X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের কাছে মানুষ কী চায়?

মাসুদা ভাট্টি
২১ অক্টোবর ২০১৬, ১০:১৪আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৬, ১০:১৫

মাসুদা ভাট্টি দেশের সবচেয়ে বড় ও স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে চলেছে। কোনও ঘরানার বিশ্লেষকই মনে করেন না যে, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলটির বিশেষ কোনও পরিবর্তন হবে। কারণ, এই মুহূর্তে দলটির নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প সত্যিই আর কেউ নেই। তবে হয়তো নতুন সদস্যদের জায়গা করে দেওয়া হবে দলটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং তাতে রাজনীতিতে খানিকটা হলেও নতুন আলোচনা যোগ হবে আগামী কিছুদিনের জন্য। কিন্তু তারপরও এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলটির ভেতর যে সাজ সাজ রব তাকেও খাটো করে দেখার কোনও সুযোগ নেই। সম্মেলনের ফলাফল যাই-ই হোক না কেন, এই লেখা সম্মেলনের আগে এ কারণেই লেখা যে, সম্মেলনের পর নতুন যে আওয়ামী লীগকে আমরা দেখতে পাবো, তার কাছে আসলে দেশের মানুষ কী চায়? এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে দেশের মানুষকে কতটা দেওয়া সম্ভব? এইসব প্রশ্নগুলো আসলে এই মুহূর্তে তোলাটা খুব জরুরি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, জাতীয় চার নেতার আওয়ামী লীগ, দেশের বিশাল জনসংখ্যার আওয়ামী লীগ- এর ব্যাপ্তি আসলে বিশাল এবং জনসংখ্যার কারণেই বিশ্বের যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তুলনায় আওয়ামী লীগের সমর্থকগোষ্ঠী বেশি বৈ কম হবে না। এমনকি ভারতের মতো বিশাল জনসংখ্যার দেশেও রাজনৈতিক দলগুলো এখন আর সর্বভারতীয় পর্যায়ে বৃহৎ হিসেবে টিকে থাকতে পারছে না, প্রাদেশিক ছোট দলগুলো সাবেক বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থকদের নিজেদের দলে টেনে নিয়েছে। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সৌভাগ্যবান যে, তাদের সমর্থকগোষ্ঠী যে কোনও দেশের তুলনায়ই ঈর্ষনীয়। আর আওয়ামী লীগ যে কোনও বিচারেই আরও বেশি ভাগ্যবান যে, দলটি একটি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং তারপর দেশটির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও অন্য যে কোনও রাজনৈতিক দলের তুলনায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকাটি রাখতে সক্ষম হয়েছে, এরকম সুযোগ পৃথিবীর বিখ্যাত সব রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আসলে স্বপ্নের মতোই। আমরা তাই যুক্তরাজ্যের লেবার দল, যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাট দল, ভারতের কংগ্রেস কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা টানতে পারি।

স্বাভাবিক ভাবেই এরকম একটি বিশাল ও বিস্তৃত রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি দেশের মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষার পরিধিও হয় ব্যাপক ও বিস্তৃত। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই বিস্তৃতি আরও বেশি এ কারণে যে, বাংলাদেশে আর যতগুলো রাজনৈতিক দল রয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই হয় রয়েছে সামরিক ছাউনিতে জন্মের ইতিহাস কিংবা রয়েছে অত্যন্ত সংকীর্ণ রাজনৈতিক চেতনা (যেমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলসমূহ) কিংবা দেশের মানুষের মনস্তত্ত্ব না বুঝে রাজনীতি করার ফলে ক্রমশ দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতা যেমন বামপন্থী রাজনৈতিক দলসমূহ। কিন্তু কেউ যদি নিরপেক্ষ ভাবেও লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল যার অতীত ও বর্তমান আসলে উল্লেখযোগ্য অর্জনে পরিপূর্ণ। সমালোচনা থাকতেই পারে এবং থাকাটাও স্বাভাবিক কিন্তু শুধুমাত্র বিরোধিতার কারণে বিরোধিতা কিংবা গায়ের জোরে একটি রাজনৈতিক দলের কৃতিত্বকে অস্বীকার করার প্রবণতা আমাদের রয়েছে। নাহলে আওয়ামী লীগ প্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচারীগণ মূলত তার বিরোধিতা করেন কোনও সঙ্গত কারণে নয়, কেবলমাত্র বিরোধিতার জন্যই। সমালোচনা এক জিনিস আর কারও প্রতি ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত ভাবে অসূয়াপ্রবণ হওয়াটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, এই মুহূর্তে কেবল দক্ষিণ এশিয়ায় নয়, সারা পৃথিবীতেই যতো রাজনীতিবিদ রয়েছেন তাদের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাফল্যকে যদি বিবেচনায় নিয়ে আসা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনাকে প্রথম দিকেই স্থান দিতে হবে। কাউকে ছোট বা বড় করে নয়, বরং খোলা মন নিয়ে গবেষকের দৃষ্টিতেও যদি কেউ দেখেন তাহলে শেখ হাসিনার অর্জনকে কোনওভাবেই ফেলে দিতে পারবেন না। বরং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বাকি সকল রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছেন। একটা পার্থক্য খুব দৃষ্টিকটু হয়ে ধরা পড়ে এদেশে, তাহলো শেখ হাসিনা-বিরোধিতা, এজন্য যদি নর্দমায়ও নামতে হয় তাতেও আপত্তি নেই অনেকের। অথচ বাংলাদেশের অর্জনকে বুঝতে হলে শেখ হাসিনাকে বাদ দেওয়া যাবে না, তা যে কোনও বিচারেই হোক না কেন। মজার ব্যাপার হলো, নিজেরা উদার, নারীবাদী ইত্যাকার যতশত জার্গন আছে সেগুলোর দাবিদার হয়েও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার বেলায় এসে সব কাপড়-খোলা নাংগা-বাবা হয়ে যান, থলে থেকে তখন শুধু বেড়াল নয় বিষাক্ত সব সাপখোপ বেরিয়ে আসতে শুরু করে। দুর্ভাগ্য যে শেখ হাসিনা এদেশে জন্মেছেন, পশ্চিমে জন্মালে তাকে বুঝবার বা জানবার প্রক্রিয়াটি নিঃন্দেহে ভিন্ন হত, অন্তত এই কুৎসিত অসূয়ার শিকার তাকে হতে হত না।

বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেক, দল হিসেবে আওয়ামী লীগও নিজেদের আধুনিক দাবি করে, সর্বোপরি জনগণ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতৃত্ব হিসেবেই আওয়ামী লীগ তার ইমেজ ধরে রাখতে চায়। সবচেয়ে বড় কথা হলো অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবেও এখনও পর্যন্ত আওয়ামী লীগকেই মানুষ ভাবে কিংবা মনে করে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, আওয়ামী লীগের শাসনকালেই দেশে ঘটে চলেছে ব্যাপক হারে সংখ্যালঘু নির্যাতন এবং রাষ্ট্র যেন একটি নির্দিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসীদের ওপর এমনই খাপ্পা হয়েছে যে, তাদেরকে এদেশ থেকে নিঃশ্চিহ্ন করা না পর্যন্ত কোনও শান্তি নেই। প্রশ্ন হলো, যে মানুষগুলো দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা স্থাপন করে তারা আসলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? ২০০১ সালে যখন দেশব্যাপী ভয়ঙ্কর হিন্দু-নির্যাতন শুরু হয়েছিল তখন দুর্বল বিরোধী দলে থেকেও আওয়ামী লীগ যে ভাবে হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এখন সরকারে থেকেও সেটা করতে পারছে না বা করছে না। এর কারণ হিসেবে আওয়ামী লীগ হয়তো অনেক কথাই বলতে পারে কিন্তু কোনও কথাই এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য হবে না, যতক্ষণ না দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এই নির্যাতিত ও ক্রমশঃ ক্ষুদ্র হতে থাকা জনগোষ্ঠীর পাশে সত্যিকার অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাদেরকে জানে-মানে রক্ষা করে। একই কথা প্রযোজ্য দেশের উদার চিন্তার মানুষের ক্ষেত্রেও। দেশব্যাপী যখন একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে বাংলাদেশকে এক ভয়ঙ্কর উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে তখন একটি শক্তিশালী ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে যে ভূমিকা মানুষ আশা করেছিল তার ছিঁটেফোঁটাও পায়নি কেউ। অথচ, সাধারণ মানুষের ভেতর জরিপ চালিয়ে দেখা যেতে পারে যে, মানুষ আসলে আওয়ামী লীগের কাছে সত্যিকার অর্থে কী ভূমিকা চায়, তাতে আমি নিশ্চিত যে, মানুষ চায় আওয়ামী লীগ একটি উদার ও গণতান্ত্রিক ভূমিকা রাখবে, যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যেন মানুষের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে এদেশে।

যে কোনও রাষ্ট্রেই প্রধান প্রধান রাজনৈতিক ধারাগুলোর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় হয় মূলত দলগুলোর কর্মসূচি, বিশ্বাস ও আচরণবিধি থেকে। যেমন যুক্তরাজ্যে লেবার দল ও কনজারভেটিভ দলের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো লেবার দল দেশের শ্রমিক/ইমিগ্র্যান্ট শ্রেণির পক্ষে কাজ করে আর কনজারভেটিভ দল মূলত দেশটির এলিট শ্রেণিটির মুখপাত্র। যদিও ইদানিং এই ধারণা আর সর্বৈবভাবে সত্য নয় কোনও দলের জন্যই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে অন্য দলগুলো থেকে আলাদা করতে হলে প্রথমেই আমাদের সামনে জ্বলজ্বল করে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি। এই দলটি কেবল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া নয়, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আল-বদররের ফাঁসি নিশ্চিত করে নিজেদেরকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। এখন কোনও ভাবেই দলটির এমন কিছু করা উচিত হবে না যা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে কোনও নির্দিষ্ট কিছু আছে কিনা? আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, যা কিছু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে তাই-ই আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-বিরোধী, অন্যকথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সেটাই যা বাংলাদেশের জন্য ও বাঙালির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে। আর যে বা যারাই এই চেতনা থেকে সামান্য বিচ্যুত হবে তারাই আসলে বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না - খুব সরল এই সমীকরণ। আর সে বিচারে আওয়ামী লীগের কাছে মানুষ এটাই দাবি করে যে, যে বিশ্বাস, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম নিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল দলটি সেই একই বিশ্বাস, দৃঢ়তা ও দেশপ্রেম নিয়ে যদি দলটি এখনও কাজ করে যায় তাহলেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে আর চিন্তার কিছু নেই। কারণ আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মূল দোষ হলো তারা দেশের স্বাধীনতা-বিরোধী ও মূলত সামরিক ছাউনিজাত, ফলে দেশের মানুষ তাদের কাছে মৌলিক কোনও পরিবর্তন আসলে আশা করে বলে প্রমাণ মেলে না। বরং ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাদের নিজেদের সমর্থকগোষ্ঠীও কখনও কখনও ড্রয়িং রুম আলোচনায় হতাশা প্রকাশ করে থাকে। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের মূল শক্তিটি এখানেই, দেশের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাটুকুর মূল্য যদি দলটি দিতে পারে তাহলে ক্রমশ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিও বিলীন হয়ে যাবে এদেশ থেকে।

মোটকথা দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী দেখতে চায়। তারা চায় না আওয়ামী লীগ কোনও দুর্নীতিতে জড়াক, চায় না কোনও সন্ত্রাসে নেতৃত্ব দিক, চায় না সাধারণ মানুষের জমি দখল করুক, চায় না দেশের নারী সমাজ কোনও ভাবে তাদের দ্বারা লাঞ্ছিত নির্যাতিত হোক, চায় না আওয়ামী লীগের দ্বারা রাষ্ট্রের কোনও ক্ষতি হোক। চাওয়া হিসেবে হয়তো আওয়ামী লীগের কাছে এই লিস্ট দীর্ঘ মনে হতে পারে কিন্তু এসব আসলে সাধারণ মানুষের সাধারণ চাওয়া। নতুন এই সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে কিংবা দলের ভেতর যে পরিবর্তনই আসুক না কেন, মানুষের এসব চাওয়া কিন্তু বদলাবে না। সত্যিকথা বলতে কী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ নিজেই মানুষের মনে এই বিশাল আশার পাহাড় নির্মাণ করেছে, এখন মানুষ চাইলেও আর এই আশাবাদ নিয়ে অন্য কারও কাছে যেতে পারে না।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সফলতা কামনা করছি, নির্বিঘ্ন হোক সম্মেলন এবং সেই সঙ্গে জয় হোক মানুষের আশাবাদের এবং আওয়ামী লীগ দল হিসেবে এসবের মূল্য দিক, পূরণ করুক এসব সামান্য ও ন্যায্য গণআশা।

লেখক: কলামিস্ট

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনরুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ