X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুবিদ আলীদের ‘সুবিধাবাদ’!

প্রভাষ আমিন
২০ আগস্ট ২০১৬, ১৫:১৪আপডেট : ২০ আগস্ট ২০১৬, ১৫:৩০

প্রভাষ আমিন রাজনীতিতে অনেক মতবাদ আছে। যুগে যুগে বিশ্বজুড়ে মানুষকে নানা মত আকৃষ্ট করে। মার্ক্সবাদ, লেনিনবাদ, মাওবাদ, মুজিববাদ- মতবাদের কোনও কমতি নেই। তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মতবাদ হলো- সুবিধাবাদ। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে রাজনীতিবিদরা তাদের সুবিধামত এই মতবাদকে আকড়ে ধরেন। এই সুবিধাবাদী রাজনীতির সর্বশেষ উদাহরণ মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভুঁইয়া এমপি।
সম্প্রতি সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভায় আওয়ামী লীগের সাংসদ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় সুবিদ আলী ভুঁইয়া জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ করেছেন তার দলেরই দুই এমপি মুহিবুর রহমান মানিক ও নাভানা আক্তার।
বৈঠকে মুহিবুর রহমান মানিক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রকাশিত স্মরণিকায় জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর মতে বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় তাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কিন্তু ইউজিসি তো এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। কিন্তু ইউজিসি চেয়ারম্যান কিছু বলার আগেই সুবিদ আলী ভুঁইয়া বলেন, জিয়াউর রহমানই তো দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। এ ব্যাপারে আমি আমার বইয়ে লিখেছিও। তখন সভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। মুহিবুর রহমান মানিক বলেন,  ‘বিএনপি যে স্যাটেলড ইস্যু নিয়ে বিতর্ক করতে চায়, আপনিও যদি সেই একই বিষয় নিয়ে কথা তোলেন তাহলে কী দাঁড়াল?’ এ সময় কমিটির অন্য সদস্যরাও সুবিদ আলীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ‘সুবিদ আলী আওয়ামী লীগের আদর্শ ধারণ করেন না। কেবল এমপি হওয়ার সুযোগ নিতে তিনি এই দলে আছেন।’
কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘আপনি তো জিয়ারই সৈনিক। আপনার আসনে বিএনপির বড় নেতা মোশাররফ হোসেন, তাই আপনি বিএনপির মনোনয়ন পান না। এমপি হওয়ার জন্য আপনি এখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন’। মুহিবুর রহমান মানিক পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আমি বৈঠকে বলেছি, কিছুদিন আগে আমাদের নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন ছাত্রলীগে শিবির অনুপ্রবেশ করেছে। এখন দেখছি সুবিদ আলীর মতো সুবিধা নিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনে জামায়াত-শিবিরসহ অন্য মতাদর্শের অনেকেই ঢুকে পড়েছেন। এদের শনাক্ত করা উচিৎ’।

সুবিদ আলী ভুঁইয়া কমিটির বৈঠকে আসলে কী বলেছেন, সেটা জানার সুযোগ আমাদের নেই। তিনি এখন সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করছেন, তিনি জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি বলেননি। কেউ এটা প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু আমার সন্দেহ, সুবিদ আলী যদি এমন কিছু নাই বলবেন, তাহলে তার দলেরই অন্তত তিনজন সংসদ সদস্য তার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন কেন? তারা তিনজনই কি শুনতে বা বুঝতে ভুল করেছেন? নাকি তিনজনই তার বিরুদ্ধে ঘোট পাকিয়ে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন? কী বলেন মি. ভুঁইয়া?

সুবিদ আলী ভুঁইয়া বারবার তার বইয়ের রেফারেন্স দেন। ‘মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস’ গ্রন্থে সুবিদ আলী ভুঁইয়া লিখেছেন ‘বাঙালি সৈনিকেরা বুঝতে পারল এই প্রবল আক্রমণের মুখে তাদের সামান্য লোকবল ও অস্ত্রবল নিয়ে বেশিক্ষণ টিকে থাকা একেবারেই সম্ভব নয়। সুতরাং পিছিয়ে যাওয়াই তখনকার মতো একমাত্র উপায়। কিন্তু শহর ছাড়ার পূর্বে মেজর জিয়া চাইলেন বিশ্ববাসীর কাছে তাদের বিপ্লব ও বিদ্রোহের কথা ঘোষণা করতে। তাদের মুক্তি সংগ্রামের কথা প্রচার করে দিতে। ২৭ শে মার্চের সন্ধ্যায় তিনি চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র কালুরঘাটে পৌঁছলেন। মেজর জিয়াকে দেখে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ফেটে পড়ল বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা। কিন্তু মেজর জিয়া কী বলবেন! তিনি বিবৃতির পর বিবৃতি লিখে ছিড়ে ফেলেন, কিন্তু মনমত বিবৃতি তৈরি করতে পারছেন না। ওদিকে বেতারে পুনঃ পুনঃ ঘোষণা করা হচ্ছিল, আর পনেরো মিনিট পরে মেজর জিয়া বেতারে ভাষণ দেবেন। ঘণ্টা দেড়েক চেষ্টার পর তিনি তাঁর সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি তৈরি করে নিজেই সেটি ইংরেজিতে ও বাংলায় পাঠ করেন। তবে মেজর জিয়া ওই বেতার ভাষণে নিজেকে 'হেড অব দ্যা স্টেট' অর্থাৎ 'রাষ্ট্রপ্রধান' রূপেই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তার পরের দিনই পূর্বের দেওয়া বেতার ভাষণটির সংশোধন করে তিনি ঘোষণা দেন যে, এই মুক্তিযুদ্ধ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে।’ এরপর সুবিদ আলী ভুইয়া লিখেছেন, ‘মেজর জিয়ার সেদিনের সংশোধিত ঐতিহাসিক ভাষণটি তাঁর স্ব-কণ্ঠ বাণীবদ্ধকৃত টেপ থেকে নিম্নে তুলে দেওয়া হলো’। এরপর সুবিদ আলী ভুঁইয়া জিয়াউর রহমানের ঘোষণা হিসেবে আট লাইনের লম্বা টেক্সট তুলে ধরেছেন। এত দীর্ঘ উদ্ধৃতি দিলাম, কারণ সুবিদ আলীর বইয়ে তুলে ধরা জিয়াউর রহমানের ঘোষণা এবং এর প্রেক্ষাপটের সঙ্গে ইতিহাসের মিল নেই।

জিয়াউর রহমানের ঘোষণা এবং এর প্রেক্ষাপট নিয়ে সবচেয়ে অথেনটিক ভাষ্য বেলাল মোহাম্মদের। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মূল সংগঠকদের একজন এই বেলাল মোহাম্মদই ২৭ মার্চ পটিয়া থেকে জিয়াউর রহমানকে কালুরঘাট নিয়ে আসেন। ২৬ মার্চ থেকেই কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ চলছিল, প্রথম দিয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান। বেলাল মোহাম্মদ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের সহায়তা চেয়েছিলেন। তার সহায়তা না পেয়ে তিনি পটিয়া গিয়ে মেজর জিয়ার সহায়তা চান। উৎসাহ নিয়ে জিয়া বেলাল মোহাম্মদের সঙ্গে কালুরঘাটে আসেন। সেখানে কথা প্রসঙ্গে বেলাল মোহাম্মদ জিয়াকে বলেন, ‘আচ্ছা মেজর সাহেব। এখানে তো আমরা সব মাইনর, আপনিই একমাত্র মেজর। আপনি কি নিজের কণ্ঠে কিছু বলবেন?’ মেজর জিয়া সে আহবানকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন এবং দুজনে মিলে ঐতিহাসিক ঘোষণাটি তৈরি করেন ‘আই মেজর জিয়া অন বিহাফ অব আওয়ার গ্রেট ন্যাশনাল লিডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডু হেয়ার বাই ডিক্লেয়ার দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্স অব বাংলাদেশ।’ এই ঘোষণার ইংরেজিটা পাঠ করেন মেজর জিয়া। বাংলা অনুবাদ পাঠ করেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে আরেকজন।

সুবিদ আলী ভুঁইয়ার বই আর বেলাল মোহাম্মদের তথ্যে দারুণ অমিল। বেলাল মোহাম্মদের ডাকে সাড়া দিয়ে উৎসাহের সঙ্গে এসে এবং ঘোষণা পাঠ করে জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার নাম আলাদা করেই লেখা থাকবে। কিন্তু সুবিদ আলী ভুইয়ার বইয়ে জিয়াউর রহমানের ওপর বাড়তি বীরত্ব আরোপের চেষ্টা আছে। পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি নাকি চেয়েছিলেন বিশ্ববাসীর কাছে তাদের বিপ্লব ও বিদ্রোহের কথা ঘোষণা করতে। এটা আদৌ সত্য নয়। বেলাল মোহাম্মদই তাকে পটিয়া থেকে ডেকে এনেছিলেন। সুবিদ আলী ভুঁইয়ার বইয়ে দুটি ঘোষণা থাকলেও বেলাল মোহাম্মদ একটি ঘোষণার কথা বলেছেন। তবে আরও একাধিক বর্ণনায় জিয়াউর রহমানের দুটি ঘোষণার উল্লেখ পাওয়া যায়। নিজেকে 'হেড অব দ্য স্টেট' দাবি করে একটি ঘোষণা জিয়া দিয়ে থাকতে পারেন, তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের আপত্তির মুখে সে ঘোষণা বেশিক্ষণ টেকেনি। শিগগিরই বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা দেন জিয়া, যা ঠাঁই পেয়েছে ইতিহাসে। সেদিনের সংবাদ সম্মেলনেও সুবিদ আলী জিয়াকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেছেন, জিয়া নাকি ভুল করে নিজেকে ‘হেড অব দ্যা স্টেট’ ঘোষণা করেছিলেন। ওটা নাকি ইনটেনশনাল ছিল না। সুবিদ আলী ভুইয়ার বইয়ের ভাষ্য অনুযায়ী জিয়া ঘণ্টা দেড়েক চেষ্টা করে যে ঘোষণা তৈরি করলেন, তাতেও এত বড় ভুল! আমার ধারণা, জিয়া সচেতনভাবেই এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। বরাবরই সুযোগসন্ধানী জিয়া একটা চান্স নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিবাদের মুখে তা হালে পানি পায়নি।

তবে আমি জিয়াউর রহমানকে দোষ দিতে চাই না। তিনি হয়তো চান্স নিতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি নিজে কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি, প্রথম রাষ্ট্রপতি তো নয়ই। জিয়াউর  স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও কখনও তার স্বামীকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেননি। ঘটনার ৪৪ বছর পর গতবছর তার ছেলে তারেক রহমান তার পিতাকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণিকাতে সে দাবির পুনরুল্লেখ করেন বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার সৈয়দ রেজাউর রহমান। ইতিহাস বিকৃতির এই ধারাবাহিকতায়ই সুবিদ আলী বিতর্ক। ইতিহাস বিকৃতির ২১ বছরেও যা হয়নি, এখন তাই হচ্ছে। এ যেন ইতিহাস বিকৃতির নতুন মাত্রা।

সংসদীয় কমিটির সভায় দলীয় সহকর্মীরা সুবিদ আলী ভুইয়াকে 'জিয়ার সৈনিক' হিসেবে অভিহিত করেছেন। এটি কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। সুবিদ আলী ভুইয়া জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কোনও খেতাব না পেলেও মুক্তিযুদ্ধে সুবিদ আলী ভুইয়ার বীরত্বপূর্ণ অবদান ছিল, এটা অস্বীকার করা যাবে না। শুধু যুদ্ধের ময়দানে নয়, আদর্শিকভাবেও তিনি জিয়ার সৈনিক ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার প্রথম দফা প্রধানমন্ত্রিত্বের পুরোটা সময় তিনি সশস্ত্র বাহিনীর অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসরের পর তিনি রাজনীতি করবেন, এটা সবাই জানতেন। চাকরিতে থাকার সময়েই এলাকায় তার রাজনীতি করার খায়েশ প্রচারিত ছিল। সবাই জানতেন তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন। সেটাই করার কথা। কিন্তু তার সেই আকাঙ্ক্ষার পথে হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যিনি কুমিল্লা-১ আসনে সুবিদ আলীর প্রতিদ্বন্দ্বী। অবসর নিয়েই সুবিদ আলী বুঝে গেলেন ড. মোশাররফ থাকতে বিএনপিতে তার কোনও চান্স নেই। ২০০১ সালে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে গো হারা হেরে বুঝে গেলেন, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে হলে মার্কা লাগবে। ২০০৩ সালে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে। এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি এমপি হয়ে যান। তার খায়েশ ছিল সিকি হোক, আধুলি হোক; নামের পাশে মন্ত্রিত্বের সিল লাগানোর। সে আশা পূরণ না হওয়ায় তার হতাশার কথাও গোপন নয়। তার সর্বশেষ বিতর্ক সেই হতাশার বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।

আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ায় সুবিদ আলী তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রথম ধাপে পা রেখেছেন। তেমনি লাভ হয়েছে আওয়ামী লীগেরও। ৭৩ সালের পর ২০০৮ সালেই প্রথম আসনটি পেয়েছে আওয়ামী লীগ। কুখ্যাত খন্দকার মোশতাকের এলাকা দাউদকান্দি বরাবরই আওয়ামী বিরোধীদের দখলে। এমনকি ৭৩ সালের নির্বাচনে খন্দকার মোশতাককে জেতাতে ব্যালট পেপার হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনতে হয়েছিল। এরপর কখনও জাসদ, কখনও বিএনপি, কখনও জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিতেছে; আওয়ামী লীগ কখনোই নয়। সুবিদ আলী ভুঁইয়া জিতলেও আসনটি আসলে পায়নি আওয়ামী লীগ। এখনও দাউদকান্দিতে আওয়ামী বিরোধীরাই শক্তিশালী।

সুবিদ আলী ভুঁইয়ার আওয়ামী লীগে যোগদান সুবিধাবাদী রাজনীতির চমৎকার উদাহরণ হয়ে থাকবে। সারাজীবন জিয়ার সৈনিক হয়ে থেকে, বিএনপির পারপাস সার্ভ করে শেষ বেলায় এসে তিনিই বনে গেলেন নৌকার মাঝি। তাই ইতিহাস নিয়ে তার বিভ্রান্তিতে আমি খুব অবাক নই। বরং আমি সুবিদ আলী ভুইয়াকে ধন্যবাদ জানাই, বিএনপি ছেড়ে এলেও আদর্শটা ভোলেননি। তিনি সাহসের সাথে নিজে যেটা সত্যি মনে করেছেন, সেটা তুলে ধরেছেন। দলীয় অবস্থান বিবেচনা করেননি।

তবে একটা সুবিদ আলী একা নন, ক্ষমতার লোভে আওয়ামী লীগে এখন ‘সুবিধালী’দের ভিড়। আওয়ামী লীগ এখন অনেক উদার। সবার জন্য তাদের দুয়ার খোলা। জাসদ, সিপিবি, বিএনপি, এমনকি জামায়াতের লোকজনও এখন অনায়াসে ভিড়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগে। কিন্তু ক্ষমতায় না থাকলে এই দুধের মাছিদের কয়জনকে খুঁজে পাওয়া যাবে, সন্দেহ আছে।

লেখক: অ্যাসোসিয়েট হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

[email protected]

আরও খবর: র‌্যাবের কব্জায় জেএমবির নারী নেটওয়ার্ক!

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে শান্ত, ‘সবার আগে উনার চাইতে হবে’
তামিমের ফেরা প্রসঙ্গে শান্ত, ‘সবার আগে উনার চাইতে হবে’
পশ্চিম তীরে ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েলি সেটেলাররা
পশ্চিম তীরে ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েলি সেটেলাররা
রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর
রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হওয়ার আহ্বান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর
চুয়াডাঙ্গায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ