X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

হত্যা একটি ভয়ংকর অপরাধ

মাসুদা ভাট্টি
০২ আগস্ট ২০১৬, ১১:৫৮আপডেট : ০২ আগস্ট ২০১৬, ১২:০০

মাসুদা ভাট্টি শিরোনাম পাঠ করে অনেকেই হয়তো হাসছেন, এ কথাতো সবারই জানা, নতুন আর কী লিখলাম, তাই তো? আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, আমরা এই কঠিন সত্য বাক্যটি আসলে ভুলতে বসেছি তাই বাক্যটি নতুন করে সবাইকে শোনাতে চাইছি। কেন এরকমটি মনে হচ্ছে আমার, তা নিয়েই আজকের লেখা।
বিগত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে তারপর বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার কথা ছিল। এই বদল হওয়ার কথা ছিল রাজনৈতিক, অ-রাজনৈতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই, কারণ এতোদিন যে জঙ্গিবাদের কথা কেবল আমরা শুনতে পেতাম মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ আর ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকার্মীদের মুখে। ১ জুলাই গুলশানে সেই জঙ্গিবাদই সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটিয়ে তাদের উপস্থিতি জানান দিল। এর আগে সরকারের বিপক্ষে যারা আছেন, তারা বলতেন যে, আওয়ামী লীগ দেশে জঙ্গিবাদ আছে বলে প্রচারণা চালিয়ে বিদেশের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায়। আবার যখন দেশের ভেতর একের পর এক ব্লগারদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা শুরু হলো, পুরোহিত বা ধর্মযাজকদের হত্যা করা শুরু হলো তখন সরকারও নিজেদের অবস্থান থেকে একটু সরে গিয়ে এগুলোকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে একটু এড়িয়েই যেতে শুরু করলো। আর সরকারবিরোধীরা এসব ঘটনাকে কী করে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া যায় সে হিসেবে ব্যস্ত থাকলো। টকশোজীবীরা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নানারকম থিওরি দাঁড় করাতে থাকলো কেবলমাত্র একটি সত্য সকলকেই অগ্রাহ্য করতে দেখা গেল। তাহলো- নাস্তিক আখ্যা দিয়ে এই ব্লগারদের চাপাতির নিচে ঠেলে দেওয়ার রাজনীতি কী করে শুরু হলো, কারা শুরু করলো এবং কারা তাদেরকে নাস্তিক মনে করে হত্যাকাণ্ডকে বৈধ মনে করছে - এদের সম্পর্কে কেউই যেন মুখ খুলতে চাইলো না। ফলে ১ জুলাই গুলশানে যখন ওই ঘটনা ঘটলো তখন মানুষ কেবল বিস্মিত আর ভীতই হয়েছে, এর বাইরে বাকি সকল অনুভূতির কোনও উল্লেখযোগ্য প্রকাশ লক্ষ্য করা যায়নি। তবে হ্যাঁ, তারপর থেকে মানুষ জঙ্গিবাদকে কেবল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, নব্য বা পুরোনো ধনীর সন্তানের হঠাৎ ধার্মিক হয়ে ওঠা ইত্যাদি নতুন নতুন ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং সেই সঙ্গে কেউ কেউ গলা ফুলিয়ে একথাও বলতে চাইছে যে, মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের এতোদিন যারা জঙ্গি আখ্যা দিয়েছে তাদেরকে এখন নাকে খত দিয়ে ভুল স্বীকার করতে হবে। তারা এতোটাই নিশ্চিত যে, মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা আসলে কেউ জঙ্গি নয়, হতে পারে না, কখনও হবে না। হাস্যকর সব যুক্তি দিয়ে এই হাইপোথিসিস প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বড় দুই রাজনৈতিক দলের একটি যেহেতু ক্ষমতায় রয়েছে সেহেতু তারা বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নেওয়ার চেষ্টা করছে দেশব্যাপী এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক সচেতনতা তৈরির চেষ্টার মধ্য দিয়ে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের মাধ্যমে। যে কারণে আমরা দেখেছি কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় হামলা করে নয় জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে, আস্তানা থেকে জব্দকৃত আলামত সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, জীবিত থাকলে এতোদিনে হয়তো হলি আর্টিজান কিংবা শোলাকিয়ার মতো বড় কোনও ভয়ংকর ঘটনা ঘটেও যেতে পারতো। যে কোনও সরকারের পক্ষেই চলমান সময়টি দুঃসময় হওয়ার কথা। কারণ, দেশের ভেতর একটি অস্ত্রধারী, মৃত্যুভয়হীন (ভয় নিশ্চয়ই আছে কিন্তু পরকালের লোভের কাছে ভয় হয়তো আপাতত পরাজিত), প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারী হামলাকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, সাধাণ নাগরিকের জীবনকে করে তুলছে নিরাপত্তাহীন, বিদেশিদের টার্গেট করে তারা বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, অস্থিরতা তৈরি করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাতেও যে তাদের আগ্রহ চরম, তাতো বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে সরকারকে অনেকটা বাধ্য হয়েই মাঠে নামতে হয়েছে এদের বিরুদ্ধে, প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এই দানবদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সভা-সেমিনার-মানববন্ধন চলছে। মানুষ ১ জুলাইয়ের দুর্বিসহ স্মৃতি থেকে বেরুতে সরকারের এই কর্মকাণ্ডের প্রতি তাদের আস্থা স্থাপন করেছে বলেই আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। সরকার প্রধান হয়তো একেই জনগণের ঐক্য বলছেন।

অপরদিকে দেশের প্রধানতম রাজনৈতিক দলের আরেকটির ভূমিকা দেখি আমরা সরকারের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। প্রথমত- গুলশান-ঘটনার পর বেগম জিয়া যে প্রাথমিক বক্তব্য দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে তা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্যের’ কথা আমরা তার দলের মুখে শুনেছিলাম, মূলত তিনি ও তার দলটি আসলে সেই প্রাথমিক বক্তব্যতেই আটকে আছেন বলে মনে হয়। তিনি বলেছিলেন যে, হলি আর্টিজানের ঘটনা আসলে সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান। তিনি অভ্যুত্থানকারীদের লাল সালাম জানাননি সত্য কিন্তু তাদেরকে তিনি যে ‘ওউন’ করেন, এটা তার প্রাথমিক বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল। কিন্তু যখনই দেখেছেন যে, দেশের মানুষ আসলে হলি আর্টিজানের ঘটনাটিকে ঠিক অভ্যুত্থান বলে মনে করে না, বরং একে দেশের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার অন্যতম মনে করে, তখনই তার দলকে দিয়ে তিনি কথা ঘোরান। কিন্তু তাতে দলটির জন্মদাগ মোছা সম্ভব হয় না কারণ কল্যাণপুরের ঘটনার পর তার দলের প্রথম সারির নেতারা প্রশ্ন তোলেন, নিহতরা আদৌ জঙ্গি ছিল কী ছিল না, তা নিয়ে। এমনকি বেগম জিয়ার উপদেষ্টা, রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের উকিলবাবু, যিনি বঙ্গবন্ধুর আমলে দালাল আইনের খসড়া করেছিলেন বলে শুনেছি, সেই তিনিই হঠাৎ জাতিকে বলছেন, একাত্তরকে ভুলে যেতে। দলীয় নেতাদের এই বক্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই দলের টকশোবাজদের মুখে নতুন তাগদ দিয়েছে, তারা মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন ওরা জঙ্গি কী জঙ্গি নয় সে প্রশ্ন তুলে আর একাত্তরকে ভুলে যাওয়ার এই তত্ত্বতো আসলে তাদের পুরোনো। বিএনপি’র জনক জিয়াউর রহমানই নিজের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় কোথাও দেননি, সেনা বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করাই ছিল তার প্রতিদিনকার কাজ। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা হলো, যারা দেশে জঙ্গিবাদের মতো ভয়ংকর মারণাস্ত্রের ফলক উন্মোচন করেছিল একাত্তরে সেই জামায়াতে ইসলামীকে জিয়াউর রহমান যেমন রাজনীতিতে নবজন্ম দিয়েছিলেন তেমনই তার স্ত্রী ও দল এখন, এই চরম দুঃসময়েও সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে আগলে রেখেছেন। অথচ দেশের গরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষ মনে করে যে, জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে এই জঙ্গিদের রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আর ইতোমধ্যে ধরা পড়া জঙ্গিদের একটি বিরাট অংশ সরাসরি শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে, বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের যে ডাক দেওয়া হয়েছে তাকে বিশ্বাস করার মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ, এমনকি বিএনপি’র নেতাকর্মীরাও কি এই তথাকথিত জাতীয় ঐক্যে বিশ্বাস করেন? মনে হয় না।

লক্ষ্য করে দেখুন, সরকার বা সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে ওপরে যে কথা বলেছি তাতে কোথাও কিন্তু একথা কেউ বলছেন না যে, এই জঙ্গিরা আসলে জঙ্গিবাদের চেয়েও বড় অপরাধটি করেছে মানুষ হত্যা করে। কারণ, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা সেটা প্রমাণ করার প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু হত্যাকাণ্ডতো চোখের সামনে সকলেই দেখছে, তা তো আর নতুন করে প্রমাণ করার কিছুই নেই। আর হত্যাকাণ্ড ফৌজদারী অপরাধের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধ যদি হয়ে থাকে তাহলে তাদেরকে আগে হত্যাকারী হিসেবে বিচার করা সবচেয়ে ফরজ কাজ। কিন্তু এই সহজ ও স্বাভাবিক বাক্যটি আমরা কারও মুখ থেকে শুনিনি এখনও। সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ধর্মের নামে হত্যাকাণ্ডকে ইসলাম সমর্থন করে না, অন্যদিকে বিএনপি ‘ইসলাম সমর্থন করে না’ এরকম বাক্যও বলছে না, পাছে তাদেরকে ইসলামের বাইরে ফেলে দেয় তাদের পেয়ারের জামায়াত, তারা সন্দেহ করছে এরা আদৌ জঙ্গি কিনা। জঙ্গি বলতে বিএনপি নেত্রী বা দলটির সমর্থক আসলে কী বোঝেন আমাদের কাছে এখনও তা স্পষ্ট নয়। জঙ্গিবাদের সংজ্ঞাও এদেশে এখন নানা বিশ্লেষণে পথ হারানো একটি প্রপঞ্চ মাত্র। কোনও পক্ষই ঠিক একমত নন ‘কারা আসলে জঙ্গি’ এই প্রশ্নে। ফলে, আমরা এখনও এক ধরনের অন্ধকারের ভেতরেই রয়েছি বলে মনে হচ্ছে। আর সে কারণেই আবার সকলকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য লিখতে হলো, ‘হত্যাকাণ্ড একটি অপরাধ’ বাক্যটি।

এই মুহূর্তে চলমান এই হত্যাকাণ্ডকে একটি অপরাধ হিসেবে সকলের সামনে প্রতিষ্ঠা এ কারণে জরুরি যে, তাহলে আর কেউ কে জঙ্গি আর কে জঙ্গি নয় সে প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে না। এমনকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মাদ্রাসা কিংবা সাধারণ বাংলা মিডিয়াম - কোন দিক থেকে জঙ্গিরা আসছে সে প্রশ্নও মুখ্য নয়, কারণ, আগে তাদের অপরাধ অর্থাৎ হত্যাকাণ্ডকে একটি অপরাধ হিসেবে মেনে নিয়ে বিচার হওয়াটা জরুরি। যে মুহূর্তে তারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কী সম্পৃক্ত নয় সে প্রশ্ন উঠছে, যে মুহূর্তে তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কী মাদ্রাসায় পড়ে তা নিযে প্রশ্ন ওঠে ঠিক সেই মুহূর্তেই তাদের অপরাধ একটু হলেও আড়ালে চলে যায়। কারণ এরপরেই হয়তো একথা বৈধতা পেয়ে যাবে যে, তারাতো মুসলমান হত্যা করেনি, তারা করেছে অমুসলিম আর নাস্তিকদের হত্যা, এবং এর ফলে তাদের অপরাধের মাত্রা খানিকটা হলেও কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা আসবে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের কাছ থেকে। লক্ষ্য করে দেখুন, হত্যার মতো একটি ভয়ঙ্কর অপরাধকে পাশ কাটানোর জন্যই কিন্তু তাদের সম্পর্কে এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সর্বত্র। আর এই প্রশ্নাবলীর মধ্যে তাদের অপরাধ গুলিয়ে যাচ্ছে, হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ কেমন হাল্কা ‘বেত্রাঘাত’-এর মতো হয়ে উঠছে। অথচ, ব্যক্তি মাত্রই তার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত, তার রাজনৈতিক/সামাজিক/ধর্মীয় বিশ্বাসের সুযোগ সংবিধান-সংরক্ষিত, কোনও কারণেই তাকে হত্যার মতো অপরাধকে হাল্কাভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সকল পক্ষই বহুবিধ প্রশ্ন তুলে এই হত্যাকাণ্ডকে লঘু অপরাধে পরিণত করতে চাইছে। আমার মনে হয়, সকল নাগরিকের পক্ষ থেকে এখন প্রতিটি পক্ষকে এই কথাটিই স্মরণ করিয়ে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে যে, হত্যাকাণ্ড একটি অপরাধ এবং এর শাস্তিই প্রাথমিক, কেন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার ইতি-নেতি পরেও উদঘাটন সম্ভব; আগে হত্যার বিচার হোক।

লেখক: কলামিস্ট

[email protected]

আরও খবর: ‘কল্যাণপুরে নিহত ৯ জঙ্গির একজন ছিল লিবিয়ায়’

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
দক্ষিণ চীনে বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখ মানুষকে
দক্ষিণ চীনে বন্যা, সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখ মানুষকে
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ পেলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
‘অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড’ পেলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
সনদ বাণিজ্য: কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু
পদ্মায় গোসল করতে নেমে ৩ মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ