X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের সঙ্গে খুন হয়ে যায় রাষ্ট্র!

মাসুদা ভাট্টি
০৭ জুন ২০১৬, ১১:৪৭আপডেট : ০৭ জুন ২০১৬, ১১:৫৫

মাসুদা ভাট্টি বহুদিন ধরেই লিখে আসছি যে, রাষ্ট্রকে আঘাত করা হচ্ছে, চেষ্টা চলছে রাষ্ট্রকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার। প্রথম দিকে অনেক জ্ঞানী-গুণী বন্ধু লেখা পড়ে বলতেন, “তুমি বেশি বেশি ভাবছো। এতটা উত্তেজিত হওয়ার কিছুই নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে”। তারপরও বলতে চেয়েছি যে, লেখক-কবি-সাহিত্যিক-ব্লগারদের সঙ্গে যখন অমুসলিম নাগরিকদের ওপর চাপাতির কোপ পড়ছে তখন আর বেশিদিন দেরি নেই যে, গোটা রাষ্ট্রকেই হত্যা-চেষ্টা শুরু হবে। তখনও অনেকে বলেছেন যে, বাংলাদেশ কখনওই একটি মৌলবাদী রাষ্ট্র হবে না, কারণ এদেশের মানুষ ধর্মান্ধ নয়, ধর্মভীরু; যদিও একথাও কাউকেই বোঝানো যায়নি যে, মানুষ ধর্মভীরু হতেই পারে কিন্তু ধর্মান্ধরা যদি জোর করে ক্ষমতা দখল করে তাহলে এই ধর্মভীরুদের করার কিছুই থাকবে না, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া।

২০০৮ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো তখন তারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেলো একটি মোটা দাগের ভঙ্গুর অর্থনীতির এবং ধর্মাশ্রয়ীদের দ্বারা আক্রান্ত সমাজ-রাষ্ট্র। আমাদের অনেক পরিচিত বিশেষজ্ঞই এই সময়কালটা নিয়ে কোনও কথা বলতে চান না। ২০০৫-এর পর থেকে কয়েকজন চিহ্নিত কলাম লেখক বা বিশ্লেষক যেমন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, আবেদ খানদের (এই লেখক সহ) লেখা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, আমরা বার বার বলেছি যে, বাংলাদেশে ধর্মাশ্রয়ীদের যেভাবে ক্ষমতায়ন করা হয়েছে বা হচ্ছে তাতে আগামীতে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তাহলে শেখ হাসিনার পক্ষেও এই ধর্মাশ্রয়ী শক্তির মুখে লাগাম দেওয়া দুষ্কর হবে। বিশেষ করে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভেতর যেভাবে উগ্রবাদে বিশ্বাসীদের ঢোকানো হয়েছে তাতে কোনওভাবেই বাংলাদেশকে তার সাবেক অবস্থান তথা অসাম্প্রদায়িক, গণমুখী ও গণতন্ত্রকামী চেতনায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। হয়েছেও তাই, ২০০৯ সালে মাত্র এক মাস বয়েসী আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাতটি এসেছিল পিলখানা-আক্রমণের মধ্য দিয়ে। সবচেয়ে মজার ও অবাক করা কাণ্ড হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যতবার জঙ্গি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ততবারই এক শ্রেণির মানুষ সমস্বরে চিৎকার জুড়েছে যে, আওয়ামী লীগ কথায় কথায় জঙ্গিদের ধুয়ো তুলে দেশটাকে বিপদগ্রস্ত করে তুলছে। অথচ, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে বাংলাদেশে যতোগুলো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তার জন্য স্পষ্টভাবেই আমরা জঙ্গি-অর্থনীতি এবং যুদ্ধাপরাধীদের নেতৃত্বে কাজ করা বা তাদেরকে সমর্থন দেওয়া সংগঠনগুলিকে দায়ী করতে পারি। প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, সরকার কেন এদেরকে দমন করেনি? তাহলে কি সরকার এদেরকে দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে? খুব সঙ্গত প্রশ্ন, তবে এর উত্তর দেওয়ার আগে আরও কিছু কথা বলতে চাইছি।

আরও পড়ুন- মমতা নিয়ে নার্সদের কথা শুনুন

বাংলাদেশ এবং আওয়ামী লীগ, ঐতিহাসিক ভাবে সম্পর্কিত দু’টি শব্দ। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি অসম্পূর্ণ। এর কারণ কি সেটা যিনি বুঝবেন তিনি জেনেশুনেই বুঝবেন, আর যিনি বুঝতে চাইবেন না, তাকে নতুন করে কিছু বোঝাবার নেই, কারণ তারা সেটি বুঝতেই চাইবেন না। মুক্তিযুদ্ধ এবং এর পরের বাংলাদেশ, দুই ক্ষেত্রেই এই দলটির বহুমুখী অবদান রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই দলটির ওপর ২০০৮ সালেও মানুষের বড় ধরনের আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল। সমস্যা একটি কি দুটি হলে সেটা সামাল দেওয়া যায় কিন্তু একই সঙ্গে যখন সমস্যার প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যায় তখন কোনটি রেখে কোনটি নিয়ে কাজ করা হবে তা নির্ণয় করাই মুস্কিল হয়ে দাঁড়ায়। অর্থনীতির দুরবস্থা, ধর্মাশ্রয়ী জঙ্গিবাদের উত্থান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, অবকাঠামোগত দুরবস্থা, যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিশ্রুতি এবং সেই সঙ্গে তৎকালীন বিরোধীদলের অরাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ণ্ডের মোকাবেলা - সব মিলিয়ে ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের অবস্থাটা কোনওভাবেই ভালো ছিল না। কিন্তু সরকার তারপরও যেটুকু কাজ করেছে তা বোধ করি স্বাধীনতা-পরবর্তী কোনও সরকারের পক্ষেই করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ২০১৪ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারকে নতুন করে যে বিপদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তা অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে আর কখনওই এরকমভাবে আক্রান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সরকারকে জাসদ ও ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির গোপন ও চোরাগোপ্তা আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছিল এবং বলাই বাহুল্য যে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রশাসন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি বরং বিরোধীতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। কিন্তু আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন। আজকে বাংলাদেশের ওপর যারা আঘাত হানছে তারাও মূলতঃ শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে চাইছে এবং হাত মিলিয়েছে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে। একথা কী করে এতোটা নিশ্চিত ভাবে বলছি? সেটা ব্যাখ্যা করেই আজকের লেখার ইতি টানবো।

বাংলাদেশ হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিকভাবে বেশ উল্লেখযোগ্য অবস্থান অর্জন করেছে এবং সেটা ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। এর আগে বাংলাদেশ নিয়ে ততোটা আলোচনা শোনা যায়নি বরং একটু অবজ্ঞার চোখেই বাংলাদেশকে দেখা হতো। কিন্তু বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার পরও যখন বাংলাদেশের অর্থনীতির উর্দ্ধগতি অব্যাহত থাকলো তখন সকলেই অবাক হলো বাংলাদেশের এই অগ্রগতির পেছনের রহস্যো উদ্ঘাটনের জন্য। বিশ্বব্যাংকের মতো ঘাঘু প্রতিষ্ঠানকেও এদেশের অগ্রগতি ঠেকানোর জন্য নামতে হলো ষড়যন্ত্রে, তার সঙ্গে এ দেশীয় ষড়যন্ত্রীরাতো ছিলই। বাংলাদেশ দরিদ্র ও অনুল্লেখযোগ্য অবস্থানে থাকলে কিছু ব্যক্তির জন্য সেটা সৌভাগ্য বয়ে আনতে সক্ষম হয়। ফলে বাংলাদেশের এই উন্নতি ও অগ্রগতি সেসব ব্যক্তির জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়, তাই তারা জান-প্রাণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরোধিতা করতে শুরু করে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে একদল মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী মানুষ ও সংগঠনের জন্য করে খাওয়া দুরূহ হয়ে পড়ে, ফলে তারাও আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। যেমন বিএনপি-জামায়াত ও তাদের অঙ্গসংগঠনগুলি যদি কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করতো তাহলে আপত্তির কিছুই থাকতো না, কারণ, রাজনীতিতে সকলেই একপক্ষে থাকার কোনওই কারণ থাকতে পারে না। কিন্তু তারাতো কেবল আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করে না, তারা নেমে পড়ে বাংলাদেশ-বিরোধিতায়। সমস্যাটা সেখানেই, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই যেমন বঙ্গবন্ধুর সরকারের বিরোধিতায় নেমে একদিকে আওয়ামী লীগ এবং অপরদিকে দেশবিরোধী শক্তি জোট বেধেছিল, এখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, একদিকে আওয়ামী লীগ ও অপরদিকে বাংলাদেশ-বিরোধী দেশ-বিদেশি ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংগঠন এবং মানসিকতা। প্রথমে এই দেশ-বিরোধী জোট উন্নয়নে বাধা দেয়, তারপর বাধা দেয় রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে এবং তারপর তারা আঘাত হানতে শুরু করে দেশের জনগণের জান-মাল-নিরাপত্তায়। আজকে যে পরিস্থিতিতে আমরা এসে দাঁড়িয়েছি তাতে একথা জোর দিয়েই বলা যায় যে, আমরা কেউই আর নিরাপদ নই, আমরা সকলেই আক্রান্ত এবং যে অর্থে এখানে “আমরা” শব্দটি ব্যবহার করেছি, তা আসলে রাষ্ট্রকেই নির্দেশ করছে। তার মানে, গোটা রাষ্ট্রই এখন আক্রান্ত এই দেশ-বিরোধী অপশক্তির হাতে।

আরও পড়ুন- পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশ

আগেই বলেছি যে, কেবলমাত্র দেশি অপশক্তির পক্ষে দেশের ভেতর এরকম ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালেও কেবলমাত্র দেশজ শত্রুদের পক্ষে দেশব্যাপী অস্থিরতা সৃষ্টি সম্ভবপর ছিল না, তেমনই এখনও বেছে বেছে বিদেশি নাগরিক হত্যা, অমুসলিমদের হত্যা এবং ব্লগারদের হত্যা ও সঙ্গে সঙ্গেই একটি বিদেশি সংগঠনের কাছ থেকে এসব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিবৃতি আসা বহুবিধ প্রশ্নের জন্ম দেয়। সব প্রশ্নের মূল প্রশ্নই হলো, বাংলাদেশকে কেন বার বার চাপ দেওয়া হয় এই বলে যে, তোমরা স্বীকার করো বাংলাদেশে আই.এস-এর অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশে আই.এস আছে কি নেই তা নিয়ে বিতর্ক করা যেতে এবং আমি ব্যক্তিগত ভাবে একথা বিশ্বাস করি যে, এদেশে আই.এস-এর অস্তিত্ব থাকতেই পারে কিন্তু সেকথা সরকারের মুখ দিয়ে বের করানোর পেছনে কি যুক্তি থাকতে পারে সেটা নিশ্চিত ভাবেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির নিগূঢ় রহস্যের ব্যাপার। আজকে সেকথা না বলে কেবল মাত্র উপরে উল্লেখ করা প্রসঙ্গটির উত্তরে বলতে চাই যে, বাংলাদেশে আজকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটিয়ে গোটা রাষ্ট্রকেই আক্রান্ত করে তোলার পেছনে কেবলমাত্র দেশীয় অপশক্তি নয়, এর পেছনে নিশ্চিত ভাবেই বিদেশি অপশক্তিরও হাত রয়েছে।

এখন যে অবস্থায় এসে আমরা উপণীত হয়েছি তাতে মনে হচ্ছে যে, সামনের দিনগুলি আরো ভয়ঙ্কর ও আরো বিপদশঙ্কুল, যে বিপদ ও ভয় থেকে কারওরই মুক্তি নেই। এর জন্য কেবলমাত্র সরকারকে দায়ী করার পেছনে কোনও যুক্তি নেই কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রথম প্রশ্ন হিসেবে একথাই বলবে যে, সরকার যদি প্রথম থেকেই কঠোরভাবে এদেরকে দমন করার চেষ্টা করতো তাহলে পরিস্থিতি আজকের অবস্থায় এসে দাঁড়াতো না। সাধারণ মানুষের এই দুঃশ্চিন্তাকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। মানুষের এই দুঃশ্চিন্তাকে ক্রমাগত অগ্রাহ্য করে আসার ফলেই আজকে রাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী বাহু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিবারের সদস্যর ওপর নেমে এসেছে নির্মম খড়গ। এই যে দমবন্ধ বা গলাবন্ধ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা একই সঙ্গে রাষ্ট্রকে বিপদগ্রস্ত ও অক্ষম করে তুলছে। এর আগেও একদিন বলেছি যে, অক্ষমতার পাশে কেউ থাকতে চায় না এবং বিপদগ্রস্ত কারো পাশেও কেউ থেকে নিজের জীবনকে বিপন্ন করতে চায় না। আর সাধারণ মানুষ যদি সরকারের পাশ থেকে সরে যায় তাহলে সরকার রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণও হারাবে, তাতে কোনোই সন্দেহ নেই। দুঃখজনক হলো, পরিস্থিতি সে পথেই এগুচ্ছে দ্রুত। শেখ হাসিনার সরকার বহুবিধ শত্রু মোকাবিলায় পারদর্শী হয়ে উঠেছে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। ফলে শত্রু মোকাবিলার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। যা কিছু বলার আছে তা হলো পদক্ষেপ নিয়ে এবং সময়ের অপচয় না করে আক্রান্ত রাষ্ট্রকে রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ যতো দ্রুত নেওয়া যায় ততোটাই মঙ্গলের। ইতোমধ্যেই অনেক সময় ও প্রাণের অপচয় হয়েছে; এরপর সরকার নিজেই অপচয়ের খাতে চলে গেলে রাষ্ট্রকেও কোনওভাবেই আর রক্ষা করা যাবে না।

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে: প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল
পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে: প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
‘আশ্রয়ণ’: গ্রামীণ বসতি রূপান্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সমন্বয়
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
ছক্কা মেরেও আউট হলেন মুশফিক !
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ