X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘পুষিয়ে দেওয়া’ নীতি, রামু থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া

গোলাম মোর্তোজা
০২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:০৮আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১৫:১২

গোলাম মোর্তোজা দৃশ্যপট এক:
কয়েকদিন আগে তার একটি ঘর ছিল। ঘরে খুব সাধারণ কিছু আসবাবপত্র ছিল। মেলামাইনের প্লেট, সিলভারের পাতিল...। এখন ঘর নেই। কুপিয়ে ঘরের টিনগুলো ঝাঁঝরা করে ফেলা হয়েছে। প্লেট, পাতিল কিছুই অবশিষ্ট নেই। মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন রাস্তায় পরিবার পরিজন নিয়ে। মাথার ওপর আশ্রয় নেই, পকেটে অর্থ নেই।
দৃশ্যপট দুই:
কয়েকটি ঘর নিয়ে একটি স্বচ্ছল পরিবার। ঘরগুলো কুপিয়ে, ভেঙে-চুরে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। ঘরের ভেতরের প্রায় সবকিছুই ভাঙচুর করা হয়েছে। টাকা-পয়সা-স্বর্ণ... লুটপাট করে নিয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে যাদের সব ছিল, এখন তাদের প্রায় কিছুই নেই। না, কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে নয়, বন্য পশুর আক্রমণেও নয়- কিছু মানুষরূপী প্রাণী এই কর্ম করেছে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লিখছি। লেখাটি পড়ে কারও হৃদয় বেদানসিক্ত হবে, আবার কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশ্ন করবেন ‘মসজিদ বা ইসলামকে অসম্মান করার সময় তো কিছু লেখেন না’। এদেরও নাম মানুষ, দেখতে হুবহু মানুষের মতো।
বাবরি মসজিদ যারা ভাঙে, গরুর মাংস খাওয়ার জন্যে যারা মানুষ পিটিয়ে হত্যা করে, মহানবী (স.)- কে যারা অসম্মান করে, তাদেরকে ঘৃণা করি- মানুষের মতো মনে করি, মানুষ মনে করি না। যা সবসময় বলি এবং লিখি। যারা অভিযোগ করেন ‘লেখেন না’ তারা আসলে মানসিকভাবে অন্ধ। মানসিক অন্ধদের থেকে দূরে থাকতে চাই। বাংলাদেশে ধর্মীয় পরিচয়ে আমরা যারা সংখ্যায় বেশি, তাদের কারও দ্বারা সংখ্যায় কম এমন কোনও জনগোষ্ঠী যখন আক্রান্ত হন, তখন লেখা এবং পাশে দাঁড়ানোর তাগিদটা বেশি অনুভব করি। কারণ তাদের দেখে রাখার দায়িত্ব আমাদের। ইসলাম ধর্মও তাই বলে।
দৃশ্যপট এক ও দুই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডব প্রসঙ্গে আসি।

১. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনাটি চার বছর আগের রামুর ঘটনার হুবহু ফটোকপি। রামুতে আক্রমণের আগে একজনের ফেসবুকে ধর্মীয় অসম্মানজনক পোস্টের অভিযোগ এনে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ফেসবুকের একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে মাইকিং করে লোক জড়ো করে বৌদ্ধদের বাড়ি-মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে জানা গিয়েছিল যার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে পোস্ট দিয়ে উত্তেজনা তৈরি করা হয়েছিল,  তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল না। পরিকল্পিতভাবে তার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় এখনও প্রমাণ হয়নি যে, ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি রসরাজের নয়। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানা যাচ্ছে, রসরাজ প্রায় নিরক্ষর যুবক। প্রাথমিক শিক্ষাও শেষ করেনি। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে এবং সেই ফেসবুক থেকে এমন পোস্ট দিয়েছিলেন, নিশ্চিত বিশ্বাস করা একটু কষ্টকর। তদন্তে প্রকৃত চিত্র নিশ্চয়ই জানা যাবে। তবে বলে রাখা ভালো যে, গ্রামেগঞ্জের খুব সাধারণ, শিক্ষা যাদের রসরাজের মতো তাদেরও অনেকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। এবং তারা ফেসবুকের ভয়াবহতা বা নিরাপত্তা বিষয়ে কোনও জ্ঞান রাখেন না। অ্যাকাউন্ট কেউ একজন খুলে দেয় এবং পাসওয়ার্ড শুধু যার অ্যাকাউন্ট তার কাছেই থাকে না।

এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটেছে সঠিক তদন্তে তা জানা যাওয়ার কথা। ঘটনার একদিন পর রসরাজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ভূমিকা এক্ষেত্রে সমর্থন করি। যদিও কালো আইনের ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করাটা সমর্থন করি না। প্রচলিত আইনেই তাকে গ্রেফতার করা যেত, এবং তাই করা উচিত ছিল। যেহেতু তার ফেসবুককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, সেহেতু তাকে গ্রেফতার করা সঠিক সিদ্ধান্ত।

রামুর আক্রমণ সংঘটিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টির সমন্বয়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আক্রমণ হয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দু’টি গ্রুপের দু’টি পৃথক সমাবেশ থেকে। একটি গ্রুপের সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। চাপরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সুরুজ আলী মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন।

অভিযোগ আছে তিনি উত্তেজনাকর বক্তব্য দিয়েছেন। সুরুজ আলী বলেছেন, তিনি উত্তেজনাকর বক্তব্য দেননি। শুধু রসরাজের ফাঁসি চেয়েছেন বক্তৃতায়। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য না মিথ্যা তা জানার আগেই মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়ে ‘ফাঁসি’ চাওয়া উত্তেজনাকর বক্তব্য নয়!

২. এলাকায় উত্তেজনা ছিল। একটির নামের আগে ‘খাঁটি’ শব্দ দিয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত দুই ভাগ হয়েছে। তারা উত্তেজনাকর পরিবেশে প্রশাসনের কাছে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। স্থানীয় ইউএনও অনুমতি কেন দেওয়া হলো, প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, সমাবেশ করলে উত্তেজনা কমতে পারে, এই বিবেচনায় অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সমাবেশকারীরা কথা দিয়েছিল শান্তি বজায় রাখা হবে, কোনও অঘটন ঘটবে না। ‘সমাবেশ করলে উত্তেজনা কমতে পারে’ এই বিবেচনার প্রতি সম্মান রাখলেও, কিছু গুরুতর অভিযোগ সামনে আসে।

ক. সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। হিন্দুদের মন্দির বা বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

খ. প্রতিমা-মন্দির-বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে পুলিশের প্রতিরোধ দৃশ্যমান ছিল না। বিজিবিকেও ডাকার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

গ. সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল দু’টি সংগঠন। নিশ্চয়ই সংগঠনের পক্ষে ‘ব্যক্তি’ আবেদন করেছিল। তারা ‘অজ্ঞাতনামা’ হতে পারে না। কিন্তু মামলা হয়েছে ‘অজ্ঞাতনামা’ এক হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে।

ঘ. আক্রমণ হয়েছে দু’টি সমাবেশ থেকে। সংগঠন দু’টির নেতারা সবাই পরিচিত, ‘অজ্ঞাতনামা’ নয়।

ঙ. দু’টি সংগঠনের মধ্যে একটি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের অঙ্গ-সংগঠন। হেফাজতের সঙ্গে প্রকাশ্য এবং গোপনে সরকারের ভালো সম্পর্ক।

চ. এত বড় তাণ্ডব চলার পরও, প্রথমাবস্থায় ঘটনা চাপা দিতে চেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এসপি স্বীকারই করতে চাননি যে, ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে আক্রমণ হয়েছে।

জ. ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ জন মন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী সাইদুল হক। উত্তেজনা চলাকালীন থেকে তাণ্ডবের ৩ দিন পরে পর্যন্ত তারা এলাকায় যাননি। ঘটনাস্থল নাসিরনগর মন্ত্রী সাইদুল হকের নির্বাচনি এলাকা।

ঝ. নাসিরনগর উপজেলায় ১৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৭৫ জন মেম্বার, ১ জন উপজেলা চেয়ারম্যান, ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান, অনেক চৌকিদার, আক্রমণ প্রতিরোধে কারও কোনও ভূমিকা দৃশ্যমান ছিল না।

ঞ. ফকিরাপুল বা যাত্রাবাড়িতে গাড়ি পোড়ানো মামলার হুকুমের আসামী হন মির্জা ফখরুল বা খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা যে সমাবেশে যোগ দিয়ে ফাঁসি দাবি করেন এবং সেই সমাবেশ থেকে আক্রমণ হয় হিন্দুদের মন্দির- বাড়িতে, এক্ষেত্রে হুকুমের আসামী কার বা কাদের হওয়ার কথা?
৩. ঘটনার তিন দিন পর আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তার প্রেক্ষিতে করা সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ‘... আমরা তাদের ক্ষতির পরিমাণ জেনে তা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

কথাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটাই মূল কথা। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র হিন্দু-বৌদ্ধ বা পাহাড়িদের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিষয়টি দেখে ‘ক্ষতি পুষিয়ে’ দেওয়ার নীতিতে। রামুতে ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে নতুন মন্দির বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ‘ক্ষতি পুষিয়ে’ দেওয়া হয়েছে। ‘ঐতিহ্য’ আবার কী? ৪০০ বছরের পুরানো জিনিসের জায়গায় নতুন ঝকঝকে মন্দির বানিয়ে দিয়েছি, আবার কথা কিসের!

যখন যারা বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেন, এটা তাদের নীতি। এই নীতি অনুযায়ী নাসিরনগরের মন্দির-বাড়িগুলো তৈরি করে ‘ক্ষতি পুষিয়ে’ দেওয়া হবে। প্রতিমাগুলো তাদের কাছে শুধুই ‘মাটির মূর্তি’! তা তৈরি করার জন্যে টাকা দেওয়া হবে। যশোরের অভয়নগরে বা পাবনার সাথিয়াতে ঠিক একই কাজ করা হয়েছে।

একজন ধর্মবিশ্বাসী হিন্দুর কাছে, তা যে ‘মাটির মূর্তি’ নয়, প্রাণসম্পন্ন প্রতিমা-দেবতা, নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন প্রতিমা-দেবতাকে, নিজের ওপর আঘাতের চেয়ে অনেকগুণ বেশি আঘাত পান, প্রতিমার ওপর আঘাত আসলে, আমাদের রাষ্ট্র পরিচালকরা তা কোনও দিন অনুধাবন করার চেষ্টাই করেন না।

হিন্দু-বৌদ্ধ বা পাহাড়িদের যে ‘মন আছে’ ‘হৃদয় আছে’- রাষ্ট্র তা বিবেচনায় নেয় না। ‘মন-হৃদয়ে’ আঘাত লাগতে পারে, সেই আঘাত যে অর্থ দিয়ে দূর করা যায় না- তা বোঝার মতো বোধই আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনকারীদের থাকে না। তারা সবকিছু বিবেচনা করেন ‘অর্থ এবং ক্ষমতা’র মাপকাঠিতে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হলেও যেহেতু তার নির্বাচনি এলাকায় নয়, এ কারণে আইনমন্ত্রী সেখানে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকা হলেও, তিনি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। এখন এমপি হওয়ার জন্যে ভোটার বা এলাকার মানুষের প্রয়োজন নেই। তার না যাওয়ার পেছনে এটাই হয়তো বড় কারণ। আর একটি কারণ হতে পারে, তিনি হয়তো হিন্দুদের ‘মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে’র মতোও গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না। সুতরাং তারা থাকল-বাঁচল
না মরল, তাতে কী যায় আসে!

৪. আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ বা পাহাড়িদের ওপর, তাদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের ওপর আক্রমণের কোনও সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। বিচার হয়নি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ‘পুষিয়ে দেওয়া’ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কিছুই করা হয়নি। অধিকাংশ জায়গায় আক্রমণের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টি অর্থাৎ সব রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ থাকে। কোনও কোনও জায়গায় যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের একক অংশগ্রহণে আক্রমণ-নির্যাতন হয়।

যেমন পূর্ণিয়াদের নিপীড়ন করেছিল বিএনপি-জামায়াত ২০০১-এর নির্বাচনের পর। এই সরকারের সময় অভয়নগর, সাথিয়াসহ অনেক জায়গায় আক্রমণ হয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারা। রামুতে প্রশাসনের সহায়তায় সবাই মিলে, পার্বত্য চট্টগ্রামেও প্রশাসনের সহায়তায় সবাই মিলেই আক্রমণ করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইতিমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। মন্ত্রী, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নিষ্ক্রিয়তা দৃশ্যমান। প্রশানের নির্বিকারতত্ত্ব গোপন থাকছে না। সরকারি তদন্তে প্রকাশ হবে কিনা জানি না, তবে গোপন থাকবে না যে কারা নিষ্ক্রিয় ছিল, কারা আক্রমণে উৎসাহ যুগিয়েছে, আর কারা আক্রমণ করেছে।
তদন্তের আগেই বলছি এবং প্রত্যাশা রাখছি বলাটা মিথ্যা প্রমাণ হোক। রামুর ক্ষেত্রে যেমন অপরাধীদের শাস্তির দিকে দৃষ্টি না দিয়ে মন্দির-বাড়ি বানিয়ে, অর্থ দিয়ে ‘পুষিয়ে দেওয়া’ হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটতে যাচ্ছে।

৫. আক্রমণকারীরা ‘নরকে যাবে, হুর পরীও পাবে না’। কেন বলছেন, কার উদ্দেশে বলছেন? তারা স্বর্গে গেল না নরকে গেল, হুর পরী ৭০ টি না ৭০ হাজারটি পেল কী না পেল, তাতে আক্রান্তদের কী যায় আসে? ‘আক্রমণকারীরা নরকে যাবে’ বুঝলাম, তো সহায়তাকারীরা কোথায় যাবে? আক্রমণ যাদের ঠেকানোর দায়িত্ব ছিল, অথচ ঠেকায়নি- তারা কোথায় যাবে?  

নির্যাতন - নিপীড়ন করে নরকে যাবে, যারা নিপীড়িতদের নিয়ে 'পুষিয়ে দেওয়ার'র রাজনীতি করে সুবিধা নিবে কিন্তু অপরাধীদের শাস্তি দিবে না- তারা কোথায় যাবে?

ক্ষমতা তুমি অর্থ বোঝো, দখল বোঝো, দমন বোঝো! মন বোঝো না, হৃদয় বোঝো না!! মানুষ বোঝো না!!!

লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা ৫ টন কফি পাউডার জব্দ
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ কিশোর সংশোধনাগারে
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
পাঞ্জাবের আশুতোষের ঝড়ও যথেষ্ট হলো না, মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ