X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

কওমি শিক্ষা ও সনদ

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:২৮আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০১৬, ১৩:৩৮

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী কওমি মাদ্রাসাগুলো কখনও সরকারের অনুদানের ওপর নির্ভরশীল ছিল না। সরকারি সনদেরও তারা কখনও তোয়াক্কা করেননি। এ সব কারণে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণও কখনও ছিল না। মূলত ইংরেজ সরকারকে চ্যালেঞ্জ করেই কওমি মাদ্রাসাগুলোর তাদের যাত্রার সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ শাসন কায়েম হওয়ার আগে শুধু বাংলাদেশেই ৮০ হাজার মাদ্রাসা ছিল। সরকারের দেওয়া লাকেরাজ সম্পত্তির আয় দিয়ে মাদ্রাসাগুলো চলত। ব্রিটিশ রাজ প্রতিষ্ঠার পর লাকেরাজ সম্পত্তি এবং ওয়াকফ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ফেলে। ফলে আর্থিক অনটনে মাদ্রাসাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
ব্রিটিশের পূর্বে শিক্ষার কাঠামোই ছিল মাদ্রাসা ভিত্তিক। সরকারি ভাষা ছিল ফার্সি। মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষাও দেওয়া হতো ফার্সি ভাষায়। হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায় ফার্সি ভাষা রপ্ত করতো। রাজা রামমোহন রায় আরবি ও ফার্সি ভাষার সুপণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি উভয় ভাষায় পুস্তকও রচনা করেছিলেন। ইংরেজদের সময়ও কিছুদিন ফার্সি ভাষা দাফতরিক ভাষা হিসাবে চালু ছিল। কিন্তু যেহেতু ইংরেজেরা ফার্সি ভাষা জানতেন না তাই তারা এ ভাষা বেশিদিন দাফতরিক ভাষা হিসাবে অব্যাহত রাখেননি। ফার্সির পরিবর্তে  ইংরেজিকেই দাফতরিক ভাষা হিসাবে চালু করেছিলেন তারা।
ইংরেজরা ভারতের শাসন ক্ষমতা নিয়েছিল মুসলমানদের হাত থেকে। তাই মুসলমানেরা সহজে ইংরেজ শাসন মেনে নিতে পারেননি। তখনকার সমাজে মুসলমানদের শিক্ষিত শ্রেণি ছিলেন আলেমরা। তারাই বিভিন্নভাবে ইংরেজকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ পর্যন্ত আলেমরাই বিভিন্নভাবে বিদ্রোহ করেছিলেন। ফকিরদের বিদ্রোহ, বালাকোটে সৈয়দ আহম্মদ বেরেলভীর যুদ্ধ, হাজী শরিয়তুল্লাহর ফরাজী আন্দোলন, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা- সবই ছিল মুসলমানদের বিদ্রোহী মননের বহিঃপ্রকাশ।
১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল আলেমদের কারণে। দিল্লীর নিকটবর্তী থানাবনে হযরত এমদাদুল্লাহসহ মহাজেরে মক্কী, হযরত কাসেম নানুতুবি, হযরত রসিদ আহম্মদ গাঙ্গুহী, আল্লামা মওলানা আজিমুল্লাহ্ খান, নানা সাহেব, মওলানা জাফর আহম্মদ থানেশ্বরী, মওলানা ইয়াহহিয়া আলী, অযোধ্যায় বেগম হযরত মহল ও মওলানা আমানুল্লাহ্, মওলানা ফজলে হক খয়রাবাদী- এদেরই কারণে সিপাহী বিদ্রোহ মহা বিদ্রোহের রূপ নিয়েছিল। তারাই মুঘলের শেষ সম্রাট জাফর শাহ বাহাদুরকে ভারত সম্রাট ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারা ব্রিটিশের হাতে পরাজিত হয়ে ছিলেন।
ব্রিটিশরা সে সময় ৫০ হাজার আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। দাফন কাফনের কাজ চলানোও তখন মুশকিল হয়ে পড়েছিল আলেমের অভাবে। এমন পরিস্থিতিতে আত্মগোপনে থাকা আলেমরা অস্ত্রের পথ পরিহার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। আত্মগোপন থেকে বের হয়ে আসার পর মওলানা কাসেম নানুতুবি প্রথম মাদ্রাসা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং মওলানা জুলফিকার আলী, মওলানা এয়াকুব, নানুতুবি, মওলানা ফজলুর রহমান, মওলানা রফিউদ্দীন এবং হাজী আবেদ হোসেনকে নিয়ে ১৮৬৬ সালে দেওবন্দে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠাতারা বিশেষ করে কাসেম নানুতুবি ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় আলেম। সুতরাং ব্রিটিশ সরকারের কোনও সাহায্য-সহানুভূতির তোয়াক্কা না করে তারা বেসরকারিভাবে মাদ্রাসা পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের বদান্যতায় মূলত: মাদ্রাসা পরিচালিত হত। দেওবন্দ মাদ্রাসা থেকে কওমি মাদ্রাসার মূলত গোড়াপত্তন। বাংলাদেশে দেওবন্দের ছাত্ররাই ১৯০৫ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ মাদ্রাসাই এখন বাংলাদেশে কওমি লাইনের প্রধান মাদ্রাসা।
আমার বাড়িও হাটহাজারী এলাকায়। হাটহাজারী এলাকাটা ছিল শিয়া আদর্শের প্রভাবিত এলাকা। মহরমে তাজিয়া নিয়ে রণবাধ্য বাজিয়ে মিছিল করার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল। মিছিলকারীরা এ মাদ্রাসাটাকে ওহাবী অনুসারী বলে আখ্যায়িত করত এবং বহুবার আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমার মামা মরহুম লাল মিঞা চৌধুরী ছিলেন প্রতিপত্তিশালী লোক। তিনি তার দুই বন্ধু খাজা আলী চৌধুরী ও আব্দুল হক দোভাষকে নিয়ে তা প্রতিরোধ করতেন। আমরা আমাদের স্কুল ছুটির দিনে আমার মামার অনুপ্রেরণায় এ মাদ্রাসার জন্য মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে মুষ্টি চাউল তুলে আনতাম। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মুষ্টি চাল তোলার রেওয়াজ ছিল। পরে মধ্যপ্রাচ্যের তেলের টাকা যখন আসা শুরু হলো তখন থেকে মুষ্টি চাল তোলার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৭০ সালের আগ পর্যন্ত খুবই কষ্ট করে মাদ্রাসা পরিচালনা করতে হতো। দুই হাজার আবাসিক ছাত্রের জন্য ২৮ কেজি মশুর দিয়ে ডাল পাক করতো। একদিন ছাত্ররা মাদ্রাসার মোহতাসিম সাহেবকে নাকি জিজ্ঞেস করেছিল, হাটহাজারী মাদ্রাসার ডালের পানি দিয়ে ওজু করা জায়েজ হবে কিনা। সেদিন থেকে মোতাসীম সাহেব বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরে মশুরের পরিমাণ নাকি ৫৬ কেজি করে দিয়েছিলেন।
১৮৬৬ সাল থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুসারীরা যত কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন কেউই সরকারি অনুকুল্য গ্রহণ করেননি আর সরকারি সনদেরও তোয়াক্কা করেননি। এটা ছিল মূল প্রতিষ্ঠাতাদের ইংরেজ বিদ্বেষের ফল। তারা ইংরেজি শিক্ষাকেও ঘৃণা করতেন। আলীগড় এ্যাংলো অরিয়েন্টাল কলেজ পরবর্তীতে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহম্মদ দেহলভীকে তাদের অনুসারীরা দিল্লীর রাজপথে অপদস্ত করেছিলেন। তারা ইংরেজি শিক্ষাকে হারাম বলেও ঘোষণা করেছিলেন। ইংরেজি হারাম হওয়ার ঘোষণাটি বিচিত্র ছিল। কারণ এলেম কখনও হারাম হতে পারে না। হযরত মহাম্মদ (স.) এলেমের সন্ধ্যানে প্রয়োজনে সুদূর চীনে যেতেও উৎসাহ প্রদান করেছেন।
ব্রিটিশেরা কলকাতায় ১৮০০ সালে আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠারও ১৭ বছর আগে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন ইংরেজ। সম্ভবতো মুসলমানদেরকে আধুনিক শিক্ষার দিকে টেনে আনার উদ্দেশ্যে ইংরেজরা এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। কারণ মুসলিম আলেম সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী প্রবণতা ছিলো বেশি। আলীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার একটা ক্যারিকুলাম ছিল। এটাকে বলা হতো আলিয়া নেছাব। আলিয়া মাদ্রাসার ৬৬ বছর পর যখন দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয় তখন তারাও একটা শিক্ষার ক্যারিকুলাম স্থির করেছিলেন। আর এটাকে বলা হয় কওমি নেছাব।
আলিয়া মাদ্রাসাগুলো সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে এবং সনদও সরকারি সনদ। চাকরি পেতেও তাদের কোনও অসুবিধা হয় না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারও তাদের সুযোগ রয়েছে। সুতরাং আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক হতে কোনওখানে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে না। প্রতিভা থাকলে তারাও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু কওমি নেছাবে তা কখনও সম্ভব হচ্ছে না। কওমি মাদ্রাসাগুলো এখন তাদের সনদের স্বীকৃতি চাচ্ছে। কিন্তু তারা সরকার প্রদত্ত কোনও ক্যারিকুলামও মানবেন না। আর সরকারি কোনও নিয়ন্ত্রণও মানবেন না। এ নিয়ে সরকার তার কওমি মাদ্রাসাগুলোর মাঝে বিরোধ চলছে।
রসুল্লাহ্ সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াচ্ছাল্লামের জামানা থেকে বহুদিন পর্যন্ত ইসলামিক শিক্ষা ছিল মসজিদ ভিত্তিক। বিষয় ছিল হাদিস ও কোরআন। কিন্তু আব্বাসীয় খলিফা মামুনের সময় বাগদাদে জ্ঞান অন্বেষার বাজার বসে। গ্রিকের দর্শন আরবিতে অনুবাদ হয় এমনকি ভারতের বেদ-বেদান্তও আরবিতে অনুদিত হয়েছিল। ইসলামিক দর্শন, গ্রিক দর্শন, ভারতীয় দর্শন এর তুলনামূলক আলোচনার সময় ইসলামের কালাম শাস্ত্রের উদ্ভব হয়। যুগ জিজ্ঞাসাকে কেহ নাকচ করতে পারে না।
কওমি মাদ্রাসাতে এখন শুধু হাদিস কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয় না আরও বহু বিষয় তাদের ক্যারিকুলামের অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। আলেমরা অসুস্থ হলে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাবেন তারা ডাক্তার হবেন না কেন? তারা হজ করতে প্লেনে চড়ে মক্কা-মদিনা যাবেন তারা প্লেন বানাতে জানবেন না, কেন? সুতরাং শিক্ষার পরিধি বাড়াতে হবে। হাদিস কোরআনও শিখতে হবে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারও হতে হবে। আমি দিল্লির মিল্লিয়া নগরে গিয়েছিলাম সেখানে জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মরহুম ড. জাকির হোসেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ শান্তি নিকেতনের চেয়েও সুন্দর। ছাত্র সব মুসলমান। পূর্বে শিক্ষকও নাকি মুসলমান ছিলেন কিন্তু অনেক শিক্ষক পাকিস্তান চলে যাওয়ায় এখন বিজ্ঞান বিভাগে কিছু কিছু শিক্ষক ভিন্ন ধর্মের লোকও আছেন।
জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বীনের শিক্ষাও দেওয়া হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম ছিলেন দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রথম ছাত্র হযরত মাহামুদুল হাসান দেওবন্দী। ব্রিটিশের রাউলাট লাইনের বিরুদ্ধে তিনি রেশমে রুমাল আন্দোলন করেছিলেন। তিনি যখন মাল্টা জেলে তখন তার কর্মীদের কাছে একটা সাদা রেশমী রুমালের ওপর দিক-নির্দেশনা লিখে জেল থেকে গোপনে পাঠিয়ে ছিলেন। এ জন্য এ আন্দোলনকে ইতিহাস রেশমে রুমাল আন্দোলন বলে। এ আন্দোলনটা ছিল রাউলাট আইনের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন। মওলানা মাহামুদুল হাসান দেওবন্দীকে ব্রিটিশ সরকার বহু বছর মাল্টায় বন্দী করে রেখেছিলেন। তার ওপর ব্রিটিশেরা জেলে এতো কঠোর নির্যাতন চালিয়ে ছিল যে তার পেছন দিকে কোমরের নিচে কোনও মাংস ছিল না। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোরনে কওমি আলেমদেরও বহু অবদান রয়েছে।
শিক্ষার ক্যারিকুলাম সম্পর্কে কওমি মাদ্রাসা একটা বিপ্লবী সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিৎ। মওলানা আবুল কালাম আজাদ যখন ভারতের শিক্ষামন্ত্রী তখন তিনি লোকসভার সদস্য মওলানা হোসেন আহাম্মদ মাদানী এবং মওলানা হযরত মোহানীকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা বিন্যাসের তাগিদ দিয়েছিলেন। তারাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কওমি শিক্ষার তারা একটা বিপ্লবী পরিবর্তন আনবেন। আমার মনে নেই কোথায় পড়েছি সম্ভবতো মওলানা মাদিনীর আত্মজীবনী ‘নকশে হায়াত’- এ বিষয়ে আলোচনা রয়েছে। মওলানা আবুল কালাম আজাদই দিল্লির জামিয়া মিল্লিয়াকে সরকারি আয়ত্বে এনে বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এখন সরকার ও কওমি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাও সরকারি সনদ প্রদানও নিয়ন্ত্রণ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য একটা কমিশন গঠন করা উচিৎ। প্রয়োজনে কমিশন দিল্লী সফর করে জামিয়া মিল্লিয়ার সঙ্গে কওমি নেছাবের পুন-বিন্যাস সম্পর্কে আলোচনা করবে। তবে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুন-বিন্যাস করে আধুনিকরণ করা নেহাতই প্রয়োজন। এ কথার উপর কওমি মাদ্রাসার আলেমদের দ্বিমত করা কখনও উচিৎ হবে না।
কওমি মাদ্রাসার প্রধানকে আগে বলা হতো মোহতামীম। এখন তারা আর সে প্রাচীন শব্দটা ব্যবহার করেন না। এখন তারা নবীন একটা শব্দ ‘মহা পরিচালক’ ব্যবহার করেন। যে প্রয়োজনে তারা মহা পরিচালক হয়েছেন ঠিক সে প্রয়োজনে তারা আধুনিক শিক্ষাও তাদের ক্যারিকুলামের অন্তর্ভূক্ত করবেন। এতে হাদীস কোরান শিক্ষার কোনও অঙ্গহানি হবে না নিশ্চয়ই। যুগ জিজ্ঞাসাকে অস্বীকার করলে কওমি শিক্ষা পিছিয়ে পড়বে।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক
[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
ইউএনআরডব্লিউএ-তে ফের অর্থায়নের পরিকল্পনা জাপানের
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
লিবিয়ায় জিম্মি চট্টগ্রামের ৪ যুবক, পাঠানো হচ্ছে নির্যাতনের ভিডিও
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
ধারণার চেয়ে কম সেনা প্রয়োজন ইউক্রেনের: সিরস্কি
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ