X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

পশ্চিমবঙ্গের সরকারি নাম থেকে পশ্চিম বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে

গর্গ চট্টোপাধ্যায়
১১ আগস্ট ২০১৬, ১৯:৫১আপডেট : ১১ আগস্ট ২০১৬, ২০:২০

গর্গ চট্টোপাধ্যায় ‘এটা ক্রোধের মাটি, সহ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়ে হাঁসফাঁস করা মাটি। এ মাটি থুথু দেয়, উদ্‌গীরণ করে —প্রাণ উদ্‌গীরণ করে। আমাদের সেই মাটির উপযুক্ত হয়ে ওঠা দরকার। এই সৃজনশীল অংশটিকে সার দিতে হবেই। এই ক্রোধকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। যেন মেনে নেওয়া, হাল ছেড়ে দেওয়া এক ঘুমে আমরা ঢলে না পড়ি। প্রকৃতি থেকে, ইতিহাসের থেকে এটি আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।’ নিজের দেশ ফরাসি ঔপনিবেশ মারটিনিক প্রসঙ্গে বলেছিলেন এইমে সেজার*।
২ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যের সরকারি নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে ওয়েস্ট বা পশ্চিম ছেঁটে ফেলা হবে। পরিবর্তে নাম হবে বাংলা অথবা বঙ্গ। সরকারি ‘ইংরেজি নাম’ হবে বেঙ্গল। উত্তর প্রদেশের নাম নর্থ না বা নর্দার্ন প্রভিন্স নয়। অন্য কোনও রাজ্যের এমন আলাদা ইংরেজি নাম নেই— আমাদের কেন বিশেষভাবে ইংরেজি দরকার, তা সরকার খোলাসা করেনি। এই বদলের তাৎক্ষণিক কারণ হলো এক দীর্ঘকালীন সমস্যা। নতুন দিল্লির সংঘ সরকার (যার ‘কেন্দ্রীয়’ সরকার নামটি ভ্রান্তভাবে প্রচলিত) যখন কোনও কারণে রাজ্যগুলোর মিটিং ডাকে, তখন বক্তব্য রাখতে রাজ্যগুলোকে আহ্বান করা হয় ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমিক অনুসারে। অর্থাৎ রাজ্যগুলোর নামের আদ্যাক্ষরের ক্রমসংখ্যা অনুসারে। ফলে ডব্লিউ দিয়ে নাম শুরু হওয়া ওয়েস্ট বেঙ্গলকে ডাকা হয় একদম শেষে এবং অনেক ক্ষেত্রেই বক্তব্য শোনার ধৈর্য বা বক্তব্য রাখতে দেওয়ার জন্য সময়, দুইই থাকে অপ্রতুল।
এই উপমহাদেশের নানা ভাষার কোনও বর্ণমালাতেই ওয়েস্ট শব্দের ‘ও’ ধ্বনিটি একদম শেষে আসে না। কেন একটি ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হওয়া এলাকায় ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমতালিকা ব্যবহৃত হয়, সেটি আরেক গভীর প্রশ্ন, যে প্রসঙ্গে আজ আমি যাচ্ছি না। সম্প্রতি নতুন দিল্লিতে আন্তঃরাজ্য পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্যরত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একপর্যায়ে সময়ের অভাবের জন্য থামিয়ে দেওয়া হয়। একজন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারপ্রধানকে যে নতুন দিল্লির হাটে এভাবে অপমান করা যায়, সময়ের উছিলা দেখিয়ে, সেটা নিয়মতান্ত্রিকতার বাইরেও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন রাষ্ট্রে রাজ্য সরকারগুলোর স্ট্যাটাসকেই বয়ান করে। আরেকটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রধান নরেন্দ্র মোদিকে এভাবে থামিয়ে দেওয়ার কথা নতুন দিল্লির কেউ কল্পনা করতে পারেন?

তবু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, রাজ্যের নাম বদলের মতো এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পেছনে তাৎক্ষণিক কারণ হিসেবে আছে, এমন একটি কৃত্রিম আমলাতান্ত্রিক সমস্যা। এই একই সমস্যার কারণে মোটামুটি ৫ বছর আগে তৃণমূল সরকারই আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে যে রাজ্যের সরকারি নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে বদলে হবে পশ্চিমবঙ্গ। ফলে ইংরেজিতেও আদ্যাক্ষর ‘পি’ হলে আর সবশেষে থাকতে হবে না। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে নতুন দিল্লি এই নাম বদলটিকে মেনে নেয়নি। এটা ভেবে দেখার বিষয় যে, একটি রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনধি ও জনগণ তাদের রাজ্যের নামও ঠিক করতে পারে না, নতুন দিল্লির সরকারের অনুমতি ও সিলমোহর ছাড়া। এই অগণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতার নানা মাশুল বারবার দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, দিয়ে চলবে। সে যাই হোক, ওয়েস্ট বা পশ্চিমকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফাইনাল। বিধানসভার একটি বিশেষ অধিবেশনে এটি পাশ করানো হবে।

পশ্চিমবঙ্গের সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, নাম বদল আমাদের ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের’ স্বার্থে। মজার কথা হলো, সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ নামটি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।  তাকে কিভাবে মুছে ফেলা যায়? ১৯৪৭ থেকে পশ্চিমবঙ্গ নামটিও ‘আমরা’ হয়ে উঠেছি, অতীতনিষ্ঠভাবে। পশ্চিমবঙ্গ নামটির ভিত্তি অন্তত বাস্তব ইতিহাসে, অন্তত স্রেফ ‘বঙ্গ’র তুলনায়। যে ঐতিহাসিক এলাকা থেকে বঙ্গ নামটির উদ্ভব, সেটি বর্তমানে পুরোপুরিই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে, মূলত বাংলাদেশের ফরিদপুর-মাগুরা-শরীয়তপুর-ঢাকা এলাকায়।

১৯৪৭ এর আগে বাংলার পশ্চিম অংশে কখনোই নিরবচ্ছিন্ন রাজনৈতিক একক ছিল না। সেটা হয়েছে ১৯৪৭ এর পরে, যখন হিন্দুপ্রধান পশ্চিম অংশ আর মুসলমান প্রধান পূর্ব অংশে বাংলা ভাগ হলো। ১৯০৫ এর বাংলা ভাগের ফলে উদ্ভূত বেঙ্গলে আজকের বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যা প্রদেশে ছিল। সেই ‘বেঙ্গল’ হলো একটি ইংরেজ কল্পনা, সেটি পশ্চিমবঙ্গ ছিল না। ১৯৫৫ তে পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের ‘ওয়ান ইউনিট’ প্রকল্পের ফলে হয় পূর্ব পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে।

১৯৫১ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়— খোদ কলকাতাতেই জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ পূর্ববঙ্গ থেকে দেশভাগের পরে কলকাতায় আসা জনগোষ্ঠী। সেই অনুপাত পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আজ অবধি শুধুই বেড়েছে। তারা কেন এখানে, তার কারণ ১৯৪৭। ‘পশ্চিম’বঙ্গ সেই ঘটনার ফল। রাজনৈতিকভাবে ইংরেজ শাসনাধীন উপমহাদেশের আইনসভায় সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধি পাঠাতো যুক্ত বাংলা। দেশভাগের পর দিল্লির রাজনীতিতে বাংলা ও বাঙালির প্রান্তিকতার কারণও বাংলাদেশ ভাগ। আমরা প্রান্তিক, কারণ আমরা পুরো বাংলা নই, কারণ আমরা বিভাজিত বাংলার পশ্চিমভাগ, পশ্চিমবঙ্গ। নাম বদলালে এই বাস্তবতা বদলাবে না। অর্থনৈতিকভাবেও পূর্ববঙ্গের সঙ্গে যোগসূত্র বিচ্ছিন্ন হওয়ার যেসব কারণ রয়েছে, এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক অধঃপতনের একটা বিরাট কারণ।

প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ শব্দের মাধ্যমে দুই বাংলা বা বাংলার যেকোনও এলাকাকে বোঝানো খুবই স্বাভাবিক ছিল— এই সেদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক ময়দানে, সাহিত্যে, সর্বত্র। সত্যজিৎ রায় যখন পথের পাঁচালীতে হরিহরের মুখে বাংলাদেশ শব্দ বসান, গুপীবাঘা যে ‘বাংলাদেশ’ থেকে এসেছিলো, তখন তিনি পূর্ব বাংলা বোঝাননি। বাংলার দেশ হলো বাংলাদেশ। দেশ ও রাষ্ট্রের তফাৎ বোঝা প্রয়োজন। দেশ হলো কোন গোষ্ঠীর আবাদভূমি বা হোমল্যান্ড। রাষ্ট্র হলো একটি রাজনৈতিক অবকাঠামো ও ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’র বাংলাদেশ আজ রাজনৈতিকভাবে একাধিক রাষ্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যথা ভারতীয় সংঘরাষ্ট্র এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ’ বিষয়টি এক নয়। এই সেদিন অবধি মূলত পশ্চিমবঙ্গীয় বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত হতো ‘বাংলাদেশ’ পত্রিকা। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ নামটির হ্রস্যমান জনপ্রিয়তা দুঃখজনক কারণ এক্ষেত্রে আমরা এই একটি নামের মালিকানার প্রশ্নে রাষ্ট্রিক দাবিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি দেশজ দাবি থেকে। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে ‘বাংলাদেশ’ হয়ে গেছে ‘অপর’ সূচক একটি শব্দ। এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কি হতে পারে।

অথচ বাংলাভাষী মানুষের আবহমান কালের রাষ্ট্রটিতে গত কয়েক শতকে বিশাল হেরফের হয়নি, আজও হয়নি। বাংলা হলো ২৫ কোটি বাংলাভাষী মানুষের ঐতিহাসিক আবাদভূমি- বিশ্বের প্রতি ২৫ জন মানুষের মধ্যে ১ জন বাংলাভাষী। সর্বাধিক জনঘনত্বে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এলাকা। এ এক অনন্য ভূমি। হিমালয় ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে জীবন্ত নদীর, আজ বদ্বীপ নির্মাণের চলমান প্রক্রিয়ার এই ভূমি জীবন ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম চালিয়ে যায় প্রতিদিন, প্রতিরাত। এখানে প্রকৃতি বিধানে চলে প্রকৃতির বিধান বিরুদ্ধতা- এ রাগ, জাদু, স্বপ্ন ও সংগ্রামের ভূমি। যেমন এইমে সেজার বলেছিলেন, ‘বিস্ময়কর জন্ম থেকে প্রসূত এক অদ্ভুত ভূমি, এর দাম যেকোনও বিগ ব্যাং- এর থেকে বেশ।’ ১৯৪৭ যে ভাগ করেছিল, যার ফলাফল আজও বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে, সেই ভাগের অদূরদৃষ্টি, রাগ, বেঈমানি, প্রায় মহাজাগতিক ক্রোধের মনুষ্যকারক দ্বারা বহিঃপ্রকাশ- ‘পশ্চিম’ তারই চিরস্মারক। তাই কারও কাছে পশ্চিম হল মুছে দিয়ে ভুলে যাবার জিনিস, কারও কাছে তা আজ বিভাজনের রাজনীতি করার সাধন, কারও কাছে পথ আলাদা হবার ঐতিহাসিক মাইলফলক, আবার কারও কাছে ঘুমিয়ে থাকা ভবিষ্যৎ স্বপ্নের ইঙ্গিত। এই পশ্চিম চেতনাকে বাতিল করে দেওয়া, তা ১৯৪৭ পরবর্তী সরকারি ভারতীয় ইতিহাস ও আদিকল্প দ্বারা নির্মিত ও আচ্ছন্ন আজকের প্রজন্মের কাছে ফলে যতই আলগা ও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে থাকুক, তা আসলে একটি জাতির আত্মপরিচিতি ও জাতিস্বত্বা চেতনাকে আঘাত করা, অতীত থেকে বিচ্ছিন্ন এক বর্তমানকে নির্মাণ করা। পশ্চিমবিহীন পশ্চিমবঙ্গ স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি মেকি আত্মপরিচিতি নির্মাণ করতে চায় যা পুরোপুরি আজকের রাজনৈতিক সীমানার মধ্যে আবদ্ধ, যেন ১৯8৭ এ বিধাতা পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় এক নতুন স্বত্ত্বা পয়দা করেছিলেন, যার অতীত নেই কিন্তু বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আছে। কিন্তু এই গোঁজামিল ধরা পড়ে যায় যখন মূলত হিন্দু উচ্চবর্ণ প্রধান মনীষিকাণ্ড সমৃদ্ধ ‘বাংলার’ ইতিহাসে এসে পড়ে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ও রমেশ চন্দ্র মজুমদারের ঢাকায় অধ্যাপনা, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের যশোরে ডেপুটি কালেক্টরগিরি, রবীন্দ্রনাথের কুষ্টিয়ায় অবস্থানকালের সৃজনশীলতা, সূর্য সেনের চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিদ্রোহ। পূর্ববাংলা চেতনাবিহীন ‘বাংলা’তে এগুলিকে ধরা যাবে নাকি এগুলি এবার থেকে বাদ? ভারতীয় সংঘরাষ্ট্রের শাসনাধীন স্বয়ংসম্পূর্ণ বানোয়াট এক ‘বাংলা’ আত্মপরিচিতি কল্পনায় কেউ ডুব দিতেই পারেন, কিন্তু সে পুকুরের পাড়গুলিতো সব এই ‘বঙ্গ/বাংলা’য় নয়। তখন তল পাবেন, অঙ্ক মেলাতে পারবেন পূর্ব-পশ্চিম ছাড়া?

পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম দরকার নিজেদের চিরন্তন আত্মপরিচিতির মৌলিক ও প্রাথমিক ধারণাগুলোকে, নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি আগলে রাখতে, নিজের ঠাকুমার সঙ্গে নিজের সংযোগ না হারাতে। হয়তো পূর্বে ফেরত যাওয়ার কোনও পথ নেই। আছে শুধু দিল্লিগামী লংমার্চ, বিশেষণহীন ‘স্রেফ ইন্ডিয়ান’ হয়ে ওঠার মহাপ্রকল্পে যোগ দেওয়া। এই ইন্ডিয়ান এমন এক গোষ্ঠী পরিচিতি যার ‘প্রাচীন ইতিহাস’ আছে কিন্তু ‘ঠাকুমা-দিদিমা চেতনা’ নেই। এই ইন্ডিয়ানত্ত্ব এমন এক আকারের জুতা, যার সাইজ সবার জন্য এক এবং এতে ফিট হতে হলে নিজের আকার বদলাতে হয়। অথচ আমাদের আকার-প্রকার তো এই ভূমি দ্বারা গঠিত- এমনকি উত্তরাধিকারে পাওয়া এমন সব আকার-প্রকার সম্বলিত যাতে এমন ভূমির ছাপ-স্মৃতি-গন্ধ যেখানে ইন্ডিয়ান তেরঙা ওড়ে না। আজকের দিনে, এই পশ্চিম নামক হুঁশিয়ারি দরকার পশ্চিমবঙ্গে এটা মনে করাতে যে সাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পন্ন রাজনৈতিক বয়ানের কি বিষময় ফলাফল হতে পারে। পশ্চিম আমাদের মনে করায় আমরা কোনও অতীত থেকে এই বর্তমানে কেমন করে পৌঁছালাম এবং আমরা ভবিষ্যতে কোথায় যাবো।

*দার্শনিক ও রাজনীতিবিদ, নেগ্রিচুড আন্দোলনের অন্যতম জনক, ফ্রান্স ফ্যাননের গুরু।

লেখক: স্থিত মস্তিষ্ক-বিজ্ঞানী

আরও খবর: গুলশান হামলায় বেঁচে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক সাত প্রকাশের জবানবন্দি

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মৌলভীবাজারে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক: মানবাধিকার কমিশন
মৌলভীবাজারে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক: মানবাধিকার কমিশন
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা
ফটোকপি দোকানের কর্মচারী, জেলে, রাজমিস্ত্রি তৈরি করতো জাল টাকা
ফটোকপি দোকানের কর্মচারী, জেলে, রাজমিস্ত্রি তৈরি করতো জাল টাকা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ