X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

দস্যুজয়ী এক সাংবাদিকের গল্প

হারুন উর রশীদ
০৪ জুন ২০১৬, ১৯:৫৯আপডেট : ০৪ জুন ২০১৬, ২১:০৭

হারুন উর রশীদ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম এমনকি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও ৩১ মে একটি খবর ব্যাপক আলোড়ন তোলে। জন্ম দেয় আলোচনার। আর তা হলো ৫১টি আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১৩ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ। সঙ্গে আছে আরও ৫ হাজার গুলি। মংলা এলাকায় এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ র‌্যাব-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যুদের এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের ঘটনা এটাই প্রথম।
কিন্তু এর বাইরেও একটি খবর আছে। সেটিও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বাংলাদেশের কোনও সংবাদমাধ্যমে সেই খবরটি আমার চোখে পড়েনি। খবরটি জানা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম থেকে। সেই খবরটি হলো জলদস্যুদের এই আত্মসমর্পণের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করেছেন একজন সাংবাদিক। মূলত তার সঙ্গেই কোনও দ্বিধা না করে এই বিপূল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে লোকালয়ে চলে আসেন দস্যুরা আত্মসমর্পণের জন্য। আর সেই সাংবাদিক হলেন বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল-হাকিম।
এই খবরটি আমি জানার পর আলোড়িত হয়েছি। একজন সাংবাদিক হিসেবে তার এই কাজে গর্বিতও হয়েছি। আর ইচ্ছে জেগেছে মোহসীন-উল-হাকিম-এর কাছ থেকে ঘটনাটা জানতে। কৌতূহল হয়েছে ঘটনার পেছনে আরও যে ঘটনা রয়েছে তাও শুনতে। চায়ের এক আড্ডায় শনিবার তার সঙ্গে আমার কথা হয়। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো চোখ বড়-বড় করে মোহসীন-এর সেই জলদস্যু জয় করার গল্প শুনেছি। যা আমার কাছে মনে হয়েছে এক জীবন্ত থ্রিলার।
ফ্ল্যাশব্যাক
২০০৯ সালের কথা, মোহসীন-উল-হাকিম তখন এটিএন নিউজে কাজ করেন। ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রতিবেদন করতে তিনি যান সচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বাগেরহাটের গাবুরায়। সেখানে গিয়ে তিনি প্রথম বুঝতে পারেন সুন্দরবনকেন্দ্রিক জলদস্যুদের কাছে কতটা অসহায় ওই এলাকায় মানুষ। কতটা আতঙ্কে থাকেন ওই জনপদের মানুষ। তারা মোহসীনকে বলেন, ‘ভাই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব। কিন্তু দস্যুদের তো ঠেকাতে পারব না। আমাদের বাঁচান। পারলে দস্যুদের ঠেকাতে কিছু করুন।’

এরপর ঢাকায় ফিরে মোহসীন কথা বলেন এটিএন নিউজের তখনকার সিইও প্রয়াত মিশুক মুনীরের সঙ্গে। সব মুনীর তিনি সুন্দরবনের জলদস্যুদের নিয়ে ইনডেপথ কাজ করার অনুমতি দেন। 

সেই থেকে শুরু। মোহসীন গত ৬ বছরে অন্তত ৭৭ বার সুন্দরবনে গেছেন। ঘুরে রেড়িয়েছেন জলদস্যুদের সঙ্গে। তাদের আস্তানায়, তাদের ডেরায় কাটিয়েছেন দিনের পর দিন। তাদের বোটে করে সুন্দরবনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। একবার কোস্টগার্ডের গুলির মুখেও পড়েছেন। তবে তিনি কখনোই ভুলে যাননি তার পেশাদারিত্ব। ভুলে যাননি যে তিনি একজন সাংবাদিক। আর সব সময় তারা মাথায় কাজ করেছে গাবুরার মানুষের করুণ আবেদন, ‘ভাই আমাদের জলদস্যুদের হাত থেকে বাঁচান।’

আত্মসমর্পণ-এর আগের কথা

সুন্দরনে দলদস্যুদের ১০টির মতো দল আছে। আর তাদের আছে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং জলযান। তাদের জলযানের ক্ষীপ্রতা কোস্ট গার্ড বা র‌্যাবের জলযানের চেয়েও বেশি। ২১০ হর্স পাওয়ার এবং ৬ সিলিন্ডারের বোট নিয়ে তারা অপারেশন চালান। আর তাতে সাইলেন্সার লাগান। তারা চাঁদা আদায় করে সুন্দরবনের মৎস্য এলাকা, খাল ভাড়া দিয়ে। তাদের দেওয়া টোকেন ছাড়া জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে পারেন না। যারা এর ব্যতিক্রম ঘটান, তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেন তারা। একসঙ্গে ৫০/৬০ জন জেলেকেও তারা অপহরণ করে নিয়ে যান আস্তানায়। 

মোহসীন তাদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন শুরু করেন, তুলে ধরেন তাদের অত্যাচার ও নিপীড়নের কাহিনি। তুলে ধরেন সাধারণ মানুষের কান্না। আর একের পর এক প্রতিবেদন  প্রচারের পর সুন্দরবন এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে যেমন মোহসীন পরিচিত হয়ে ওঠেন, তেমনি জলদস্যুরাও তাকে চিনে ফেলেন। তাদের মোবাইলে মোহসীনের প্রতিবেদন ঘুরতে থাকে জলদস্যুদের এক হাত হয়ে আরেক হাতে।

এরই মধ্যে মোহসীন এটিএন নিউজ ছেড়ে যোগ দেন যমুনা টিভিতে। আর যমুনা টিভির সায়মন ড্রিংও তাকে উৎসাহ দেন। সুন্দরবনকেন্দ্রিক প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতা এবং ফলোআপ অব্যাহত রাখতে বলেন তিনি।

মোহসীন বলেন, ‘এসব করতে করতে পুরো সুন্দরবন আমার নিজের বাড়িঘরের মতো হয়ে ওঠে। আমি জেনে যাই সদ্যুরা কখন কোন এলাকায় থাকে। তাদের চলাফেরা, গতিপথ, লোকালয়ে তাদের আবাস—সবকিছু আমার জানা হয়ে যায়। সুন্দরবনে একবার জলদস্যুদের সামনে পড়ার পরও তারা আমাকে ছেড়ে দেন। আমার পরিচয় জানালে তারা আমাকে চিনে ফেলেন।’

সুন্দরবনে সাংবাদিক মোহসীন-উল-হাকিম পর্যায়ক্রমে মোহসীনের সঙ্গে জলদস্যুদের এক ধরনের আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা মোহসীনকে জানান, তারা আত্মসমর্পণ করতে চান। আর এটা তিন বছর আগের ঘটনা।’
মোহসীন সুন্দরনের জলদস্যুদের নিয়ে প্রতিবেদন শুরুর পর ক্রসফায়ারে নিহত হন অনেক দস্যু সর্দার। আর সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ রাজু বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নেন মোস্তফা শেখ মাস্টার। মোস্তফা শেখ মাস্টারই প্রথম মোহসীনকে ফোন করে জানান যে, তিনি তার বাহিনী নিয়ে আত্মসমর্পণ করতে চান। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ নয়।
আত্মসমর্পণ করতে চাইলেই দস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে পারেন না। কারণ  তাদের কাছ থেকে সুবিধা পান, এমন অনেকেই চান না, জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করুক। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। এই মোস্তফা শেখ মাস্টারই স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য দল ছেড়ে তার গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু থাকতে পারেননি। আবার ফিরে গেছেন সুন্দরবনে দস্যুদের দলে। মোহসীন জানালেন, ‘দস্যুদের একটি গ্রুপ যদি বছরে এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন, তাহলে তার ৬০ লাখ টাকায় দিতে হয় নানাজনকে হাতে রাখতে খুশি রাখতে।’
মোহসীন এরপর কয়েকবার জলদস্যুদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন তাদের আত্মসমর্পণ নিয়ে। যোগাযোগ করেন প্রশাসনের সঙ্গে। কিন্তু তখনও প্রশাসনের আগ্রহ তেমন স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ-র‌্যাবের কেউ কেউ তাকে সন্দেহের চোখেও দেখতে শুরু করেন।
চলতি বছরের প্রথম দিকে আবার সুন্দরবনে যান সাংবাদিক মোহসীন। তাদের আস্তানায় গিয়ে জলদস্যুদের সাক্ষাৎকার নেন। এরপর তারা যে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান, সেই প্রতিবেদন প্রচার করেন। আর প্রতিবেদন প্রচারের পর আগ্রহী হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যেভাবে আত্মসমর্পণ করলেন জলদস্যুরা
যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচার হওয়ার পর র‌্যাবের শীর্ষ পর্যায় থেকে যোগাযোগ করা হয় সাংবাদিক মোহসীনের সঙ্গে। এরপর মোহসীনের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তারপরই ঘটনা দ্রুত এগোতে থাকে। র‌্যাব-৮-এর  মেজর আদনান কবীর ক্যাডেট কলেজের ছাত্র । আর সাংবাদিক মোহসীনও পড়াশোনা করেছেন ক্যাডেট কলেছে। তাই দু’জনের রসায়নটি মিলে যায় সহজেই। পরস্পর পরস্পরকে আস্থায় নিয়ে নেন দ্রুত। চলতে থাকে দস্যুদের আত্মসমর্পণের কাজ। এরমধ্যে মোহসীন আবার সুন্দরবনে গিয়ে দস্যুদের কাছ থেকে আত্মসমর্পণের লিখিত আবেদন নিয়ে আসেন।

আত্মসমর্পণের আগে র‌্যাব সদস্যরা তাদের মতো চলে যান সুন্দরবনের নির্দিষ্ট এলকায়। আর সাংবাদিক মেহসীন-উল-হাকিম চলে যান জলদস্যুদের আস্তানায়। মোহসীন দস্যুদের পরিবারের সদস্যদের আনান সেই আস্তানায়, যেন তাদের মন নরম থাকে, শেষ মুহূর্তে বেঁকে না বসেন। আত্মসমর্পণের আগে দস্যুদের কেউ কেউ চেয়েছিলেন কিছু আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে। কিন্তু মোহসীনের কথায় তারা সেই পরিকল্পনা বাদ দেন। সবকিছু নিয়ে তারা পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে রাজি হন।

২৮ মে দিবাগত গভীর রাতে সাংবাদিক মোহসীন  ৫১টি অস্ত্র, ৫ হাজার গুলি এবং ১৩ জন জলদস্যুসহ রওয়ানা দেন তাদেরই বোটে। আর তাদের পরিবার পরিজনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আলাদা বোটে।

জলদস্যুদের বোট তখন বলতে গেলে সাংবাদিক মোহসীনের নিয়ন্ত্রণে। তাদের কথা ছিল,  ‘এখন আপনিই আমাদের নেতা। যেখানে নিয়ে যাবেন, সেখানে যাব। বোট পশুর নদী পাড়ি দিয়ে কয়েক ঘণ্টা চলার পর ভোরে জয়পুটিয়া ভাড়ানি এলকায় গিয়ে থামে। আর সেখানে দস্যুরা র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার দু’দিন পর মংলায় ৩১ মে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেন তারা। আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

কিভাবে সম্ভব হলো

সাংবাদিক মোহসীন আমাকে জানিয়েছেন, তিনি তার সুন্দরবনকেন্দ্রিক এই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্ব, স্বচ্ছতা এবং সাংবাদিকতার নীতি মালা মেনে চলার চেষ্টা করেছেন। দস্যুদের কখনও সরাসরি এক্সপোজ করেননি। আর সব সময় মানুষের ক্ষতি, আতঙ্ক এবং অসহায়ত্বে কথা তুলে ধরেছেন। প্রতিবেদন করতে গিয়ে তিনি কারও পক্ষ নেননি। ফলে সব পক্ষই তাকে আস্থায় নিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি দেশের নাগরিক হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা মাথায় রেখেছেন। চেয়েছেন সাধারণ মানুষের বিপদ মুক্তি। তাই দস্যুদের আত্মসমর্পণের জন্য যা যা করার করেছেন। 

মোহসীনের কাছে প্রশ্ন ছিল—আপনার তো আইনগত ঝামেলায় পড়ার আশঙ্কা ছিল। সেটা কিভাবে এড়ালেন। মোহসীনের সোজা জাবাব, ‘আমি কোনও আইন ভাঙিনি। প্রতিবারই আমি যখন সুন্দরবনে ঢুকেছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। কী কাজে যাচ্ছি তাও বলেছি। কিন্তু আমার সুবিধা ছিল। আমি ততদিনে সুন্দরবনের অলিগলি, কানাগলি সব চিনি। সুন্দরবনও আমাকে চেনে। তারা চাইলেও আমি যতদূর যেতে পারতাম, তা তারা পারবেন না। মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করতে দ্বিধান্বিত হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনে আমি মোবাইল ফোন ছাড়াও যোগাযোগের কৌশলটি জেনে যাই।’

এখন আরও অনেক গ্রুপ আত্মমর্পণ করতে চায়

মোস্তফা শেখ মাস্টার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর সুন্দরবনের আরও অন্তত চারটি জলদস্যু গ্রুপ আত্মসমর্পণ করতে চায়। সাংবাদিক মোহসীন বলেন, ‘তারা এখন বিশ্বাস করেন যে, চাইলে আত্মসমর্পণ করা সম্ভব।’ 

কেন আত্মসর্পণ করতে চান? জবাবে মোহসীন বলেন, ‘এখন আর সুন্দরবন জলদস্যুদের একচ্ছত্র অভয়ারণ্য নয়। কোস্টগার্ডের শক্তিবৃদ্ধি এবং র‌্যাবের তৎপরতা তাদের চারণ এলাকা সীমিত করে দিয়েছে। তারপর গণমাধ্যমের কারণে দস্যু বাহিনীগুলোর প্রায় সব তথ্যই প্রকাশিত হয়ে পড়েছে। আর তাদের দস্যুতার টাকা তারা ভোগ করতে পারেন না। তারা ব্যবহৃত হচ্ছেন। সব মিলিয়ে এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান তারা।

আরও পড়তে পারেন: ইউপি নির্বাচনের ময়নাতদন্ত

স্যালুট মোহসীন

সাংবাদিক মোহসীনের সঙ্গে আমার আড্ডা হয়েছে প্রায় তিন ঘণ্টা। তার থ্রিলার সাংবাদিকতার গল্পের খুব সামান্যই এখানে আমি তুলে ধরতে পেরেছি। অনেক ঘটনাই  বলা হলো না। তারপরও একটি ঘটনা না বললেই নয়। 

দস্যুরা একবার সুন্দরবনের আস্তানায়  মোহসীনকে হরিণের মাংস খাওয়াতে জীবন্ত হরিণ ধরে আনেন। তারা ভেবেছিলেন মোহসীন খুশি হবেন। কিন্তু তাদের সে উৎসাহে পানি ঢেলে দেন মোহসীন। হরিণ ছেড়ে দিতে বলেন। তারা বুঝতে পারেন সাংবাদিক মোহসীন কোনও বেআইনি কাজে অংশ নেবেন না। বনের হরিণ বনেই ছেড়ে দেন তারা।

মোহসীন বলেন, ‘আমি সব সময় মাথায় রেখেছি আমি সাংবাদিক। আর এটাই আমাকে পথ দেখিয়েছে। আমি সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর জলদস্যু সবপক্ষেরই আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।’

তার প্রমাণ আবারও পেলাম। আড্ডার সময়ই জলদস্যুদের ফোন আসে, ‘ভাই আমরাও আত্মসমর্পণ করতে চাই। ব্যবস্থা করুন।’

লেখক: সাংবাদিক

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পুরস্কার পেলেন কুবির চার শিক্ষার্থী
গরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগরমে বেড়েছে অসুখ, ধারণক্ষমতার তিন গুণ বেশি রোগী হাসপাতালে
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৪)
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ