X
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ উইনস ফ্রিডম

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী
১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৪৭আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৫১

 

বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী পরিপূর্ণ বাংলা নিয়ে বাংলাদেশ হয়নি। বাংলার পশ্চিম অংশ ভারতের অন্তর্ভূক্ত রয়ে গেছে। আমরা পূর্ব অংশের লোকেরাই বাংলাদেশ গঠন করেছি। অথচ পশ্চিম বাংলার মানুষেরা কখনও আমাদেরকে বাঙালি বলে স্বীকার করেননি। তারা বলতো, তারা বাঙালি আমরা মুসলমান। প্রকৃতির কি রসিকতা- আমরা বাঙালি হলাম, বাংলাদেশ গঠন করলাম, বিশ্বের দরবারে বাংলা ভাষাও সাহিত্যের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করলাম আর যারা খাঁটি বাঙালিত্বের দাবিদার তারা হিন্দুস্তানি হলেন।
বৃটিশ রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর বাংলার হিন্দু সমাজের মাঝে একটা জাগরণ এসেছিলো। এটাকে তারা রেনেসাঁ বলে অবহিত করেছেন। রেনেসাঁ হউক বা না হোক শিক্ষায় দীক্ষায় ধনধৌলতে বিরাট একটা গ্রুপ  বৃটিশের অনুগ্রহ পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। রাজা রাম মোহন রায়। বিদ্যাসাগর মহাশয়, ভুদেব মুখপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ মুখপাধ্যায়, রাজ নারায়ন বসু, বস্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রিন্স দারকানাথ ঠাকুর, লক্ষ্ণীকান্ত বড়াল, সনাতন শীল কানাই লাল বড়াল, রামমোহন পাল, রামসুন্দর পাইন, দত্ত রাম দত্ত প্রমুখ ছিলেন বাঙালি সমাজের বিদ্যায়, শিক্ষায়, ধনে জনে শিরমণি। তারা সবাই বৃটিশের প্রভূত অনুগ্রহ পেয়েছিলেন।
প্রিন্স দারকানাথ ঠাকুরের এত অর্থ বিত্ত ছিলো যে বৃটিশ যখন রেল ব্যবস্থা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন তখন দারকানাথ ঠাকুরের দারস্থ হয়েছিলেন। প্রথম রেল ব্যবস্থা পত্তনের এক তৃতীয়াংশ টাকা সরবরাহ করেছিলেন প্রিন্স দারকানাথ ঠাকুর। অথচ তার পিতা বাগের হাট থেকে জোড়াসাঁকোর গিয়েছিলেন জেলে পল্লীর ঠাকুর হিসেবে। ময়ুরভঞ্জের মহারাজ প্রথম ৩২০ মাইল যে রেললাইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো তার সব স্লিপার বিনা পয়সায় সরবরাহ করেছিলেন। অবশ্য দারকানাথের অর্থ সরবরাহ ছিলো বিনিয়োগ।
বৃটিশ রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুসলমানেরা বৃটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ব্যস্ত ছিলেন। ১৭৬৩ সালের ফকির বিদ্রোহ, ১৯৬৭ সালে ত্রিপুরায় শমশের গাজীর বিদ্রোহ, ১৭৬৯ সালে সন্দ্বীপে কৃষক বিদ্রোহ, ১৭৮৩ সালে রংপুরের নুরুদ্দীনে বিদ্রোহ, ১৭৭৫ সালে করমশাহার বিদ্রোহ, ১৮১৯ সালে পুনরায় সন্দ্বীপে কৃষক বিদ্রোহ, ১৮৩১ সালে তিতুমীরের বিদ্রোহ, ১৮৩৮ সালে ফরিদপুরে ফরাজীদের অভূত্থান, ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব ১৮৫৭ সালে চট্টগ্রামে হাবিলদার রজব আলীর বিদ্রোহ।
১৮৭১ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাহ নামক এক মুসলমান যুবক কলকাতার রাজপথে প্রধান বিচারপতি জাস্টিস নর্মানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ১৮৭২ সালে ৫ই ফেব্রুয়ারি বড়লাট লর্ড মেয়োকে আন্দামান কারাগার ভিজিট করতে গেলে শের আলী খাঁন নামে এক মুসলমান তাকে কুড়ালের আঘাতে হত্যা করে।
এসব কারণে রাজানুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয়ে এবং রাজশক্তির রোষানলে পড়ে মুসলমানের অবস্থা খুবই করুণরূপ ধারণ করে। হান্টার সাহেব তার ‘ইন্ডিয়ান মুসলমান’ নামক গ্রন্থে লিখেছেন পূর্বে যে মুসলমান গরীব হওয়া কঠিন ছিলো এখন অস্তিত্ব রক্ষাই তার পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে।

এ লেখায় উপরে আমি যেসব শিরমণির নাম উল্লেখ করেছি সম্মিলিত জাতি সত্ত্বার কথা তারা কল্পানও করেননি। যে কারণে সম্মিলিত বাংলার উত্থান সম্ভব হয়নি। কলকাতা ভিত্তিক বুদ্ধিজীবীদের চিন্তা চেতনা আচরণ ইহকাল পরকাল সব কিছুতে জড়িয়ে ছিলো ধর্ম।

শরৎচন্দ্র বসু, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাসেম ভারত বিভক্তির সময় যখন সম্মিলিত বাংলার স্বাধীনতার কথা চিন্তা করছিলেন তখন শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী ঘোষণা করেছিলেন- ভারত ভাগ হউক বা না হউক বাংলা ভাগ করতেই হবে। এটা শ্যামা প্রসাদ মুখার্জীর একার চিন্তা ছিলো না। এটা ছিলো তার সমগ্র সম্প্রদায়ের সেন্টিমেন্ট। যে কারণে বাংলা ১৯৪৭ সালে বিভক্ত হলো।

বাংলা যখন বিভক্ত হচ্ছিল তখন অভিবক্ত বাংলার শেষ প্রিমিয়ার ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ইতিহাসের এ আরেক রসিকতা যে তখন স্বাধীন বাংলার স্থপতি শেখ মুজিব তারই ক্রোড়ে শিক্ষা প্রশিক্ষণ সবই গ্রহণ করছিলেন।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর বিপিসি রিপোর্ট এবং রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করার প্রশ্নে জিন্নাহর ঘোষণার পর পরই বাঙালিরা বুঝেছিলেন যে পাকিস্তানীদের সাথে বাঙালিদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে থাকা সম্ভব হবে না। ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। গত শতাব্দী থেকে বিশ্বের দেশে দেশে জাতীয়তাবাদই ছিলো প্রধান শক্তি। সে প্রধান শক্তিকে অবলম্বন করেই আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রা।

মাওলানা ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিব ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫২ সালে শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন কারণ তখন শামসুল হক মস্তিস্ক বিকৃতিতে ভুগছিলেন। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত মাওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মাওলানা কখনও বামপন্থীদের চক্র থেকে নিজেকে নিষক্রান্ত করতে পারেননি তাই কাগমারী সম্মেলনের পর ১৯৫৭ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বামপন্থী সমবিহারে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করেছিলেন।

এটা ছিলো আওয়ামী লীগের জন্য রাহু মুক্তির মতো কারণ বামপন্থীরা আওয়ামী লীগ এক থাকলে আওয়ামী লীগের পক্ষে স্বাধীনতার পথে চলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হতো না। কারণ স্বাধীনতা আগে না ভাত-কাপড় আগে এমন তাত্ত্বিক আলোচনা ও বিরোধে বামপন্থীরা ১৫ বছর কেটে ফেলতেন।

অনেক দুর্ভাগ্যও মাঝে মাঝে সৌভাগ্যরূপে দেখা দেয়। হোসেন শহীদ সোহারাওয়ার্দীর মৃত্যুও বাঙালির জন্য অনুরূপ একটা ঘটনা। ১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু না হলে শেখ মুজিবের পক্ষে আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব ছিলো না। কারণ আইয়ুব বিরোধী সংগ্রামে সোহরাওয়ার্দী সম্মিলিত প্রয়াস হিসাবে এনডিএফ গঠন করেছিলেন। এ প্রক্রিয়া থেকে সোহরাওয়ার্দী জীবিত থাকলে শেষ মুজিব আওয়ামী লীগকে বের করে আনতে পারতেন না। কারণ সোহরাওয়ার্দীকে অমান্য করা শেখ মুজিবের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। কারণ তার ক্রোড়েই তার জন্ম, তার বড় হওয়া।

সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর ৪৩ দিন পর শেখ মুজিব এনডিএফ থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করলেন। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ইডেনের কাউন্সিলের ৬ দফা গৃহীত হলো এবং শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। স্বাধীনতার যাত্রা এখান থেকে শুরু। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ছয় দফার মর্ম বুঝলেন আর ঘোষণা করলেন শেখ মুজিব ছয় দফা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পাকিস্তানের অখণ্ডত্বের জন্য অস্ত্রের ভাষায় কথা বলা হবে। শেখ মুজিব বললেন, ছয় দফা বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা। এই ছয় দফা প্রশ্নে কোনও আপোষ নেই। ছয় দফার এক দফা ছিলো পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক মুদ্রার প্রচলন। এক দেশে দুই মুদ্রা চালু হলে কি দেশের অখণ্ডতা থাকে?

পাকিস্তানীরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে শেখ মুজিবকে ফাঁসি দিতে চাইলো। হিতে বিপরীত হলো এ মামলাটা। দেশের মানুষ বিশ্বাস করলেন না বরঞ্চ মামলাটা শেখ মুজিবের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি বয়ে আনলো। আর স্বাধীনতার পথকে যুক্তিসংগত পরিণতির দিকে যাওয়ার সুযোগ করে দিল। বিশৃঙ্খলার মাঝে আইয়ুব খাঁন বিদায় নিলেন। আর জেনারেল ইয়াহিয়া ক্ষমতা গ্রহণ করলেন। তিনি ক্ষমতা নিয়ে শেখ মুজিবের দাবি মোতাবেক এক ইউনিট ভেঙ্গে দিলেন আর সংখ্যানুপাতে সংসদে প্রতিনিধিত্বের দাবিও মেনে নিলেন।

লিগ্যাল ফ্রেইম ওয়ার্কস এর দ্বারা নির্বাচন হল।জনসংখ্যা বেশি থাকার কারণে পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা ছিলো ১৬৪ আর পশ্চিম পাকিস্তানের সংসদে আসন ছিল ১৩৬, আগে যেখানে ছিল প্রত্যেকের ১৫০ করে ৩০০ আসন। আওয়ামী লীগ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ১৬২ আসন পেয়ে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলো। পশ্চিম পাকিস্তানীরা শেখ মুজিবের বিজয় দেখে প্রমাদ গুনলেন এবং ষড়যন্ত্র আরম্ভ করলেন। এ বিষয়টা বুঝতে পেরে শেখ মুজিব রেসকোর্স ময়দানে ৭ই মার্চ ১৯৭১ সাল জনসভা আহ্বান করলেন এবং জনসভায় তিনি এবারের সংগ্রামকে স্বাধীনতার সংগ্রাম বলে ঘোষণা করলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের দিক নির্দেশনা প্রদান করলেন।

১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানীরা বাঙালিদের উপর আক্রমণ চালালো এবং নির্বিচারে বাঙালি হত্যা শুরু করেছিলো। শেখ মুজিব ঐ দিন রাত বারটায় দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করলেন। পাকিস্তানীদের আক্রমণের তীব্রতা ও হত্যাযজ্ঞ এত নির্মম ছিলো যে লোক দলে দলে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নিলো। পাকিস্তানীরা ধানমন্ডির ৩২ নং সড়কের বাসা থেকে মুজিবকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিলো। দীর্ঘ দশ মাস তিনি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালী জেলে ছিলেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা ভারতে একত্রিত হয়ে ১০ই এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন করলেন। আর ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথ তলার আমবাগানে তারা শপথ গ্রহণ করলেন। প্রেসিডেন্ট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব আর ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৈয়দ নজরুল প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহাম্মদ। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। মন্ত্রী পরিষদের সংখ্যা ছিলো ৩ জন মনছুর আলী, খন্দকার মোস্তাক ও কামারুজ্জামান। জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানি ছিলেন প্রধান সেনাপতি।

কোনও বিপ্লবই কখনও ঠিক শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিজস্ব গতিবেগে এগোতে পারেনি, পারবেও না। কিন্তু বাঙালির সৌভাগ্য যে তারা ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো এবং তখন ভারতে ক্ষমতাসীন ছিলেন এক মহিয়ষী মহিলা। শ্রীমতি ইন্দিরার সহায়তা না পেলে বাঙালির ললাটে আরও বহু দুর্ভোগ ছিলো। পশ্চিম বাংলা, আসাম আর ত্রিপুরার লোকেরা সমাদরে বাঙালিদের আশ্রয় দিয়েছিলো। আমরা যখন সীমান্ত অতিক্রম করতাম তখন তারা জয় বাংলার ভাই বলে জড়িয়ে ধরতেন। আমরা মনে দুঃখ পাব এমতো আচরণও তারা কখনও করেননি। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

শেষ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীও যুদ্ধ করেছে পাতিস্তানীদের বিরুদ্ধে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত ১৪ হাজার সেনা হারিয়েছে আর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর মিলিত রক্ত স্রোতের উপর দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তানিরা ৩০ লক্ষ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ সাল বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এসেছিলেন।

বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক!

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং কলাম লেখক

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
রাজধানীর ফুটপাত থেকে অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
রাজধানীর ফুটপাত থেকে অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কানাডার ইতিহাসে বৃহত্তম স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬
কানাডার ইতিহাসে বৃহত্তম স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৬
আইপিএল নিয়ে আফসোস আছে শরিফুলের
আইপিএল নিয়ে আফসোস আছে শরিফুলের
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ