X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইইউ গণভোট: ব্রিটিশ-বাঙালির ভবিষ্যত সংকট

মাসুদা ভাট্টি
২২ জুন ২০১৬, ১৫:৩৮আপডেট : ২২ জুন ২০১৬, ১৫:৪৮

মাসুদা ভাট্টি এই লেখাটি যখন প্রকাশিত হবে ততক্ষণে হয়তো ব্রিটেন সেই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে ফেলেছে কিংবা গ্রহণ করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, মানে ভোটদান প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু ২৩ জুন ব্রিটেন যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা বা না-থাকার সঙ্গে যে এদেশের একটি বিরাট পরিবর্তনের আশঙ্কা বিশ্লেষকগণ করছেন, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে এবং আমার সন্দেহ ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটি এই বিতর্ক বিষয়ে তেমন একটা সচেতন নয়, অন্তত আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের মধ্যে কারোরই এ বিষয়ে তেমন হেল-দোল দেখিনি।
ব্রিটেনের রাজনীতির একজন নিষ্ঠ পর্যবেক্ষক হিসেবে এটুকু বিগত কুড়ি বছরে লক্ষ্য করেছি যে, এদেশে প্রতিটি বিষয়েই যখন বিতর্ক তৈরি হয় তখন এদেশের মিডিয়া দু’পক্ষের বক্তব্যকেই তুলে ধরার চেষ্টা করে। এদিকে বিবিসি বোধকরি সবচেয়ে বেশি নাম্বার পাবে, কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেখানে ব্রিটেনের স্বার্থ নষ্ট হয় (যেমন ইরাক আক্রমণ) সেসব বিষয় বাদ দিয়ে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিবিসি চেষ্টা করে পক্ষপাতহীন থাকতে। যথারীতি ইইউ গণভোটের ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে, ফলে এদেশের মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করলেই এই গণভোট-বিতর্কের এদিক-সেদিক জানা যায়। কিন্তু এবারই প্রথম লক্ষ্য করা গেলো যে, এই গণভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক মিথ্যাচার হয়েছে এবং এখনও চলছে। সেটা কী রকম? খুব বেশি উদাহরণ দেওয়ার সুযোগ নেই, তাও দুটি মোটা দাগের উদাহরণ দেওয়া যাক।
যেমন যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরুনোর পক্ষে ক্যাম্পেইন করছেন তাদের নেতারা যেমন নাইজেল ফারাজ (যিনি কিনা মাত্র কিছুদিন আগেই ব্রিটেনের ভয়ঙ্কর ডানপন্থী দলের হয়ে ভোট করেছেন এবং চরমভাবে পরাজিত হয়েছেন, এবং এই ব্যক্তি চরম ইমিগ্র্যান্ট-বিদ্বেষী হিসেবে এদেশে একটি চিহ্নিত নাম) ও লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন (যার শরীরে অর্ধেকেরও বেশি টার্কিশ রক্ত রয়েছে) যুক্তি দিচ্ছেন যে, ব্রিটেন প্রতি সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ৩৮৫ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে থাকে এবং বিনিময়ে ব্রিটেন আসলে কিছুই পায় না। এতোদিন অবধি এই প্রচারণা এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে, আমি যেসব বাঙালির সঙ্গে কথা বলেছি তাদের প্রত্যেককেই দেখেছি এই যুক্তি আমাকে শোনাচ্ছেন। আশ্চর্য হয়ে এ বিষয়ে তথ্য খুঁজতে গিয়ে দেখি, ব্রিটেনের প্রায় প্রতিটি পত্রপত্রিকা এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট করেছে এবং প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে যে,এটি সর্বৈব মিথ্যে প্রচারণা এবং ব্রিটেন সত্যি সত্যিই ইউরোপীয় ইউনিয়নকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২৮০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে থাকে কিন্তু প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ব্রিটেন এর প্রায় অর্ধেকের মতো ফেরতও পেয়ে থাকে, সেবা খাত তথা দারিদ্র্য বিমোচন বা উন্নয়ন-বরাদ্দ হিসেবে। লক্ষ্যনীয় যে, এই মিথ্যে প্রচারণার বিপরীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যারা থাকতে চাইছেন তাদের নেতারা যেমন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন স্বয়ং এবং তার অর্থমন্ত্রী অসবর্ন বলছেন, ব্রিটেন যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে ব্রিটিশ জনগণের ওপর করের বোঝা আরও ১০ গুণ বেড়ে যাবে, এবং এই তথ্যও যে সত্যি নয় সে বিষয়টি পত্রপত্রিকাগুলোর অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ হিসেব কষে বের করে দিয়েছেন।

কিন্তু সবচেয়ে যে বিষয়টি আসলে নোংরামির পর্যায়ে এসে নেমেছে তাহলো ব্রিটেনের ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন বিষয়ক অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ। যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরুতে চাইছেন তারা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকলে সর্বনাশ হয়ে যাবে এবং ব্রিটেনে আসলে ব্রিটিশ বলতে কেউ থাকবে না। যেমন আজকেই একজন সাধারণ পথচারী টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, “লক্ষ্য করে দেখুন, এই যে এইখানে, লন্ডনের রাস্তায়, প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে আপনি কজন ব্রিটিশকে দেখছেন? যদি ব্রিটেন ইউনিয়নের সঙ্গে থাকে তাহলে এই যে আমাকে এখন দেখছেন এখানে, আপনি সেটাও দেখতে পাবেন না”। মজার ব্যাপার হলো, এই ভদ্রলোকটির মুখে এই কথাটি তুলে দিয়েছেন নাইজেল ফারাজের মতো চরম ডানপন্থী নেতারা, নাহলে একটি ইমিগ্র্যান্ট-ফ্রেন্ডলি দেশ হিসেবে নিজেকে এভাবে আলাদা করে দেখানোর কথা নয় এবং সুযোগও নেই। কিন্তু এই ইইউ বিতর্ক যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই মূলতঃ দুটি বিষয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে এক. ইমিগ্রেশন এবং দুই. প্রতি সপ্তাহে কথিত ৩৮০ মিলিয়ন পাউন্ড। অথচ দেখুন, দুটোর কোনোটিই সত্য নয়। ইমিগ্রেশন বিষয়ে “প্রকৃত সত্য” হলো, ২০৩০ সালেও ব্রিটেনের জনসংখ্যার কিয়দংশ মাত্র অভিবাসী-সম্প্রদায় হবে, মূল জনসংখ্যা “প্রকৃত ব্রিটিশ”-ই থেকে যাবে।

যেসব বাঙালি বন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয়েছে তাদের যুক্তিও দেখি এই ইমিগ্রেশনেই এসে ঠেকছে, তারা ব্রিটেনের ব্যয় নিয়ে চিন্তিত নন, নন ট্যাক্স বাড়া নিয়েও, কিন্তু ইমিগ্রেশন-ঠেকাও বক্তব্যে প্রায় প্রতিটি বাঙালিই দেখি একমত (অন্তত আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি)। প্রায় প্রত্যেকেই এই যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার কারণে ইতালি থেকে অনেক বাঙালি ইমিগ্র্যান্ট এসে এদেশে সরকারি খরচে বাড়ি পেয়েছে, ভাতা পাচ্ছে, সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর সুযোগ পাচ্ছে বিনামূল্যে, যা এদেশের বাঙালিদের পেতে অনেক দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। অপরদিকে তারা উদাহরণ টানেন পূর্ব ইউরোপের বিশেষ করে পোল্যান্ডের ইমিগ্র্যান্টদের, যারা এদেশে এসে রাতারাতি ব্রিটিশদের মতো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন, কিন্তু কেউই একথা বলছেন না যে, এই পোলিশ ইমিগ্র্যান্টদের বেশিরভাগই এদেশে কেবলমাত্র সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে বসে নেই, তারা এদেশে এসে রীতিমতো হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছে। কিন্তু ব্রিটিশ-বাঙালির রাগ প্রায় সবটাই ইতালি থেকে আসা বাঙালিদের ওপর লক্ষ্য করা যায়। এবং প্রায় প্রত্যেকেই বলতে চাইছেন যে, যা আমরা দীর্ঘকাল অপেক্ষা করে পেয়েছি বা কষ্ট করে পেয়েছি, তা ইতালি থেকে আসা বাঙালিরা না-চাইতেই পেয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একথাটি কেউ বলছে না যে, ইতালিতে এই বাঙালিদের স্থায়ী হতে বা ইতালি'র পাসপোর্ট পেতে তাদের কী পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে সেদেশে। ইতালিতে অবস্থান করা বাঙালি মাত্রেরই জানা আছে কী কঠিন কষ্ট আর অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাদেরকে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে নাগরিকত্বের জন্য সুনির্দিষ্ট কাগজপত্র অর্জনের জন্য। কিন্তু যে মুহূর্তে তারা তা পেয়েছে তারা ব্রিটেনকে বেছে নিয়েছে কারণ এদেশে বাঙালির অভিবাসন-ইতিহাস পুরনো এবং বাঙালিরা এখানে একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ইংরেজি ভাষার প্রতিও প্রেম থেকে তারা ইতালির জীবন ছেড়ে ব্রিটেনে এসেছে এবং এদেশের সরকারের সোস্যাল ওয়েলফেয়ার সিস্টেমের সুযোগ নিয়ে সরকারিভাবে থাকার জায়গা, বেকার ভাতা ও শিশুপালন-ভাতা পাচ্ছে। কেউ কেউ যে সিস্টেমের সঙ্গে দুনাম্বারি করেনি, তা নয়, কিন্তু সেটা খুঁজে বের করার দায়িত্ব এদেশের সিস্টেমের। অথচ সে কারণে সবচেয়ে বেশি রাগান্বিত ব্রিটিশ-বাঙালি সমাজ এবং সে কারণেই তারা চরমপন্থী নাইজেল ফারাজের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এদেশে ইমিগ্র্যান্ট আসা বন্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরুনোর পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে।

আগেই বলেছি যে, নাইজেল ফারাজে বা তার মতো যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছেন তারা মূলত জাত্যাভিমানি ব্রিটিশ, যারা মনে করেন যে, ইউরোপের অন্যান্য জাতির তুলনায় তারা শ্রেষ্ঠ (যেমন ফরাসিদের তারা সরাসরি ফ্রগ বা ব্যাঙ বলে ডেকে থাকে) এবং তারা এদেশে ইমিগ্র্যান্টবিরোধী রাজনীতি করেই টিকে আছে। ধরা যাক, ২৩ তারিখের গণভোটে তাদের জয় হলো। প্রশ্ন হলো, যে বা যারা শেতাঙ্গ ইউরোপীয়দের এভাবে অপমান করে এদেশ থেকে বিদায় জানালো তারা যে আগামী দিনে এদেশকে সম্পূর্ণ “ইমিগ্র্যান্ট মুক্ত করো” আন্দোলনের ডাক দেবে না, তার কি কোনও নিশ্চয়তা আছে? যারা আজকে মনে করছেন যে, ব্রিটেনে ইমিগ্র্যান্টের প্রয়োজন আছে তারা এই প্রশ্ন কেন নিজেদের করছেন না যে, বাংলাদেশ কিংবা ভারত-পাকিস্তান থেকে আসা ইমিগ্র্যান্টই কেবল “ভালো ইমিগ্র্যান্ট” আর ইউরোপীয় ইমিগ্র্যান্ট “খারাপ”? অপরদিকে ২৩ তারিখ যদি তাদের পরাজয় হয় তাহলেও এই গণভোটকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনের জনমনে যে বিশাল দূরত্ব ও ক্ষত তৈরি হলো তা কোন প্রলেপ দিয়ে ঢাকা সম্ভব হবে সেকথাটি কি কেউ একবারও ভেবে দেখেছেন? আগেই বলেছি যে, বাঙালি সমাজে এই প্রশ্ন নিয়ে এখনও কাউকে কথা বলতে শুনিনি।

আমি জানি আমার এই লেখার বিপক্ষেও যুক্তি থাকবে এবং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে অনেকের মতোই আমারও গর্ব ছিল এই বলে যে, আমেরিকার একক সুপার পাওয়ারের দৌরাত্মের মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক টুকরো মরুদ্যান, যেখানে শান্তিকামী-শক্তি একটু জিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায়। নাহলে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষদের আর কোনও আশার জায়গা থাকে না। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ বিশেষ করে ব্রিটেন আমাদের সে আশার গুড়ে অনেকটাই বালি ঢেলে দিয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে ইরাক আক্রমণে সামিল হয়ে কিংবা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ যারা আফগানিস্তানে সেনা পাঠিয়েছিল, তারা। কিন্তু তারপরও কথা হলো, আজকে যে বিভাজনের ধুয়ো তুলে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরুতে চাইছে তাতে ব্রিটেনের বাঙালি সমাজ কোন যুক্তিতে সুর মেলায়, সেটি সত্যিই আমার বোধের অগম্য। আজকে যে গণভোটে ইউরোপীয়-ইমিগ্র্যান্ট তাড়ানোর জোশে উল্লসিত বাঙালি-সমাজ, সেই একই জোশে যে একদিন তাদেরকে তাড়ানোর জন্য গণভোট হবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে? কিংবা না তাড়ালেও, শেষাবধি তারাতো ইমিগ্র্যান্টই থেকে যাবে এদেশে? এবং একটু আগে উল্লেখ করা ওই শেতাঙ্গ-ব্রিটিশের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হবে, যে কিনা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলার সুযোগ পাবে, এখানে দেখুনতো আমি ছাড়া আর কেউ ব্রিটিশ আছে কিনা? ভাগ্যিস নিরদ সি চৌধুরী বেঁচে নেই, বেঁচে থাকলে ভদ্রলোককে হয়তো লিখতে হতো “একুশ শতকের আত্মঘাতী বাঙালি” নামে নতুন কোনও বই। যদিও আমরা নিরদ সি চৌধুরীকে ব্রিটিশদের “গোলাম” বলেই গালি দিয়েছি সবসময়, তার আত্মঘাতী বাঙালির কোনও সারসত্যই আমরা কেউ উপলব্ধি করিনি বা করতে চাইনি।

কলাম: কলামিস্ট
আরও পড়তে পারেন: বেক্সিট প্রশ্নে ‘মহাবিতর্ক’: সাদিক খানের পাশে টোরি এমপি

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী মৃত্যু: বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থী মৃত্যু: বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি
‘লম্বা’ নায়িকা প্রসঙ্গে কৃতির ব্যাখ্যা
‘লম্বা’ নায়িকা প্রসঙ্গে কৃতির ব্যাখ্যা
ভান মুন নোয়াম বমকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
ভান মুন নোয়াম বমকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার
কারিগরির সনদ জালিয়াতি: সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ডিবি কার্যালয়ে
কারিগরির সনদ জালিয়াতি: সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ডিবি কার্যালয়ে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ