X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভেঙে পড়ছে জয়ের বিরুদ্ধে বিএনপির নীলনকশা

নাদীম কাদির
১২ জুন ২০১৬, ১২:০৪আপডেট : ১২ জুন ২০১৬, ১২:৪৮

নাদীম কাদির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান বর্তমান সরকারের আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যে দুর্বল নীলনকশা করেছিলেন তা ভেঙে পড়েছে। জয় ও ইসরায়েলি লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এস সাফাদিকে নিয়ে করা বিবিসি'র প্রতিবেদনটি প্রকাশের পদক্ষেপ একেবারেই অসাংবাদিকসুলভ ও অপরিণত সিদ্ধান্ত ছিল।
জয় এই সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করেছেন। সব তথ্য ও প্রমাণ থেকে দেখা গেছে তার এই দাবি সঠিক। জয় বলেছেন, ‘বিএনপি এমনই এক বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকার মতো ভুল করে। আমি চাই বিএনপি ও সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের ঠিক কোথায় সে আমার সাক্ষাৎ পেয়েছে? কোন অনুষ্ঠানে? কার অফিসে?’
তিনি এও যোগ করে বলেন, ‘বোকার মতো ভুল তারা করেছে কারণ, আমি গত তিন-চার বছরে ওয়াশিংটনে কোনও অনুষ্ঠান বা কারও অফিসে যাইনি। যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে, সেগুলো সবই সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং একান্ত ব্যক্তিগত। তাহলে কোথায় তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হতে পারে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাফাদির কোনও সময়ই সাক্ষাৎ হয়নি, এটা ওয়াশিংটনেও না বা অন্য কোনও জায়গায়ও না। সে মিথ্যা বলছে। সে যে বিএনপির জন্য মিথ্যা বলতে সম্মত হয়েছে, সেটা দিয়ে এও প্রমাণ হচ্ছে, সে বিএনপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত। না হলে আর কী কারণে সে বিএনপির হয়ে মিথ্যা বলবে?’
কয়েকটি সূত্র থেকে জানতে পারলাম, এই ষড়যন্ত্র ডালপালা মেলেছে যুক্তরাষ্ট্রে যেন তা ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হয়, বিবিসি বাংলার প্রধান তখন ঢাকায় ছিলেন। বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর পাশার দান উল্টে গেছে। দেখা গেছে  তিনি ভারতে গিয়ে সাদাফির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ছক কষেছেন। এমনকি আরও জানা গিয়েছে, এই নীলনকশা চলছে ২০০৯ সাল থেকে। বিএনপি নিজের লজ্জা ঢাকতেই জয়ের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র ফেঁদেছে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিব্রত করতে চেয়েছে।
বর্ণচোরা বিএনপি তারেক রহমান কুখ্যাত হাওয়া ভবন ও গ্রেনেড হামলা কেলেঙ্কারি সত্ত্বেও জয়ের দিকে আঙুল তুলেছে।
দ্য অনলাইন বাংলাদেশ ইন আমেরিকা ডট কম এক প্রতিবেদনের বরাতে জানায়, জয়ের ওই বৈঠকের বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সাফাদি আরেক সাবেক বাংলাদেশি সাংবাদিক ও টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহেরের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সাদাফি জানান- তিনি জয়ের সঙ্গে তার ওয়াশিংটন কার্যালয়ে দেখা করেছেন। কিন্তু তিনি এর আগে বলেছিলেন, জয়ের সঙ্গে তার কোথায় দেখা হয়েছে, তা তার মনে নেই। একটি শিশুও স্পষ্ট বুঝতে পারবে, এটা জয়ের সম্মান নষ্ট করার জন্য সাজানো একটা গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়।

আমি এর প্রতিবাদে হাই কমিশন বরাবর একটি চিঠি পাঠাই, চিঠিতে আমি বিবিসিকে দুঃখ প্রকাশ করার আহ্বান জানাই। সেই প্রতিবাদে শামিল হন লন্ডনের আওয়ামী লীগসহ আরও অনেকে।

বিবিসি ৭ জুন ২০১৬ জয়ের বক্তব্য ছাড়াই এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। বিএনপির নীলনকশাও ভেঙে যায়।  

বিবিসির জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত বিব্রতকর হয়েছে, কেন না এতে সাংবাদিকতাকে মেনে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়নি।

বিবিসি বাংলা এরকম কেন করলো সে সম্পর্কে নানা তত্ত্ব রয়েছে, কিন্তু আমার মতে এটা ছিল একটা জাজমেন্টাল মিসটেক ( বিচারমনস্ক ভুল)।
লেখক: সাংবাদিকতায় জাতিসংঘের ড্যাগ হ্যামারসোল্ড স্কলার এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার
আরও পড়তে পারেন: বিবিসি বাংলা’র দুঃখ প্রকাশ ও সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ