X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘জীবনটাই একটা বিপ্লব’

ড. রাহমান নাসির উদ্দিন
২৯ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৪০আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ১২:৫২

রাহমান নাসির উদ্দিন A revolution is a struggle to the death between the future and the past--- ফিদেল কাস্ত্রো
যে সময়ে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক মনোজগত গড়ে ওঠে এবং রাজনৈতিক দর্শন নির্মিত হয়, সে সময়ের সেরা নায়কেরা নিজের অজান্তেই মানুষের মনের ভেতর গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। এছাড়া সাম্যবাদের দর্শনের দীক্ষিত মানুষ মাত্রেই শ্রেণি-শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি পুঁজিবাদী বিশ্ব ও মার্কিন/পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী একটা র‌্যাডিকাল মনস্তত্ত্বও তৈরি করেন। ফলে, মার্ক্স-লেলিনের পাশাপাশি চে গুয়েভারা ও ফিদেল কাস্ত্রো আমাদের প্রজন্মের অনেকের কাছে কেবল সময়ের দু’জন বিপ্লবী নায়কই ছিলেন না, তারা ছিলেন সাম্যবাদী সমাজব্যবস্থার ধারক, শ্রেণিশত্রুর বিরুদ্ধে নিত্য যুদ্ধরত আকণ্ঠ বিপ্লবী। একইসঙ্গে মার্কিন ও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আপসহীন ব্যক্তিত্ব। ফিদেল কাস্ত্রোর প্রয়াণকে কেন্দ্র করে বারবার এ কথাগুলো মনে পড়ছে। যখন নব্বই দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম, আমার পড়ার টেবিলের সামনের দেয়ালে সাঁটানো ছিল ‘চে আর কাস্ত্রো’র একটা যুগল ছবি, যা আমাকে সাম্যবাদের দীক্ষা দিত, শ্রমজীবী মানুষের প্রতি মমত্ববোধ জাগাতো, শ্রেণিবৈষম্যহীন একটি সমাজের স্বপ্ন দেখাতো আর একা একা ভালো থাকার চেয়ে সম্মিলিতভাবে সুখে থাকার দর্শন শেখাতো। তাই, কাস্ত্রো কেবল একজন ব্যক্তি নন, একটি দর্শনের নাম; একটি চেতনার নাম; একটি বিপ্লবের নাম। কেননা কাস্ত্রোর কাছেই তো শেখা বিপ্লবই জীবন কেননা ‘জীবনটাই আসলে একটা বিপ্লব’।
দুই.
১৯১৭ সালের অক্টোবর বিপ্লবের পর থেকে রাজনৈতিক মতাদর্শের ফ্রেইমওয়ার্কে পৃথিবী দু’টি ভিন্ন বলয়ে বিভক্ত হয়ে যায়। সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব বনাম পুঁজিবাদী বিশ্ব। তখন সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী এক বিশাল সমাজতান্ত্রিক বলয় তৈরি হয়। এ সমাজতান্ত্রিক বলয় পৃথিবীর নিপীড়িত এবং শোষিত মানুষের মুক্তি দিশারীতে রূপান্তরিত হয়। শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ-ব্যবস্থার রাজনৈতিক দর্শনকে সামনে রেখে অন্যদের মতো ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোও এগিয়ে যায়। কিন্তু ১৯৫৯ পর্যন্ত বাতিস্তার নেতৃত্বে কিউবায় সামরিক শাসন জারি থাকে। ১৯৫৩ সালে এ সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়ে সামরিক শাসনকে বিদায় করতে গিয়ে ফিদেল কাস্ত্রো ব্যর্থ হন। কিন্তু ১৯৫৬ সাল থেকে আর্জেন্টাইন বন্ধু চে’কে সঙ্গে নিয়ে কাস্ত্রো সিয়েরা মায়াস্ত্রো পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে ছোট ছোট গেরিলা যুদ্ধ করে ক্রমান্বয়ে বাতিস্তাকে একসময় পরাস্ত করতে সক্ষম হন। ১৯৫৯ সালের জানুয়ারির এক তারিখ বাতিস্তা ডোমিনিক প্রজাতন্ত্রে পালিয়ে গেলে জানুয়ারি ৮ তারিখ কিউবাজুড়ে বিজয় শোভাযাত্রা নিয়ে কাস্ত্রো হাভানায় প্রবেশ করেন।  কিউবার সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কামান্ডার হিসেবে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার শুরু করে কিউবাকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রের নতুন পরিচয়ে, নতুন মহিমায় এবং নতুন দর্শনে পরিচিত করান। ১৯৫৯ সালের ফেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ কাস্ত্রো কিউবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৭৬ সালে নবগঠিত ন্যাশনাল এসেম্বলির অনুমোদনে কাস্ত্রো কিউবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে ২০০৬ সালের জুলাইয়ের ৩১ তারিখ ছোট ভাই রাউল কাস্ত্রোকে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত তিনি কিউবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৪৭ বছরের কিউবার (প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপ্রতি হিসাবে) দায়িত্ব পালনকালে, কাস্ত্রো আমেরিকাসহ সাম্রাজ্যবাদী ও ধনবাদী বিশ্বের নানান ষড়যন্ত্র, অসহযোগিতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক চক্রান্ত, হত্যাচেষ্টা, ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টা এবং মিডিয়ার নানান ফেব্রিকেটেড উপস্থাপনা তার দৃঢ়চেতা মানসিকতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত ব্যক্তিত্ব এবং সাম্যবাদী দর্শনের সুদৃঢ় মনোবল দিয়ে মোকাবিলা করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। তাই, তিনি কিউবার হয়েও বিশ্বের নেতা হয়ে ওঠেন। বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের বিপ্লবী নেতা হয়ে উঠেন। তিনি ব্যক্তি হয়েও সামষ্টিকতার শিরোনাম হয়ে ওঠেন। পুঁজিবাদের বেপরোয়া বিকাশ এবং বেয়াড়া সম্প্রসারণের যুগেই সমাজতন্ত্রের দর্শনের মূর্ত নজির হয়ে ওঠেন। নব্বই দশকে সৌভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর যখন সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব গভীর সংকটের মধ্যে পড়ে। তখনও কাস্ত্রো অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সফলতার সঙ্গে কিউবাকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রের গৌরবান্বিত করেন। তিনি শুধু মুখে বলেই খালাস করে দেননি, তিনি ২০০২ সালের জুনের ২৬ তারিখ ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে আইন পাস করে সংবিধান সংশোধন করে কিউবায় সমাজতন্ত্রকে স্থায়ী বলে ঘোষণা দেন। এভাবেই তিনি যা বিশ্বাস করতেন,  সেটাকে কাজে পরিণত করতেন। তিনি যে দর্শন ধারণ করতেন, তাকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। তাই, এলেম ও আমলের চমৎকার মেলবন্ধনের এক উজ্জ্বল নজির ফিদেল কাস্ত্রো।

তিন.

ফিদেল কাস্ত্রোকে নিয়ে যেমন হাজারও প্রশংসা রচনা করা যায়, তেমনি তাকে নিয়ে সমালোচকদেরও কলম থেমে নেই। আর পশ্চিমা প্রচারমাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তা বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্র করেছে। কারণ মিডিয়ার কাজই হচ্ছে, প্রয়োজনমতো কাউকে ‘হিরো’ আবার কাউকে  ‘ভিলেন’ বানানোর।  বিষয়টিকে অ্যাডওয়ার্ড হ্যারমান ও নোয়াম চমস্কি শব্দায়ন করেছেন ‘ম্যানুফেকাচারিং দ্য কনসেন্ট’ (দেখুন, Edward S. Herman and Noam Chomsky, Manufacturing Consent: The Political Economy of the Mass Media,1988,১৯৮৮)।  গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি জনমতকে কীভাবে উৎপাদন করে, নির্মাণ করে বা বিনির্মাণ করে তা পশ্চিমা মিডিয়া কর্তৃক ফিদেল কাস্ত্রোকে উপস্থাপনার ভেতর দিয়ে সহজেই অনুমান করা যায়। আদতে, হিরো আর ভিলেন উৎপাদনের যে দায়িত্বটা ‘সেল্যুলয়েড ইন্ডাস্ট্রি’ ঐতিহাসিকভাবে পালন করতো, সেটাই অত্যন্ত সুকৌশলে এখন মিডিয়া গ্রহণ করেছে। তাই মিডিয়া হচ্ছে ‘হিরো’ ও ‘ভিলেন’ বানানোর কারখানা। আর পশ্চিমা ‘মিডিয়া মোঘল’দের একচেটিয়া আধিপত্যে থাকা মিডিয়া কাস্ত্রোকে একজন একনায়ক, স্বৈরশাসক ও অগণতান্ত্রিক হিসেবেই বিশ্বব্যাপী ‘সেল’ বা বাজারজাত করার চেষ্টা করেছে। মিডিয়ার এই বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া কোনও কোনও ক্ষেত্রে স্বার্থকও হয়েছে। ফলে, কাস্ত্রোর বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ বাজারে চালু আছে। যেমন: তিনি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না; বাক-স্বাধীনতা কিউবাতে ছিল না বললেই চলে; মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছু ছিল না; খাদ্যের স্বল্পতা ঘুছিয়ে তিনি দেশে খাদ্য সংকট মেটাতে পারেননি; দেশের মানুষের চাহিদার চেয়ে নিজের চাওয়াকেই গুরুত্ব দিয়েছেন; তিনি এবং তার পরিবারের মধ্যে সমস্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন ইত্যাদি। এসব সমালোচনা কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রপাগান্ডা হিসেবে বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্র করেছে পশ্চিমা মিডিয়া। কিন্তু এসবের অনেক কিছুরই জন্য খোদ আমেরিকা ও জাতিসংঘ দায়ী (নানান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্য দিয়ে) সে আলোচনা মিডিয়ার রাজনৈতিক অর্থনীতির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। কাস্ত্রোকে ভিলেন বানানোর সব প্রচেষ্টার পরও কাস্ত্রো ছিলেন আমাদের কালের নায়ক। কাস্ত্রো আমার মতো বিশ্বব্যাপী শত-কোটি মানুষের নায়ক। যিনি কালের বেদীতে জন্ম নিয়েও বাস করেছেন কালান্তরে। যিনি একটি নির্দিষ্ট দেশে জন্ম নিয়েও তিনি ছিলেন দেশান্তরের। তিনি সমকালের ক্যালেন্ডারে জন্ম নিয়েও বিরাজ করেন কালান্তরে।   

চার.

‘ফিদেল কাস্ত্রো পরলোক গমন করেছেন’—এ খবর প্রচার হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে বাংলাদেশেও একটা তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে; তবে সেটা বেশ ইতিবাচক। আমরা ‘প্রতিক্রিয়া’ শব্দটিকে ‘ক্রিয়া’র বিপরীতে বসিয়ে একটি নেতিবাচকতা দিয়েছি কিন্তু কাস্ত্রোর কেন্দ্র প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই পজিটিভ। কেননা, একথা অস্বীকার করার কিছু নেই যে, এদেশের অনেক তরুণের স্বপ্নের বিপ্লবীর নাম ফিদেল কাস্ত্রো।  যারা সমাজের বিদ্যমান ব্যবস্থায় অসন্তুষ্ট, রাজনীতিবিদদের নোংরা রাজনীতির খেলায় অতিষ্ট, বুদ্ধিজীবীদের দলবাজিতে বিরক্ত, সুশীলদের ভাঁড়ামিতে ত্যক্ত এবং সমাজের সর্বত্র দুর্নীতির ভয়াবহ বিস্তারে আশাহত, তারা একটি নতুন সমাজ নির্মাণের স্বপ্নে যেসব নায়ককে অনুসরণ এবং অনুকরণ করার চিন্তা করেন, তাদের মধ্যে কাস্ত্রো অন্যতম। তবে, গত কয়েক দশকের তিলে তিলে বেড়ে ওঠা সমাজের সুবিধাবাদী চতুর মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিজেদের জাতের বজ্জাত রূপ ঢাকার জন্য কাস্ত্রোর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে নব্য-বিপ্লবী দেখানোপনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এসব নিয়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছি, ‘একটা কুৎসিত টাইপের বিপ্লবী ফুটানি’ ফেসবুকে গতকাল থেকে ভাইরাল হয়ে গেছে। আমৃত্যু আপসহীন ও একজন জাত-বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুর সংবাদ আমাদের অনেককে হঠাৎ বিরাট বিপ্লবী বানিয়ে দিয়েছে। আগাগোড়া বুর্জোয়া দর্শনে জীবন-যাপন করি, স্ট্যাবলিস্টম্যান্টের দোসর হিসেবে হালুয়া রুটির ভাগ-বাটোয়া খাই, সমাজের শ্রমজীবী মানুষকে জায়গামত ‘ছোট লোক’ বলে গালি দেই, সাম্যবাদ্যকে ‘ডেথ’ বলে বুদ্ধিজীবিতা করি, আর লুটেরা মনোবৃত্তি নিয়ে চতুর সুশীল সাজি। অথচ কাস্ত্রোর মৃত্যুতে হাহাকারের দেখানোপনা করি। ফেসবুকের দেয়ালে ‘বিপ্লবী স্ট্যাটাস’ দিয়ে নিজের স্ট্যাটাসকে জাতে তুলি, কিন্তু কাজে, চিন্তায় ও দর্শনে কাস্ত্রোর বিপ্রতীপ আদর্শের কসরত করি। এটা একটা স্রেফ ‘বিপ্লবী ফুটানি’। ফুটানি মারা আমাদের জাতীয় চরিত্রের অংশ। সুতরাং কাস্ত্রোই বাদ যাবেন কেন! বুকে চে’র চিকা মেরে মডার্ন টি-শার্ট পরে বহুজাতিক কোম্পানির কোকাকোলা মুখে পুরে পোজ দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা যেখানে আমাদের নিত্য ফ্যাশন-সচেতনতাকে প্রতিভাত করে, সেখানে কাস্ত্রোর মৃত্যুতে বিপ্লবী স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেকে অতি-বিপ্লবী প্রমাণের প্রচেষ্টা খুব বেশি দোষের নয়। কেননা আত্মপ্রতারণা শহুরে শিক্ষিত নাগরিক মধ্যবিত্ত হওয়ার অন্যতম গুণ। কাস্ত্রোয় আর দোষ কী!

পাঁচ.

পরিশেষে বলব, কাস্ত্রোরা মারা যান না। সবচেয়ে ভালো হয়, ‘কাস্ত্রো দেহত্যাগ করেছেন’ বললে। কেননা দেহটাকে ত্যাগ করেছেন কাস্ত্রো কিন্তু তিনি আছেন এবং থাকবেন। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী কাস্ত্রোকে প্রায় ৬৩৮ বার বিভিন্ন দেশি-বিদেশি চক্র নানানভাবে হত্যার  চেষ্টা করেছে কিন্তু সব ষড়যন্ত্র বিফলে গেছে। বারবার মৃত্যু তার কাছে পরাজিত হয়েছে। পরাজিত হয়েছে শত্রুর বিনাশি প্রচেষ্টা। কারণ কাস্ত্রোরা মরেন না। কাস্ত্রোরা বেঁচে থাকেন স্বপ্নে, দর্শনে, আদর্শে ও অনুশীলনে। একটি জাত-পাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শ্রেণিশোষণহীন সবার সমমর্যাদা, সমতার এবং সহাবস্থানের একটি সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার স্বপ্নের মধ্যেই কাস্ত্রোরা বেঁচে থাকেন। লাল সালাম কমরেড।

লেখক: নৃবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
‘উন্নয়ন পক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’
‘উন্নয়ন পক্রিয়ায় বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে’
২৬ বছরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করলেন মামুনুল
২৬ বছরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করলেন মামুনুল
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে বক্তারাবাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ