X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুর বয়স, ভুলে ভরা বই এবং বইয়ের ওজন প্রসঙ্গে

রেজানুর রহমান
১০ জানুয়ারি ২০১৭, ১২:১১আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:৩২

রেজানুর রহমান আমার শিশুকালে বাবার কাছে একটা বইয়ের ব্যাগ চেয়েছিলাম। অন্যদের মতো ব্যাগে বই ভরে নিয়ে স্কুলে যাবো। কী আনন্দই না হবে। কিন্তু বাবা আমাকে বইয়ের ব্যাগ কিনে দেননি। কারণ বইয়ের ব্যাগ কেনার মতো সামর্থ্য তার ছিল না। এই নিয়ে আমার অনেক আফসোস ছিল। কিন্তু এখন আর আফসোস হয় না। অনেকে হয়তো বলতে পারেন এই বুড়ো বয়সে আপনি ভাই বইয়ের ব্যাগ নিয়ে কী করবেন? আপনি তো আর স্কুলে যাবেন না? হ্যাঁ, কথা ঠিক। এখনতো আর স্কুলে যাওয়ার বয়স নাই। বয়স থাকলেও আমি আর বাবার কাছে বইয়ের ব্যাগ চাইতাম না। কারণটা নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে? উত্তরটা সহজ। পত্রিকায় পড়লাম ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবার ১৪টি বই পড়তে হবে। ১৪টি বইয়ের ওজন কত? ওরে বাবা। এত বই ব্যাগে বহন করা সম্ভব নয়। কাজেই বইয়ের ব্যাগ বাতিল!
আমি না হয় বইয়ের ব্যাগ বাতিল করলাম। আমার এই ‘বাতিল’ সিদ্ধান্তে কারও কিছু যাবেও না, আসবেও না। কারণ আমি তো আর স্কুলে পড়ি না। কিন্তু যারা এখন স্কুলে পড়ে তাদের অবস্থা কী? এত বই ব্যাগে ভরে স্কুলে নিতে পারবে তো? আর যাদের ব্যাগ নাই তাদের কি হবে? এত ওজনের বই ক্লাসে নিয়ে যাবে কেমন করে?
খোঁজ নিয়ে জেনেছি শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, সরকারিভাবেও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর বই ও পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে যেখানে শিশু-কিশোরেরা ৬টি বই পড়ছে সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এক লাফে ৮টি বই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১৩টি বিষয়ে ১৪টি বই পড়তে হবে। বইগুলো হলো- চারুপাঠ, বাংলা ব্যাকরণ, আনন্দ পাঠ, ইংলিশ ফর টুডে, ইংলিশ গ্রামার অ্যান্ড কম্পোজিশন, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, কর্ম ও জীবনমুখি শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং চারু ও কারুকলা।

ওরে বাবা। এত বই। কল্পনা করুনতো ওজন কত হবে? একজন কিশোরের পক্ষে এত বই ক্লাসে বয়ে নিয়ে যাওয়া কি সম্ভব? তাছাড়া এত বই সে পড়বে কখন? একজন শিক্ষার্থী একশ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে ওঠার পর তার বয়স বাড়ে ১ বছর। সেই অনুপাতে তার ক্লাসের বইও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু ৫ম শ্রেণিতে যার পাঠ্য বই ছিল ৬টি, ষষ্ঠ শ্রেণি অর্থাৎ ১ বছরের মাথায় তার পাঠ্য বইয়ের সংখ্যা ১৪-তে দাঁড়ায় কোন যুক্তিতে?

একথা বোধকরি সকলেই জানেন শিশু-কিশোরেরা অহেতুক চাপ সহ্য করতে পারে না। তারা চায় সহজবোধ্য সহজ কিছু। সেখানে থাকতে হবে আনন্দের উৎস। সে জন্য উন্নত দেশসমূহে শিশু-কিশোরদেরকে কী লেখাপড়া, কী খেলাধুলা অথবা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ মেধা বিকাশের সকল ক্ষেত্রে চাপমুক্ত রাখা হয়। বয়স বিবেচনায় ক্লাসের পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়।

অথচ আমাদের দেশে হচ্ছে তার উল্টোটা। শিক্ষার্থীর বয়স ও মানসিক ধারণ ক্ষমতার কথা বিবেচনায় না নিয়ে পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করা হচ্ছে। বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সেই বইয়ে আবার ভুলের সংখ্যা অসংখ্য। শিশু-কিশোরদের হাতে আমরা ভুলে ভরা পাঠ্যবই তুলে দিচ্ছি। কী ভয়াবহ ব্যাপার। বোধকরি সকলেই একমত হবেন ছাপানো বাক্য অর্থাৎ শব্দের বানানকেই সত্য বলে ধরে নেয় কোমলমতি শিশু-কিশোরেরা। আর তাদের কাছে বেদবাক্য মনে হয় ক্লাসের শিক্ষক-শিক্ষিকার মুখের কথা। আমার এক আত্মীয়ের ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ‘একাডেমি’ বানান নিয়ে তার সঙ্গে তর্ক শুরু হয়েছে। বাবা যতই বলে একাডেমি বানানে এখন আর ‘ী’ ব্যবহার করা হয় না। ‘ি’ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ছেলে কিছুতেই তা মানতে রাজি নয়। তার একটাই কথা টিচার বলেছে  ‘ী’। কাজেই একাডেমি বানানো ‘ী’ ই হবে। তার মানে ছাপা বাক্য আর শিক্ষক-শিক্ষিকার মুখের কথাকেই বিশ্বাস করে শিশু-কিশোরেরা। অথচ এবার তাদের পাঠ্য বইয়ে ভুল বানান আর ভুল বাক্যের ছড়াছড়ি।

প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ের শুরুতেই ভয়াবহ এক শব্দ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের শিশুকালে আমরা পড়েছি অ’তে অজগর ওই আসছে তেড়ে। আর এখন শিশুদের পড়ানো হবে অ’তে অজ। এই ‘অজ’ এর মানে কী? ডিকশনারি ঘেঁটে পাওয়া গেলো অজ মানে ছাগল। বইয়ের শুরুতেই লেখা হয়েছে ছাগল গাছে উঠে আম খায়। কী অবিশ্বাস্য বর্ণনা। একেতো বইয়ের শুরুটা ছাগল দিয়ে। উপরন্তু ছাগল গাছে ওঠে আম খায় এটা কি স্বাভাবিক ঘটনা? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? একই বইয়ে ‘ও’ এর জায়গায় ছাপা হয়েছে ও’তে ওড়না। আমার একটি ওড়না চাই। কী এক বিব্রতকর বাক্য। শিশু শ্রেণির একটি বইয়ে ওড়নার কথা থাকবে কেন? শিশু বয়সে কি ওড়নার প্রয়োজন আছে? মেয়ে শিশুটির না হয় ওড়নার প্রয়োজন আছে। ছেলে শিশুটি ওড়না দিয়ে কী করবে? তাছাড়া ‘ওড়না’ শব্দটির মধ্যেই একটা বিভাজন রেখার ছবি ফুটে ওঠে। কোমলমতি শিশুদের মাঝে এই বিভাজন সৃষ্টি করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

শিশুদের পাঠ্য বইয়ে দেশপ্রেমের বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। অথচ এ ব্যাপারে এক ধরনের উদাসীনতা লক্ষণীয়। একটি বইয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুরু করা হয়েছে এভাবে- সে এক বিশাল ঘটনা...

কী এক ভয়ঙ্কর বর্ণনা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ কি বিশাল ঘটনা ছিল? অনেকে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালকে ‘গন্ডগোলে’র বছর বলেও আখ্যা দেন। তারা যেমন ভুল বলেন তেমনি শিশুদের পাঠ্য বইয়ের বর্ণনাতেও মারাত্মক ভুল রয়েছে। শিশুরা মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প এভাবেই জানবে ভাবতে গেলে অস্থির লাগছে।

শিশুদের পাঠ্যবইয়ে শব্দের বানান ও বাক্য বিন্যাসে সতর্কতা জরুরি। অথচ এবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। দ্বিতীয় শ্রেণির একটি বইয়ে আ ন ম বজলুর রশীদের একটি কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতার একটি লাইনে চাষী শব্দটিকে ‘চাষি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কবিতার বাক্যটিতে আছে ‘চাষি’ ভাই করে চাষ... সেখানে ছাপা হয়েছে ‘চাষা’ ভাই করে চাষ। শিশুদের বইয়ে চাষিকে চাষা বলা হলো কেন? এর স্বপক্ষে বোর্ডের বক্তব্য আশা করি। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মূল শেকড়। মহান একুশের পথ ধরেই পরবর্তীতে এসেছে স্বাধীনতা। একুশের শহীদের বীরত্বগাঁথা আমাদের শিশু-কিশোরদের মাঝে সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। অথচ বোর্ডের বইয়ে এ ব্যাপারে এক ধরনের উদাসীনতা লক্ষ্যণীয়। ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বারের পরিচয় দিতে গিয়ে লেখা হয়েছে- ‘তিনি ছিলেন গরিব ঘরের সন্তান! কী এক মূর্খতা বোর্ডের। ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার গরিব ঘরের সন্তান ছিলেন একথা শিশু-কিশোরদের জানানোর উদ্দেশ্য কী? এটাই কী একজন ভাষা শহীদের মূল পরিচয়?’

বোর্ডের আরেকটি বইয়ে বাবা-মায়ের বর্ণনায় বলা হয়েছে- ‘মায়েরা বড় দুর্বল। মা দিনরাত সন্তান লালন পালনে ব্যস্ত থাকেন। বাবার পরিচয়ে সন্তান বেড়ে ওঠে...’ কী ভয়াবহ বর্ণনা। শিশুদেরকে আমরা কী এসবই শেখাব? বোর্ডের বইয়ে ভুল ও তথ্য বিভ্রাট নিয়ে প্রচারমাধ্যম এখন সরব। এ ব্যাপারে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে শুনেছি। সকলে ভুলে ভরা বই নিয়ে বিরূপ সমালোচনায় ব্যস্ত। একটি টেলিভিশনের টকশোতে একজন শিক্ষাবিদ পাঠ্যপুস্তকে ভুলের জন্য যারা দায়ী তাদের একদিনের জন্য হলেও কারাবাসের শাস্তি দাবি করেছেন। জানি না এ ব্যাপারে শেষ পর্যন্ত কী হবে। আমার আশঙ্কা অন্যখানে। ভুলে ভরা বই না হয় সংশোধন করে পড়াবেন শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যত সংখ্যক পাঠ্যবই নির্ধারণ করা আছে তা কি এক বছরে আয়ত্ত করতে পারবে তারা?

আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ষষ্ঠ শ্রেণিতে এক লাফে যে ৮টি বই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সিলেবাস অনুযায়ী তা পুরোপুরি অনেক স্কুলেই কার্যকর করা সম্ভব হবে না। ফলে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বাবা-মায়েরা তাদের সাধ্য অনুযায়ী একাধিক বিষয়ে প্রাইভেট মাস্টারের শরণাপন্ন হবে। আর যাদের প্রাইভেট পড়ার সামর্থ্য নেই তারা হবে হতাশ। যার ফলে সৃষ্টি হবে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য।

শিশু মন কোমল মন। কাজেই শিশুদের কোনও কাজেই চাপ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। বিশেষ করে পড়াশোনার ক্ষেত্রে তাদের জন্য চাপমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা জরুরি। জানি না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কোন যুক্তিতে শিশুদের পাঠ্যক্রমে বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। কোয়ানটিটি নয় কোয়ালিটি হলো আসল। এই কথা মাথায় রেখে বোধকরি শিশু-কিশোরদের পাঠ্যসূচি সাজানো জরুরি।

বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যে দেশের শিশু-কিশোরেরা বছরের প্রথম দিনে সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে নতুন ক্লাসের জন্য নতুন বই পায়। বর্তমান সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। প্রতি বছরের মতো এবারও বছরের প্রথম দিন পহেলা জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে সরকারি উদ্যোগে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সেদিন সারাদেশে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের মাঝে আনন্দ উৎসবের ঢেউ লেগেছিল। কিন্তু কয়েকটি বইয়ে ভুল ধরা পড়ায় সমালোচনায় পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। অন্যথায় ভবিষ্যতেও পাঠ্য বইয়ে ভুল ধরা পড়বে।

লেখাটি শুরু করেছিলাম ‘বইয়ের ব্যাগ’ প্রসঙ্গ দিয়ে। আবারও বইয়ের ব্যাগ প্রসঙ্গ। একটি শিশুকে প্রায়ই দেখি তার শারীরিক উচ্চতার তুলনায় ভারী একটি বইয়ের ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যায়। একদিন রাস্তায় হাঁপাচ্ছিল সে। প্রশ্ন করলাম, কী হয়েছে তোমার?

হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, ব্যাগটা অনেক ভারী। তাই কষ্ট হচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম, প্রতিদিন স্কুলে সব বই পড়ানো হয়। সে বললো, না সব বই পড়ানো হয় না। কিন্তু স্যারেরা সব বই সঙ্গে আনতে বলেন।

আমার এক আত্মীয়ের ছেলে স্কুলে পড়ে। যখনই তার বাসায় যাই দেখি ছেলে প্রাইভেট মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়ছে। আত্মীয়ার কাছে জানতে চাইলাম, ছেলেকে তো দেখি সব সময় পড়াশোনার মধ্যেই আছে। ওর বিশ্রাম নাই?

আত্মীয়া মন খারাপ করে বললেন, ছেলেটার আসলেই কোনও বিশ্রাম নাই। সকালে স্কুলে যায়। দুপুরে ফিরে আসে। খাওয়া দাওয়ার পর প্রাইভেট মাস্টারের কাছে পড়তে বসে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে একাধিক বিষয়ে প্রাইভেট পড়া। সন্ধ্যায় স্কুল থেকে দেওয়া হোমওয়ার্ক করে। তারপর আবার পড়াশোনা। ছেলেটার আসলেই কোনও বিশ্রাম নাই...

তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এতটুকু ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কঠিন চাপ দিচ্ছেন? এটা কি ঠিক হচ্ছে! আত্মীয়ার সহজ সরল স্বীকারোক্তি, চাপ না দিলে ওতো অন্যের থেকে পিছিয়ে যাবে। প্রেস্টিজের ব্যাপার না?

এবার চাপমুক্ত এক শিশুর কথা বলি। ওর কোনও প্রাইভেট মাস্টার নাই। সকালে বই কাঁধে নিয়ে স্কুলে যায়। দুপুরে বই কাঁধে নিয়েই বাসায় ফিরে আসে। স্কুল থেকে প্রতিদিন শিক্ষক একগাদা বাড়ির কাজ দেয়। কিন্তু সে বাড়িতে তা করতে পারে না। কারণ তার কোনও প্রাইভেট মাস্টার নাই। প্রতিদিন স্কুলে যায় শিশুটি। বই কাঁধে নিয়ে তবুও প্রতিদিন হাঁটে আর ভাবে একদিন সে বড় হবে। বইয়ের ওজন কমিয়ে দেবে। ওইতো শিশুটি হেঁটে যাচ্ছে...

লেখক: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, নির্মাতা, সম্পাদক আনন্দ আলো

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
কুকি চিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা: নুর
কুকি চিনকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা: নুর
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ