X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

হত্যাকাণ্ড বাড়ছে বাড়বেই!

সালেক উদ্দিন
০২ জুন ২০১৬, ১২:৪৮আপডেট : ০২ জুন ২০১৬, ১৩:২৬

সালেক উদ্দিন শিরোনামটি লিখে ভাবছিলাম কোত্থেকে শুরু করবো। লেখার উপকরণ অল্প থাকলে লেখা সহজ। আর ঘটনার ছড়াছড়ি হলেই পড়তে হয় মুশকিলে- কোনটা ধরি আর কোনটা ছাড়ি! দেশে নির্ভয়ে চলছে ব্লগার হত্যা, রাজনৈতিক কর্মী হত্যা, প্রকাশক হত্যা, শিক্ষক হত্যা, শিক্ষক হত্যা, ইমাম হত্যা, মুয়াজ্জেম হত্যা, ধর্মযাজক হত্যা, বিদেশি নাগরিক হত্যা, এনজিও কর্মী হত্যা, দর্জি হত্যা, নাস্তিক হত্যা, আস্তিক হত্যা, চেকপোস্টে পুলিশ হত্যা, পুলিশ হেফাজতে আসামী হত্যা, ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসী হত্যা, শিশু হত্যা, ছাত্র হত্যা, ছাত্রী হত্যা, গৃহবধূ হত্যা, গৃহপরিচারিকা হত্যা। প্রতিদিনের এত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে লেখার জন্য কোনটা যে আগে আনবো সেটা নির্বাচন করা কঠিন ব্যাপারই বলতে হবে।
পল্লীকবি জসীম উদ্দীন নিমন্ত্রণ কবিতায় তার শহরের বন্ধুকে গ্রামে আমন্ত্রণ করতে গিয়ে গ্রাম বাংলাকে এই বলে অভিহিত করেছিলেন যে, ‘শিম আর শিম হাত বাড়ালেই মুঠি ভরে সেইখানে’। কবি বেঁচে থাকলে এখন হয়তো আক্ষেপ করে লিখতেন ‘খুন আর খুন পা বাড়ালেই বুক কাঁপে এইখানে!’
কথাটি মনে হলো এ কারণেই যে প্রতিদিন খবরের কাগজে গড়ে ডজনখানেক খুনের ঘটনা আমরা দেখতে পাই। প্রতিদিন সারাদেশে যত মানুষ খুন হয় তার তিনভাগের একভাগও জাতীয় দৈনিকে আসে না। আসা সম্ভবও না। যদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খুনের ঘটনা সারাদেশে সংঘটিত খুনের ঘটনার তিনভাগের একভাগও ধরি সে হিসেবে সোনার বাংলায় প্রতিদিনের হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা হলো ৩০ থেকে ৪০টি। অর্থাৎ বাংলাদেশে দিনে ৩০/৪০ জন মানুষ খুন হচ্ছে। আর এই খুন যে শুধু রাজনৈতিক কারণে ঘটছে তা নয়। ঘটছে নানাবিধ কারণে নানা কৌশলে নানা প্রেক্ষাপটে। এখানে অতিতুচ্ছ ব্যাপারেও মানুষ মানুষকে খুন করছে।
এই তো সে দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহিপুর কলেজ মোড়ে বখাটে আব্দুল মালেকের দায়ের আঘাতে খুন হল দশম শ্রেণির ছাত্রী কনিকা রানী ঘোষ এবং গুরুতর আহত হলো তার তিন সহপাঠী। এই দিনেই বগুড়া বাসের ছাদে খুন হলো দুই যাত্রী। গোবিন্দগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসের ছাদে কয়েকজন যাত্রী উঠেছিল। পথিমধ্যে নেমে যায় কিছু যাত্রী। তারপর বাসটি বগুড়া তিনমাথা রেলগেট এলাকায় এলে ছাদ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে। তা দেখে বাসটি থামালে দেখা যায় ছাদে দুই যাত্রী খুন হয়েছে। এই দিনই ডেমরায় খুন হলো শাহানাজ আক্তার নামে এক গৃহবধূ। ওদিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালে ছাত্রলীগের কর্মী রেজাউল করিম রেজাকে হত্যা করলো ছাত্রলীগের অন্য কর্মীরা। গুরুতর আহত করলো চারজনকে। নিহত রেজা বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারী ছিল। আর তার প্রতিপক্ষ গ্রুপের ক্যাডাররা হলো মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দীনের অনুসারী।
এদিনের পত্রিকাতে আরও যেসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে একই দিনে কুমিল্লায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ পাঁচ জেলায় কমপক্ষে ১০ জন খুন হওয়ার খবর। এর মধ্যে জামালপুরে তিনজন, চট্টগ্রামের পটিয়ায় তিনজন, নোয়াখালীতে দুজন এবং পঞ্চগড়ে একজন। এনিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোট পাঁচটি ধাপে সারাদেশে খুন হলো ৯৬ জন। এখনও ইউনিয়ন পরিষদের ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন বাকি রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই খুনের সংখ্যা শতকের কোঠা ছাড়িয়ে যাবে।
হত্যাকাণ্ডের খবরে আরও ছিল, নাটোরের লালপুরে পলি খাতুন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে হত্যা। দুই ভাইকে আটক। পাবনার সাভার গ্রামে একমাসের মধ্যে একজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা এবং দশজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। রাজশাহীর দুর্গাপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবদুল লতিফকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা।
সম্ভবত এর এক কী দুই দিন আগেই পত্রিকায় দেখলাম লক্ষ্মীপুরে দুই সহোদর ইসমাইল হোসেন ও ইব্রাহীম হোসেন রতনকে চা দোকানে গুলি করে হত্যার ঘটনা। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এই দু'ভাই  বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। বর্তমানে তারা আওয়ামী লীগের কট্টর কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
এক দুই দিনের ব্যবধানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলো এটারই স্বাক্ষরবহন করে যে শুধু রাজনৈতিক কারণে নয় বরং সমাজের সকল স্তরেই হত্যাকাণ্ডের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটছে অতি সহজ ও স্বাভাবিকভাবে।
রাজনীতিতে খুন করা হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যে। এমনকি নিজ দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জন্যে খুন করা হচ্ছে সহকর্মীকে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলে থেকে যারা খুন করছে তারা খুনি সন্ত্রাসী। তারা সব সময় সুবিধাবাদী। তারা কখনই রাজনৈতিক দলের হতে পারে না। অধিকাংশ সন্ত্রাসীরই নির্দিষ্ট কোনও দল নেই। সরকারি দলই তাদের দল। এরা নিজেদের অপকর্ম নির্বিঘ্নে চালাবার জন্যেই সরকারি দলের রাজনীতি করে। আর রাজনৈতিক দলগুলোও কেন যেন তাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। মনে করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এরা অপরিহার্য। লক্ষ্মীপুরের সন্ত্রাসী দুই সহোদর ইসমাইল হোসেন ও ইব্রাহীম হোসেন রতন বিএনপি থেকে কট্টর আওয়ামী লীগার হওয়ার ঘটনার একটিমাত্র উদাহরণ বলা যেতে পারে। এধরনের উদাহরণ রাজনীতিতে এত আছে যে এদের তালিকা তৈরি করলে বহু পৃষ্ঠার একটি পুস্তক হয়ে যাবে।
মজার ব্যাপার হলো, যে দলই ক্ষমতায় যায় তাদের প্রথম সতর্কবাণী থাকে দলে যেন সুবিধাবাদী সন্ত্রাসীরা ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে তারা সদা সজাগ রয়েছেন। এরপরই শুরু হয় বিরোধীদলের সুবিধাবাদীদের সরকারি দলে ঢোকার প্রতিযোগিতা। জনসমাবেশ করে ফুলের মালা দিয়ে বরণও করা হয় তাদের। বিএনপি যখন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল তখনও তাই দেখেছি, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আমলেও এই দেখছি।
আমাদের দেশের সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা যতধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই করুক না কেন এমনকি খুন খারাবী করলেও সাধারণত আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত বাহিনীরা তাদের ধরে না। এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহও দেখা যায় না। মনে হয় এরা যেন তাদেরই সহোদর। আর যদি কোনও কারণে দু এক জন ধরা পড়েও যায় অসুবিধা নেই। সরকারি দলের বর ভাইরা কোনও না কোনও ফাঁক ফোঁকর দিয়ে তাদের বের করে নিয়ে আসে। আর বের হয়ে এসে তারা হয়ে যায় আরও শক্তিধর। দ্রুত মূল্য বাড়ে তাদের। বাড়ে অনুসারি। খুনখারাবীর মতো মারাত্মক অপরাধও তাদের কাছে আর মারাত্মক থাকে না। সহজ সাবলীলভাবেই এসব চলতে থাকে সমাজে।
এতো গেল রাজনৈতিক সন্ত্রাস আর হত্যাকাণ্ডের কথা। প্রশ্ন হলো এসব ছাড়াও সমাজে সর্বস্তরে প্রতিদিন যে এত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে এবং তাতে ক্রমেই বেড়ে চলছে তারই বা কারণ কী?
এর প্রধানতম কারণ হলো- খুন করে পার পেয়ে যাওয়া। খুন করে কেউ পার পেয়ে গেলে সে বহুবহু গুণ সাহসী ও শক্তিশালী হয়ে যায়। খুন তখন তার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়ে যায়। সে রাজনীতির লোকই হোক, অরাজনৈতিক সাধারণ লোকই হোক, সরকারি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকই হোক; সবার জন্য একই সূত্র। যেমন যে বাঘ কখনও মানুষ শিকার করেনি সে মানুষ দেখলে ভয় পায়। আর যে বাঘ একবার মানুষের রক্তের স্বাদ পেয়েছে সে মানুষ ছাড়া আর কিছু খায় না। তাইতো আমাদের সমাজে হাতের নাগালেই পেশাদার খুনি পাওয়া যায়।
আগে মানুষখুনকে জঘন্যতম অপরাধ হিসেবে দেখা হতো। খুনির চোদ্দগোষ্ঠীকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ ঘৃণা করত। তাদের সঙ্গে কেউ কোনও সম্পর্ক করতো না। এখন তা আর নেই।
খুনের অপরাধকে দ্রুতবিচারের আওতায় না আনতে পারাও খুন বিস্তারের একটি প্রধানতম কারণ। এইতো কদিন আগে বাংলা ট্রিবিউনেই প্রাসঙ্গিক একটি লেখায় শিশু হত্যার বিচার বিষয়ক সমীক্ষায় যে চিত্রটি তুলে ধরেছিলাম তাতে দেখা গেছে- হত্যাকাণ্ড বিষয়ে পুলিশের অভিযোগ আদালতে যেতে দুই বছরের অধিক কাল সময় লাগে। বিচারকাজ শুরু হতে লাগে আরও এক বছর। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরের ১২টি আদালতে ৪৩টি শিশুহত্যার বিচার চলছে বছরের পর বছর। এর কোনও কোনওটি ১৬ বছরের পুরনো। তারপরও রায় হয়নি।
সেই প্রতিবেদনেও উল্লেখ করেছিলাম- বিচারে দীর্ঘ বিলম্ব হলে বিচারের রায় অপরাধীর পক্ষেই যায়। অপরাধ করে অপরাধী পার পেয়ে যাওয়া যেমন তাকে পেশীশক্তির ব্যবহারে অনুপ্রাণিত করে এবং সমাজে নতুন নতুন অপরাধ করার সাহস জোগায়, তেমনি অপরাধের বিচারে দীর্ঘ বিলম্ব বিভিন্ন কৌশলে অপরাধীদের নিরপরাধী হয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় এবং অপরাধীরা এই সুযোগের শত ভাগ ব্যবহার করে। যদি খুনের মামলার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে অপরাধীদের মনে ভীতির সঞ্চার না হয়, বিচারের দীর্ঘবিলম্ব খুনিদের পার পাওয়ার পথ করে দেয়, নতুন নতুন অপরাধের অনুপ্রেরণা জোগায়, সমাজ হয়ে পড়ে অপরাধীর অবাধ বিচরণ ভূমি তবে যাদের কারণে বিচারের এই বিলম্ব তারা কি এর দায়ভার অস্বীকার করতে পারবেন? বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন তারাও একই রকম অপরাধী কিনা!
আর এই প্রতিবেদনেও দাবি করছি মানুষ খুনকে জঘন্যতম অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হোক। খুনের অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হোক এবং দ্রুত ও দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করা হোক। হত্যা মামলা নিষ্পত্তির সময় সীমা বেঁধে দিয়ে তা মেনে চলার জন্য কঠিন আইন করা হোক।

আরও পড়তে পারেন: শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়েছে রাষ্ট্র
দ্রুত খুনের মামলা নিষ্পত্তি মোটেই কঠিন বা অসম্ভব বিষয় নয়। অতি সম্প্রতি এদেশেই দশ কর্ম দিবসে শিশু হত্যার দৃশ্যমান শাস্তির রায় দিয়ে এদেশের বিচার বিভাগই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সতুরাং প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছার এবং জবাবদিহিতামূলক নীতিমালার।
আর সবচেয়ে আগে যে কাজটি করা প্রয়োজন তা হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হত্যার অভিযোগ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করা। স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে তাদের। আসামী ধরে এনে নির্মম নির্যাতনে অথবা ক্রসফায়ারে হত্যা সংখ্যার অভিযোগ কম নয়। বড় মাপের হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রভাবশালীরা আজকাল ভাড়াটে খুনি ব্যবহার না করে এদের ব্যবহার করে বলে শোনা যায়। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা এভাবেই ঘটেছে বলে মানুষ মনে করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে প্রতিটিমানুষের মৃত্যুকে নিরপেক্ষ তদন্তের আওতায় আনতে হবে এবং দ্রুত দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ খুন জঘন্যতম অপরাধ, খুন করলে রেহায় নেই, খুনি যেই হোক বিচার তার হবেই, বিশ্বাস করতে পারবে, প্রমাণিত হবে তখনি দেশে হত্যাকাণ্ড অপরাধের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে। আর তা না হলে দেশে দিন দিন হত্যাকাণ্ড যেমন বাড়ছে ভবিষ্যতেও আরও বাড়বে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর টানা ৮ জয়
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকে আবাহনীর টানা ৮ জয়
ভিকারুননিসায় জালিয়াতি করে আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
ভিকারুননিসায় জালিয়াতি করে আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ