X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেখা যাক, আইনের হাত কতটুকু লম্বা

বিভুরঞ্জন সরকার
২৫ জুন ২০১৬, ১১:৩৯আপডেট : ২৫ জুন ২০১৬, ১১:৫৭

বিভুরঞ্জন সরকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে হত্যার তিন মাস পার হয়েছে গত ২০ জুন। ২০ মার্চ রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি জঙ্গল থেকে। শুরু থেকেই তনুর বাবা-মা আশঙ্কা করছিলেন, তাদের মেয়েকে কেউ হত্যা করে ওভাবে ফেলে রেখে গেছে। তনুর বাবা  ইয়ার হোসেন ক্যানটনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী। সেনানিবাসের ভেতরেই তাদের বাসা। সেনানিবাস এলাকাকে সাধারণত নিরাপদ ও সুরক্ষিত বলে মনে করা হয়। সাধারণ অপরাধীদের পক্ষে সেনানিবাস এলাকায় ঢুকে কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত করা প্রায় অসম্ভব বলে ধরে নেওয়া হয়। সে জন্যই তনুর মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই এ নিয়ে সব মহলে ব্যাপক আগ্রহ ও চাঞ্চল্য তৈরি হয়। তনু হত্যার বিচার দাবিতে শুধু কুমিল্লায় নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আশা করা হয়েছিল, জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে হলেও তনু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ঘটনার তিন মাস পরে এসে মনে হচ্ছে, তনু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সহজে যেমন শেষ হবে না, তেমনি ন্যায়-বিচার পাওয়ার সম্ভাবনাও খুবই ক্ষীণ। বরং তনুর পরিবারের সদস্যরাই এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
তনুর মৃত্যুর তিন মাস পূরণ হওয়ার দিন কুমিল্লায় একটি মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তনুর মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেছেন যে কিছুদিন আগে তনুর লাশ যে জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল সেখানে গিয়েছিলেন তনুর বাবা। সেখানে তাকে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এটা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। এই অভিযোগের  বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তনুর মা আরও অভিযোগ করেছেন, তাদের নাকি পাহারা দিয়ে রাখা হচ্ছে। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বাসার ডিশ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে, যেন তনু সংক্রান্ত কোনও খবর তারা টিভিতে দেখতে না পারেন। সেনা সদস্যরা তাদের বাসা থেকে তনুর ডায়েরি ও সব ছবির অ্যালবাম নিয়ে গেছে। তার আর কোনও স্মৃতিচিহ্ন বাসায় নেই।
তনুর মায়ের এসব অভিযোগ কেউ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিতে চাইলেও ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্যই মনে হবে। তনু হত্যা-পরবর্তী ঘটনাক্রম খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত। শুরু থেকেই দেখা গেছে ঘটনাটির আড়াল করার একটি প্রবণতা। সেনানিবাসের ভেতরের ঘটনা হওয়ায় বিষয়টিকে হয়তো স্পর্শকাতর মনে করে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশে রাখঢাকের আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল। তবে এই প্রবণতাটা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। দেশের যেকোনও স্থানে, যেকোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে সেটা আড়াল না করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করাই ন্যায়সঙ্গত। তনুর মৃত্যু কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। তার মা অত্যন্ত সংগতভাবেই বলেছেন, তনুর যদি স্ট্রোক হতো তাহলে তার লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতো। জঙ্গলে পড়ে থাকতো না। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকতো না ।
তনুকে কেউ না কেউ হত্যা করেছে। এ নিয়ে বিতর্কের কোনও সুযোগ নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব খুনিদের খুঁজে বের করা। কিন্তু শুরু থেকেই তদন্ত কাজে গড়িমসি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে তার প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর থেকেই এটা মনে হতে থাকে যে, এই মামলার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার একটি সচেতন চেষ্টা রয়েছে। মেয়ের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই তনুর বাবা বলছেন যে তনুর শরীরে তিনি আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। হত্যার আগে তনু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধর্ষণের কোনও আলামতও পাওয়া যায়নি। এমন কী আঘাতের কোনও চিহ্নও পাওয়া যায়নি। তনুর বাবা-মা এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। বিভিন্ন মহল থেকেই এ ধরনের প্রতিবেদন দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়, নিন্দা জানানো হয়। তদন্তসংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেননি বরং কারও স্বার্থ রক্ষায় সত্য এড়িয়ে গেছেন সেটা অনেকের কাছেই মনে হয়েছে। ডাক্তারদের পেশাগত দায়িত্বশীলতার পরিচয় এ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি। এরপর তনুর লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেটাও প্রথম প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতাই অনুসরণ মাত্র। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা না হলেও তনুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়ায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে দায় এড়ানো হয়েছে।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর তনু হত্যা মামলার পরিণতি নিয়ে সবার মধ্যেই সন্দেহ দৃঢ়মূল হয়েছে। ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে বলে এখন আর কেউ মনে করছে না। ক্ষমতাধর কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বাঁচানোর জন্যই মামলার তদন্ত অগ্রসর হচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই ক্ষমতাধর ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কে বা কারা? তনুর মা বলেছেন, আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলি না। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলি না। তবে সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য আমার মেয়েকে হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে বলি। তনুর সন্দেহভাজন ঘাতক হিসেবে দুই সেনা সদস্যের নাম বলেছেন তনুর মা।

তনু হত্যার সঙ্গে সেনাবাহিনী জড়িত এটা কেউ বলছে না। তবে সেনা সদস্যদের দু’চার জন জড়িত ছিলেন না-সেটাও কেউ মনে করেনি। বরং ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা দেখে অনেকের মনে হয়েছিল সেনাবাহিনীর ‘গুরুত্বপূর্ণ’  কেউ এর পেছনে আছে বলেই হয়তো এতো রাখঢাক। কিন্তু তনুর মা যে দুই সেনা সদস্যের নাম বলেছেন তারা বড় পদমর্যাদার কেউ নন। এই দুই জনকে বাঁচানোর জন্য যদি তনু হত্যা তদন্ত বিপথে পরিচালিত হয় তাহলে সেটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।

অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে-এটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত। গুটিকয়েক দুষ্কৃতিকে আড়াল করার জন্য গোটা বাহিনী সম্পর্কে মানুষের মনে বিরূপতা তৈরি করা কোনওভাবেই শুভবুদ্ধির পরিচায়ক হতে পারে না। তনু হত্যার তদন্ত নিয়ে যে গড়িমসি চলছে সেটা সরকারের ভাবমূর্তিকে যেমন প্রশ্নবিদ্ধ করছে তেমনি সেনাবাহিনীর সুনাম, সম্মানও মানুষের কাছে অটুট থাকছে না। সন্দেহভাজন যে দুই সেনাসদস্যের নাম তনুর মা বলেছেন তাদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? মামলায় তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্তকারীরা যদি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেয়ে থাকেন তাহলে তাদের গতি এতো ধীর কেন? মানুষের মনে অহেতুক প্রশ্ন ও সংশয় তৈরি হয় এমন কোনও কিছুই কারও তরফ থেকেই করা উচিত নয়। অথচ এ ক্ষেত্রে আমরা দেখছি মানুষের সংশয় বাড়িয়ে দেওয়াটাই যেন কারও কারও অন্যতম কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তনুর শরীর ও কাপড়ের ডিএনএ পরীক্ষা করে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাতে পৃথক তিন ব্যক্তির বীর্য পাওয়া গেছে। ওই তিন ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইলও তৈরি করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ডিএনএর সঙ্গে তনুর দেহে পাওয়া ডিএনএর নমুনা মেলাতে সক্ষম হয়নি সিআইডি। কেন এই অক্ষমতা? মামলার তদন্তকারক কর্মকতা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান বলেছেন, আমাদের বলা হচ্ছে, নিশ্চিত হয়ে ডিএনএ মেলানোর জন্য। যদি নিশ্চিতই হতাম, এই হত্যায় কে বা কারা জড়িত, তাহলে তো তাদের ধরেই ফেলতাম। সিআইডিকে কারা বলছে নিশ্চিত হয়ে ডিএনএ মেলানোর জন্য? তারা কি মামলা তদন্তে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছেন না? এই প্রশ্নগুলো মানুষের মনে দেখা দিচ্ছে এবং তাতে সন্দেহও বাড়ছে।

তনু হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে সিআইডির বিশেষ সুপার নাজমুল করিম খান জানিয়েছেন, ১ এপ্রিল মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিআইডির তদন্তে অগ্রগতি রয়েছে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তে ডাক্তাররা বলতে বাধ্য হয়েছেন মৃত্যুর আগে যৌন সংসর্গ হয়েছে। এটাই আমাদের প্রাথমিক অগ্রগতি। অপরাধীদের শনাক্ত করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। মামলার কার্যক্রম ধীর গতিতে চললেও ধাপে ধাপে এগুচ্ছি আমরা। আশা করি মানুষগুলোর চেহারা আমরা দেখতে পারবো। তিন মাসের বেশি সময় ধরে তনুর পরিবার এবং দেশবাসী অপরাধীদের চেহারা দেখার অপেক্ষায় আছে। কিন্তু আশাবাদী হয়ে ওঠার মতো কোনও কিছুই এখনোও দেখা যাচ্ছে না। উল্টো পরিবারে নিরাপত্তাহীনতা ও অসহায়তাই বাড়ছে। স্বজনদের হাহাকার অন্যদের মধ্যে ও ছড়িয়ে পড়ছে।

যেহেতু তনু হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে সেনানিবাসে এবং তনুর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানে গান না গেয়ে শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাওয়ায় মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়েছে, সেহেতু সেনাবাহিনী কোনোভাবেই উপযুক্ত তথা বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দায় এড়াতে পারবে না। চাপ দিয়ে, ভয়ভীতি দেখিয়ে সেনাবাহিনীর দিক থেকে চোখ সরাতে চাইলে তার প্রতিক্রিয়া হবে বিপরীত। তনুর পরিবারকে যে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, তনুর বাবাকে মিডিয়ার সামনে কথা না বলার জন্য শাসানো হচ্ছে এবং এসবের সঙ্গে কোনও না কোনও সেনা কর্মকর্তার নাম আসছে- এটাও কোনও ভালো লক্ষণ নয়। কর্নেল মাসুদ নামে একজন তনুর বাবাকে ধমকেছেন বলেও তনুর মায়ের বরাত দিয়ে পত্রিকাতে খবর ছাপানো হয়েছে। যতোক্ষণ পর্যন্ত বিষয়টি ফয়সালা না হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে এ ধরনের প্রচারণা বন্ধ হবে বলে মনে হয় না। তাই এখন সেনা কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, প্রকৃত অপরাধীদের আইনের হাতে তুলে দিয়ে তনু হত্যা রহস্য'র যবনিকাপাত ঘটাতে তারা সক্রিয় সহযোগিতা করবেন, নাকি এ নিয়ে জল্পনাকল্পনার ফানুশ উড়াতে মদদ জোগাবেন? সবারই বিবেকবোধ ও মানবিকতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। কোনোভাবেই এতোবড় একটি অন্যায়কে মেনে নেওয়া বা প্রশয় দেওয়া উচিত হবে না।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম প্রশ্ন রেখেছেন, গরিব বলে কি বিচার পাবো না? এভাবে মেরে ফেলবে? আমরা কি প্রমাণ করতে সক্ষম হবো যে ন্যায়বিচার পাওয়া অধিকার ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবারই আছে? আমরা কি এটা দেখাতে পারবো যে অন্যায়ভাবে কাউকে মেরে ফেলে পরিত্রাণ পাওয়ার সুযোগ কারও নেই? বলা হয়ে থাকে ,আইনের হাত অনেক লম্বা । তনুর মামলা থেকেই আমরা দেখতে চাই আইনের হাত আসলেই কতোটুকু লম্বা।

লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট

 [email protected]

 

আরও পড়তে পারেন: তনু হত্যাকাণ্ড ও নাটকীয় ময়নাতদন্ত
আও পড়তে পারেন: ময়নাতদন্ত এবং ময়না পাখির গল্প

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ২ জনের
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ২ জনের
শচীনের ৫১, জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’
শচীনের ৫১, জন্মদিনের শুভেচ্ছায় সিক্ত ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ