X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

'অজ্ঞ শিক্ষার্থী' বনাম 'মূর্খ সাংবাদিক'

হারুন উর রশীদ
৩১ মে ২০১৬, ১৫:৩৮আপডেট : ৩১ মে ২০১৬, ১৬:০৬

হারুন উর রশীদ একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের একটি প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। টেলিভিশন দর্শকের বাইরে গত দু’দিনে লাখ লাখ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে টিভি প্রতিবেদনটি দেখেছেন। আর তা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
প্রতিবেদনটি এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া কয়েকজন বাছাই করা শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকারভিত্তিক। আর এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রতিবেদক চেষ্টা করেছেন তাদের জ্ঞানের গভীরতা মাপার। তিনি চেষ্টা করেছেন যারা জিপিএ ৫ পেয়েছেন, তারা আসলেই যোগ্য কিনা অথবা তাদের জ্ঞান জিপিএ ৫ পাওয়াকে সমর্থন করে কিনা।
প্রতিবেদক দু’একটি বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন করেছেন, তবে বেশিরভাগই সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন। কোনও দেশের রাজধানী কোথায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস কত তারিখ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কত তারিখ। শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় ইত্যাদি।
আমরা জানিনা প্রকৃতপক্ষে কতজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, আর কতজনের সাক্ষাৎকার দেখান হয়েছে। একই শিক্ষার্থীকে কতটি প্রশ্ন করা হয়েছে, আর কতটির উত্তর দেখান হয়েছে। আর এই শিক্ষার্থীদের কোন পদ্ধতিতে বাছাই করা হয়েছে।
তবে প্রতিবেদনে যা দেখানো হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব দিতে পারেননি। জবাব না দিতে পারায় তাদের লজ্জা এবং আড়ষ্ট ভাব প্রকাশ পেয়েছে। এই জবাবের ভিত্তিতে প্রতিবেদক আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আর শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবেদক কোনও অপরাধ, অন্যায় বা অপসাংবাদিকতা করেছেন বলে আমি মনে করি না। আমাদের শিক্ষার মান নিয়ে আমাদের শিক্ষাবিদরাই বার বার প্রশ্ন তুলছেন। এবং প্রশ্ন আছে।

কিন্তু আমার আপত্তি ভিন্ন জায়গায়। তা হলো শিক্ষাব্যবস্থার মান দেখাতে গিয়ে কাদের বলির পাঠা করা হলো। তারা আর কেউ নয়, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে যাদের মধ্যে ছাত্রীও রয়েছেন। কেউ বলতে পারেন তাতে দোষের কী হয়েছে? তাদের এই প্রশ্নের জবাব আমি কয়েক ধাপে দেবো।

প্রথমে আসি যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তাদের ব্যাপারে। এই শিক্ষার্থীদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে, বাংলাদেশের আইনে তারা সবাই শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের সবার চেহারা স্পষ্ট রেখেই তাদের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে। আর প্রতিবেদনটিতে তারা প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই হেয় হয়েছেন। কোনও শিশুকে বা অপ্রাপ্ত বয়স্ককে হেয় করা অমানবিক, অন্যায়, বেআইনি। আর তা যদি প্রকাশ্যে হয় তাহলো তো কোনও কথাই নেই।

প্রতিবেদনটি টেলিভিশনে প্রচার এবং ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ায় লাখ লাখ দর্শক তা দেখেছেন। তাদের বাবা-মা দেখেছেন, বন্ধুরা দেখেছেন, সহপাঠীরা দেখেছেন। ফলে এই শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচিত পরিবেশে এবং সাধারণ দর্শকদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন- অপমানিত হয়েছেন। তাদের ভেতরে তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা হয়তো এরইমধ্যে  ‘বোকা’ আখ্যা পেয়েছেন।

আরও পড়তে পারেন: আংশিক বনাম পুরো সত্য!

শিশু মনস্তত্ব এবং আইন না বুঝেই টেলিভিশন সাংবাদিক মহোদয় প্রতিবেদনটিতে যেভাবে শিক্ষার্থীদের উপস্থাপন করেছেন, তাতে এখন ওই ১০/১২ জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত আরও অন্ধকার হয়ে যেতে পারে। আর তাদের ওপর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যার ফল হতে পারে আরও ভয়াবহ।

আমার একটি ঘটনা এখন খুব মনে পড়ছে। একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে কাজ করার সুবাদে কয়েক বছর আগে আমি অমর একুশে গ্রন্থমেলার ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করি। আর সেই প্রতিবদেনের জন্য আমি অন্যান্য ছবির সঙ্গে বই হাতে একটি স্টলের সামনে দাঁড়ানো একটি শিশুর ক্লোজ ছবি পাঠাই। ছবি পাওয়ার পর আমাকে তারা মেইল করে জানতে চায়, ছবি প্রকাশের জন্য ওই শিশুর অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। মৌখিক অনুমতি ছিল তবে তাদের কাছ থেকে আমি কোনও লিখিত অনুমতি নেইনি। আর লিখিত অনুমতি না থাকায় তারা সেই ছবি ছাপেনি। এটাই তাদের সাংবাদিকতার এথিকস বা নীতি। ভাবুনতো, বই হাতে একটি শিশু দাঁড়িয়ে আছে এমন নির্দোষ ছবি ছাপতে বাধা থাকতে পারে? পারে, কারণ সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাকে ফোকাস বা এক্সপোজ করলে তার ক্ষতির কারণও হতে পারে।

আর বাংলাদেশে এই টেলিভিশন সাংবাদিকতো শিক্ষার্থীদের প্রকারান্তরে অপরাধী বানিয়ে তাদের ছবি, বক্তব্য সবই প্রচার করলেন। এখন এই শিশুরা যদি এই প্রতিবেদনের কারণে অপমান, গ্লানি বা লজ্জায় কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার দায় কে নেবে?

আমি জানি না এই অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেখানো এবং তাদের সাক্ষাৎকার প্রচারে তাদের অভিভাবকের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা। যদি তাদের অভিভাবকরা অনুমতি দিয়েও থাকেন তারপরও সাংবাদিকতার নীতিমালা মানলে তা দেখানো যায় না। কারণ তারা হয়তো এর নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নাও থাকতে পারেন। এটাই সাংবাদিকতার দায়িত্বশীলতা, নৈতিকতা।

শুধুমাত্র এই প্রতিবেদনটি নিয়েই বা বলছি কেন। বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলে বা সংবাদমাধ্যমে এখনও ‘কিশোর অপরাধীদে’র ছবি প্রচার হয়। তাদের সবার বয়স ১৮ বছরের নিচে। কিন্তু আমরা জানি শিশু বা কিশোররা কখনও অপরাধ করে না, তারা ভুল করে। আর সে কারণেই তাদের শাস্তির বিধান নেই, আছে সংশোধনের আইন। তাদের ছবি যদি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় বা তাদের পরিচয় যদি প্রকাশ করা হয়, তাহলে তাদের অপরাধী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে, সংশোধনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর সংবাদ মাধ্যম এটা করতে পারে না। এটা করলে বাংলাদেশের আইনে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

শিক্ষার মান নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে আমি মনে করি। শুধু আমি নই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভুঁইয়াও তাই মনে করেন। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলটির উচিৎ হবে দুঃখ প্রকাশ করে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া। আমি জানি না, তারা কিভাবে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে।’

আমি আরও একটি কথা এখানে বলতে চাই। যে শিক্ষার্থীদের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে তাদের মধ্যে ছাত্রী বা মেয়ে শিক্ষার্থীও আছেন। তাদের ব্যাপারে জেন্ডার নীতিমালাও মানা হয়নি। তারা আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন। 'বোকা ছেলে' হয়তো সমাজ নেবে, কিন্তু 'বোকা মেয়ে'র কী হবে! প্রতিবেদকতো তাদের ‘বোকা মেয়ে’ হিসেবে উপস্থান করলেন।

শিক্ষার মান নিয়ে হা-হুতাশের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু মন্তব্য এসেছে এই প্রতিবেদনটি নিয়ে।

ফেসবুকে সাংবাদিক শেরিফ আল সায়ার লিখেছেন, ‘আমার ছেলেরে ভাবছি সবকিছু শেখানোর আগে সাংবাদিকতার এথিক্স শিখিয়ে দেবো। শেখানো কোনও ব্যাপার না। গুগল করলেই জানা যাবে। যা দিনকাল পড়েছে, সাংবাদিকরা যখন তখন হুট করে ক্যামেরা আর বুম নিয়ে এসে পড়া ধরা শুরু করবে। না পারলে তো পোয়া বারো। বরং সাংবাদিকতার এথিক্স শিখিয়ে দেবো। সাংবাদিক যেখানে-সেখানে পড়া ধরা শুরু করলে সেও পাল্টা প্রশ্ন করবে: হোয়াট ইজ দ্য কোড অব ইথিকস ফর জার্নালিস্ট? ছেলেরে বইলা দেবো- এর উত্তর দিতে পারলে উত্তর দেবে, না পারলে বলবা - "দুঃখিত"।’

সাংবাদিক ফাতেমা আবেদীন নাজলা লিখেছেন, ‘‌শিক্ষাবিটের সাংবাদিকের ভিক্টিম ছয় শিক্ষার্থীর বাপ-মাকে আইনজীবী দিয়ে সহায়তা করতে চাই। কিচ্ছু না, তাদের মানহানি করার জন্য। যেভাবে এই ভিডিও গোটা বিশ্বে ছড়াইছে, আর জ্ঞানীরা জ্ঞিয়ান ঝারতেছেন সাইবার আইনেও মামলা করা যায়। কেউ কোনও তথ্য নাই জানতে পারে, সেটা হাস্যরস করা, সেটা নিয়া প্রতিবেদন করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ২০০৮ সালে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রে একটা জরিপ হইছিল প্রেসিডেন্টের নাম কি? ৪০ শতাংশ লোক প্রেসিডেন্টের নাম জানে না, ১১ শতাংশ লোক খুব স্ট্রেটলি উত্তর দিছিলেন, প্রেসিডেন্টের নাম আমার প্রয়োজন নেই। দুপুরে খাবার খাওয়া আমার দরকার। কিছু তথ্য না জানলে হয়তো ওদের অজ্ঞতা নিয়ে হাসাহাসি করতে পারব, কিন্তু জিপিএ ৫ না পাওয়াতে ভাল কলেজে ভর্তি না পাওয়াতে ওদের যে নিগ্রহের শিকার হতে হবে, তার দায় কে নেবেন? শুধু নিগ্রহ না ওদের আত্মহত্যা করতে হয়। এই ছয় বাচ্চা এই রিপোর্ট প্রকাশের পর কতটুকু নিগ্রহের শিকার হইছে তাদের পরিবারের কি অবস্থা, এই দায় কি পুরো ... নিউজ টিম নেবে? মানে কান বরাবর থাপ্পড় ছাড়া আর কিছুই দিতে ইচ্ছা করতেছে না।’

শফিউদ্দিন আহমেদ নান্নু নামে একজন লিখেছেন, ‘যে কোনও ওয়েবসাইটের ঠিকানা লিখতে শুরুতেই আমরা লিখি www । বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আমরা কজনে জানি এই www এর অর্থ ! অবাক হবেন না। সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে ভাল রেজাল্ট করতে গেলে এটিও জানতে হয়, এটি তাদের বইয়ে আছে। এইচএসসির একজন ছাত্রকে সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে পড়তে হয়, কলমানি কী? একটি দ্রব্যের মূল্য এবং দামের মাঝে অর্থগত তফাৎ কী? আমরা কজনে জানি এসব! এসব বাদ দেই, এবার আসি জিপিএ-৫ নিয়ে.... একটি বাংলা বাক্য ইংরেজিতে বলতে না পারার বিষয়টি ছাড়া, অন্যসব প্রশ্নের একটির উত্তর না জানলেও গত এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে যা ছিল তা দিয়ে অনায়াসে একটি ছেলে, মেয়ে জিপিএ-৫ পেতে পারে। বিশ্বাস না হলে গত এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘেঁটে দেখুন। তারপরও বলি, আমাদের স্বাধীনতা দিবস কবে, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার কোথায়, জাতীয় সংগীত, রণসঙ্গীতের রচয়িতার নাম বলতে না পারা দুঃখজনক।’

সাংবাদিক সারোয়ার সুমন লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করেন এই বাচ্চাগুলোর একজনেরও অভিভাবক আমি হলে ওই টেলিভিশনের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ঠুকে দিতাম। এইরকম রেপিড ফায়ার টাইপ প্রশ্ন দিয়ে আরেকজনের জ্ঞানের লেভেল মাপার অধিকার কারও নেই। কোওন টেলিভিশনের তো নয়ই।’

আমি শিক্ষার মান নিয়ে কোনও বিতর্ক এখানে করিনি। করার ইচ্ছাও নেই। তবে এটা নিয়ে বিতর্কতো আছেই। আর এই বিতর্ক প্রয়োজনও আছে। শিক্ষার মান উন্নয়নে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনেরও প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে সমাজকে সচেতন করার। কিন্তু সেজন্য জানতে হবে সংবাদ উপস্থাপনার কৌশল। জানতে হবে শিশু তথা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কিভাবে উপস্থাপন করতে হয়। তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেতো শিক্ষার মানোন্নয়ন হতে পারে না।

প্রতিবেদনে শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন, ওই শিক্ষাবিদদের কি জানানো হয়েছে যে একই প্রতিবেদনে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেখানো হবে? আমার ধারণা তা জানানো হয়নি। কারণ তাদের বক্তব্য কাউকে ফোকাস করে নয়, সাধারণ বা জেনারেলাইজড ফর্মে তারা কথা বলেছেন।

আরও পড়তে পারেন: শিশু-কিশোর নয়, এ দায় আপনার-আমার-আমাদের

সবার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ হামিদা আলীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানান,‘ প্রতিবেদক আমাকে শিক্ষার মান নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছেন। আমি জবাব দিয়েছি। তিনি বলেননি যে, প্রতিবেদনে কিছু শিক্ষার্থীকে ফোকাস করা হবে। এটা করা হয়ে থাকলে দুঃখজনক। এতে ওই শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটা করা ঠিক হয়নি।’

আরও অনেক কথা বলা যায়। আছে আরও অনেক দিক। বলা হয়তো প্রাসঙ্গিক হবে, কিন্তু দৈর্ঘে বা আপনাদের ধৈর্যে তা সমীচীন হবে বলে মনে করিনা। তবে একটি কথা বলতে চাই। শিক্ষার্থীদের অজ্ঞতার একটা প্রতিকার আছে। কিন্তু সাংবাদিকের 'মূর্খতা'র প্রতিকার করবে কে? 'মূর্খ সাংবাদিকে'র সাংবাদিকতা শিক্ষার্থীদের এই অজ্ঞতার চেয়ে আরও যে কত ভয়ঙ্কর তা ভেবে দেখা উচিৎ এখনই।

লেখক: সাংবাদিক

ইমেইল: [email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
‘নীরব এলাকা’, তবু হর্নের শব্দে টেকা দায়
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
নির্দেশের পরও হল ত্যাগ করছেন না চুয়েট শিক্ষার্থীরা, বাসে আগুন
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ