকায় হয়েছিল তারা ঢাকা থেকে ফিরে গিয়ে সমাজে বা দেশে কোন অবস্থান নিয়ে কী করছে সে প্রশ্ন তোলাটাও এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়তে পারেন: ‘নিহত’দের তালিকা দেয়নি হেফাজত

আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বাংলাদেশে এই ধর্মভিত্তিক শক্তিটিকে কেন্দ্র করে বিদেশি রাষ্ট্রের তৎপরতা উত্তোরত্তর কেবল শক্তিশালী হচ্ছে তাই-ই নয়, বরং তারা এখন আর কোনও রাখঢাকও রাখছে না। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাক গলানোর সুযোগ ঘটে বেছে বেছে এমন ব্যক্তিকে টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। তার মানে কেবল এটাই সত্য নয় যে, কেবলমাত্র তাদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে। বরং ধর্মের নামে কথিত নাস্তিক হত্যার যে মহোৎসব দেশে শুরু হয়েছে তাতে আসলে কার কতোটা অংশগ্রহণ সেটা এখনও আমরা নিরূপণ করতে পারিনি। কেবল কিছু ধারণালব্ধ বিশ্লেষণ যে যার জায়গা থেকে দিয়ে যাচ্ছি। সরকারও এ ব্যাপারে একটু নিষ্পৃহই বলা যায়। এমতাবস্থায় ৫ মে ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং তার পর এই বিশাল হেফাজত-বাহিনীর অবস্থান ও তৎপরতা নিয়ে আলোচনা যৌক্তিক কারণেই সঙ্গত। কারণ, তারা এদেশের সন্তান এবং এদেশের অংশ, তাদেরকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ কল্পনা করা যায় না, উচিতও নয়। বরং কীভাবে তাদেরকে রাষ্ট্রের উন্নয়নের চাকায় সম্পৃক্ত করা যেতে পারে সেটা নিয়ে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। সেটা কি তাদের নেতৃত্বকে তোষণ করে কিংবা নানা রকম উপঢৌকন দিয়ে নাকি তাদের বিশাল সমর্থকবাহিনীকে ষড়যন্ত্রের লেঠেল বাহিনী হিসেবে যাতে আর কেউ ব্যবহার করতে না পারে সেদিকটি নিশ্চিত করা আবশ্যক?

আরও পড়তে পারেন: হেফাজতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছে আ. লীগ!

আমরা এও জানি যে, হেফাজত আসলে কেন তৈরি হয়েছিল; কেন তারা ঢাকায় এসেছিল; গণজাগরণ মঞ্চের বিপরীতে রাতারাতি কারা হেফাজতকে দাঁড় করিয়েছিল। গণজাগরণ মঞ্চ নেই কিন্তু হেফাজত এখনও আছে - এই নির্মম সত্যকে এখন আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। এটা যে আমাদের একটি পরাজয় সে কথা আমরা স্বীকার করছি না। অথচ দু’টোই কি বাস্তব স্মৃতি আমাদের কাছে। যদিও গণজাগরণ মঞ্চ তৈরি হয়েছিল জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে, অপরদিকে হেফাজতকে ঢাকায় আনা হয়েছিল একটি ধ্বংসাত্মক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। গণজাগরণ মঞ্চ তার উদ্দেশ্য সফল করেছে বলতে পারি কিন্তু হেফাজত যে ব্যর্থ হয়েছে তাই বা বলি কি করে? হ্যাঁ, ২০১৩ সালের ৫ মে তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছিল হয়তো কিন্তু ভবিষ্যতে যে ব্যর্থ হবে সেটা কি কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেন? আবারও এ কথা বলতেই হয় যে, গণজাগরণ মঞ্চ কিংবা সেই মতাদর্শে বিশ্বাসী যারা এদেশে একটি গণতান্ত্রিক, উদার ও বহুত্ববাদী সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দেখতে চান এবং তাদের বিপরীতে হেফাজতপন্থী যারা এদেশকে একটি কট্টর মৌলবাদী ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান - দু’পক্ষই আসলে বাংলাদেশেরই সন্তান। এখন কোনও মায়ের এক সন্তান যদি আরেক সন্তানকে খুন করতে চায়, সে ক্ষেত্রে মায়ের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? মায়ের কাছেতো তার দু’টি সন্তানই নাড়ি-ছেঁড়া। প্রচলিত ধারণা বলে যে, যে সন্তান উচ্ছন্নে যায় কিংবা ধংসাত্মক কাজে লিপ্ত থাকে তাকে সুপথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বও কিন্তু মায়েরই। আজকের বাংলাদেশের ভূমিকা সেই মায়ের মতোই, যাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, কোন সন্তানকে সে কতোটুকু প্রশ্রয় দেবে, আর কাকে সে কতোটা শক্ত হাতে নিবৃত করবে ধ্বংসাত্মক প্রবণতা থেকে।

আমরা এমন মায়ের উদাহরণও জানি, যে মা তার খুনি সন্তানকে আইনের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার উদ্দেশ্যেতো বটেই আবার এ কারণেও যে, এভাবেই আসলে তিনি তার বিভ্রান্ত সন্তানটিকেও বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছেন। আজকে বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে আবেগের কোনও সুযোগ নেই, নেই কোনও অপত্য স্নেহের জায়গাও। যেখানে আঘাত করলে এই বিশাল ধর্মাশ্রয়ী শক্তিকে নিবৃত করা সম্ভব হবে ঠিক সেখানেই আঘাত করতে হবে নির্মোহ হয়ে, কোনও দিক না ভেবেই। দেশের স্বার্থের কাছে সন্তানকে বলি দিতে হলেও সেটা করাই হবে এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ। খুনি, অপরের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের ধর্মাস্ত্র হওয়া কিংবা বিদেশি-স্বার্থের জন্যে বাংলাদেশি-চাপাতি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এদেশের সন্তান হলেও অন্তে তারা দেশ ও দশের শত্রু, মুষ্টিমেয়র জন্য গোটা দেশকে শত্রু কবলিত করার কোনও কারণ থাকতে পারে না; কোনও বুদ্ধিমান মা সেটি করবেন না। আগেই বলেছি, এই কুপথে যাওয়া সন্তানদের স্বার্থেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে, নাহলে তাদের সঙ্গে গোটা দেশকেই আমাদের হারাতে হবে।

লেখক: কলামিস্ট

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল আজ
টিভিতে আজকের খেলা (২০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২০ এপ্রিল, ২০২৪)
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ