X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে রাজনৈতিক আন্দোলনের রকমফের

আবদুল মান্নান
০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৪৯আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৫১

আবদুল মান্নান ২৬ মার্চ, ১৯৯২ সাল। সকাল থেকেই পুরো ঢাকা শহরে টান টান উত্তেজনা। এদিন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের আমির, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচার হবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত গণআদালতে। ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের প্রধান সেনাপতি একাত্তরের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। তার সঙ্গে আছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম সুফিয়া কামাল আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি লক্ষ জনতা । পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযম বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার আমলে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন আর ১৯৯১ সনের নির্বাচনে বেগম জিয়া বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে গোলাম আযমকে জামায়াত তাদের আমির নির্বাচিত করে। এর প্রেক্ষাপটে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সারা বাংলাদেশে ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে। গঠিত হয় গণআদালত। ১ মার্চ জাহানারা ইমাম বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে ঘোষণা করেন- ‘গোলাম আযমের বিচার করা আমাদের ফরজ কাজ।’ ৩ মার্চ আর এক জনসভায় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন ‘বাংলার মাটিতে গোলাম আযমসহ একাত্তরের ঘাতক দালালদের বিচার হবেই।’ গঠিত হয় গণআদালত। ১৭ মার্চ গোলাম আযমের বিরুদ্ধে গণআদালতের আনুষ্ঠানিক সমন জারি করা হয় এবং ঘোষণা করা হয় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে গণআদালতে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনিত গণহত্যার অভিযোগের বিচার হবে। ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলন যখন তীব্র হতে তীব্রতর হচ্ছিল তখন ২৪ মার্চ সরকার গোলাম আযমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে নেয়। পরদিন শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনতার রুদ্ররোষ থেকে রক্ষার জন্যেই গোলাম আযমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ ২৬ মার্চ গণআদালতের সমাবেশ ঠেকানোর জন্য বেগম জিয়ার সরকার ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ঘোষণা করে যে কোনও মূল্যে গণআদালত বসবে এবং সেই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে রায় ঘোষণা করা হবে। কিন্তু গণআদালতের রায় শোনার জন্য সমাবেশে মানুষ আসবে কোথা থেকে? উদ্যোক্তাদের একজন বললেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই স্বল্প সময়ের নোটিশে সভা সমাবেশের জন্য মানুষ জড়ো করতে পারে। তাদের নেতা-কর্মীর অভাব নেই। কয়েকজন ছুটলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সব শুনে তিনি জানতে চাইলেন- কত মানুষের প্রয়োজন? হাজার দু’হাজার হবে বললেন একজন। সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা ঢাকা শহর ও তার আশেপাশের নেতাদের খবর পাঠালেন ২৬ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণআদালতের রায় শোনার জন্য সমাবেশে নেতা কর্মীদের জড়ো হতে হবে। নেতারা নেত্রীকে জানিয়ে দিলেন সমাবেশ হবে। তারা সকলে থাকবেন।

২৬ তারিখ ভোরের আগেই পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পুলিশ ঘেরাও করে ফেলে। একই সময় উদ্যানের চারিদিকে হাজার হাজার জনতার সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে। অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। অন্যান্য প্রগতিশীল দলের নেতা কর্মীরাও ছিলেন। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে গণআদালত বসেছিল। ইতোমধ্যে পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ব্যবহারের জন্য আনিত মাইকের সরঞ্জাম জব্দ করে ফেলেছে। কোনও মঞ্চ তৈরি করতেও দেওয়া হয়নি। সকলে চরম উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছে গণআদালতে বিচারকরা কী রায় দেন তা শোনার জন্য। বেলা এগারটা নাগাদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারিদিকে লোকে লোকারণ্য। অপেক্ষা করছেন সকলে কখন আসবেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম রায় শোনাতে? পুলিশের ব্যুহ ভেদ করে পারবেন কি তিনি আসতে? বারোটা নাগাদ একটি খোলা ট্রাকে হাইকোর্ট হতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের পাশ দিয়ে উদ্যানের গেট ভেঙে শহীদ জননী ও তার রাজপথের সাথীরা প্রবেশ করলেন উদ্যানে। সাথে সাথে বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো পিপড়ার মতো মানুষ ঢুকতে লাগলো সোহরাওিয়ার্দীতে। মানুষের জোয়ারের তোড়ে ভেসে গেলো পুলিশের সকল প্রকারের প্রতিরোধ। ট্রাকে দাঁড়িয়ে খালি গলায় শহীদ জননী ঘোষণা করলেন গণআদালত গোলাম আযমকে তার যুদ্ধাপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

ষাটের দশকে শুরু হলো আইয়ূব বিরোধী আন্দোলন। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এই আন্দোলনের প্রথম সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ন্যাপের মওলানা ভাসানী। পল্টনে জনসভা হবে। পুলিশ সভাস্থল কর্ডন করে ফেলেছে। মওলানা নেতা কর্মীদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ জানালো ‘হুজুর হকুম নেই’। কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা। তারপর মওলানা কর্মীদের জানালেন, ‘জালিম শাহী আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাঁধা দিচ্ছে। চলো আমরা সকলে মোনাজাত করে আজকের কর্মসূচি শেষ করি’। পুলিশ সহ সকলে মোনাজাত ধরলেন। মওলানা সভায় যা যা বলতেন মোনাজাতের আড়ালে সব কিছুই বলে গেলেন। পুলিশ সহ সকলে ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনি তুললেন। ঝাড়া আধ ঘণ্টা হতে পঁয়তাল্লিশ মিনিট মোনাজাত চললো। শেষ করলেন এই বলে ‘আল্লাহ জালেম আইয়ুব খানকে  ধ্বংস  করো, দেশের মানুষকে মুক্ত করো।’ দু’এক ফোঁটা চোখের পানিও পড়লো। পুলিশের অনেক সদস্যরাও আবেগতাড়িত হয়ে চোখের পানি ফেললেন। মওলানা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলে মোনাজাত শেষ করলেন। এতক্ষণ পর পুলিশের হুঁশ হলো। কিছু একটা না করলে চাকরি যাবে। শুরু হলো লাঠিচার্জ। কর্মীরা মওলানাকে সরিয়ে নিয়েছে। শুরু হলো মিছিল। মিছিলের স্লোগান ‘পুলিশ তুমি যতই মারো, বেতন তোমার দুইশ বারো’।

১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিব ছয় দফা ঘোষণার পর তিনি জাতীয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। ছয় দফাকে ভিত্তি করে আওয়ামী লীগে বিভক্তি দেখা দেয়। দলের সভাপতি আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ আওয়ামী লীগ হতে পদত্যাগ করেন। কাউন্সিলের মাধ্যমে শেখ মুজিব দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি দেশের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন জনগণের সামনে ছয় দফার মূল বক্তব্যগুলো তুলে ধরতে। সমাবেশ করার উদ্যোগ নিলেই সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করা হতো। তারপরও নেতা কর্মীরা ছুটে আসতেন শেখ মুজিবের কথা শোনার জন্য। সকল বাধা উপেক্ষা করে মুজিব দশ পনের মিনিটের জন্য হলেও সমবেত জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্য রাখতেন। শেষ হলেই গ্রেফতার অবধারিত। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রমনা রেসকোর্সের ঐতিহাসিক জনসভার প্রাক্কালে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুর কাছে বিভিন্ন চ্যানেলে খবর পাঠালেন তিনি যেন কোনও অবস্থাতেই ‘স্বাধীনতা’ শব্দটা উচ্চারণ না করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। ঊনিশ মিনিটের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি ঠিকই সেই অমর কাব্যের শেষ দুটি লাইন বললেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’। শহীদ জননী, মওলানা ভাসানী অথবা জাতির জনকের সাথে নিঃস্বার্থ কর্মী আর জনগণ ছিলেন। এদের কেউই নিজের স্বার্থে রাজনীতি বা কোনও আন্দোলন করেননি। সব সময় জনগণের কথা বলেছেন, জনগণের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখেছেন। শহীদ জননী গণআদালতে গোলাম আযমের বিচার করলে বেগম জিয়ার সরকার তার ও গণআদালতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ২৪ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ঠুকে দিয়েছিল। শহীদ জননী ওই মামলা মাথায় নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সংসদে নেই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে কিছু আসনে বিজয় লাভ করে তারা সংসদে কোনও কার্যকর ভূমিকা রাখার পরিবর্তে প্রায় সময় সংসদকে অচল করার চেষ্টা করেছেন। আসন ভাঙচুর করেছেন। ফাইল ছিঁড়েছেন। মাঝে মধ্যে স্পিকারের দিকে তেড়ে গিয়েছেন। কোনও কোনও মহিলা সংসদ সদস্য অশোভন ভাষা পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়াকে সেনা নিবাসের বাড়ি ছাড়তে বাড়তে বাধ্য করা হলে তার প্রতিবাদে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিএনপি সারা দেশে হরতাল আহ্বান করে যা জনগণ মেনে নেয়নি। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশে মানুষ হত্যার কর্মযজ্ঞ শুরু করে তখন বিএনপি’র একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন ক’জন মানুষ নিহত হলো তা গোনার সময় এখন না। বাচ্চাদের পরীক্ষা বন্ধ হলে একজন বেশ সহজেই বলে ফেললেন- পরীক্ষা পরে হলে ক্ষতি নেই। আগে মানুষ পুড়িয়ে ‘গণতন্ত্র’ রক্ষা করতে হবে। এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন উক্তির কারণ হচ্ছে বিএনপি’র জন্ম যেইভাবে হোক দলটি সঠিক অর্থে কখনও একটি আদর্শ রাজনৈতিক দল হয়ে উঠতে পারেনি। দলের সমর্থকের অভাব নেই কিন্তু দূর্বল নেতৃত্বের। কারণে দলে সুষ্ঠু রাজনৈতিক চর্চা কখনও সম্ভব ছিল না। ব্যক্তি স্বার্থটাই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। একটি দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের স্বার্থে একাধিক সংগঠিত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকাটা খুবই জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ১৯৪৯ সালের পর আওয়ামী লীগ ছাড়া তেমন কোনও রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠেনি। আওয়ামী লীগ কোনও বিপ্লবী রাজনৈতিক দল নয়। এটি একটি মধ্যবাম রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে উঠেছে। শুরু থেকে একাধিকবার রাষ্ট্রের রোষানলে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ সমস্যা কবলিত হয়েছে। কিন্তু আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে আবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১৯৯৬ সনে সরকার গঠন করা অনেকটা অভূতপূর্ব ঘটনা। তা সম্ভব হয়েছে যোগ্য নেতৃত্বের কারণে। বাম দলগুলো তত্ত্ব চর্চায় অনেক বেশি সময় ব্যয় করেছে এবং অতঃপর দুর্বল হতে দুর্বলতর হয়ে কোনও রকমে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারলেও রাজনীতিতে তেমন কোনও অবদান রাখতে পারছে না। বিএনপি নেতৃত্বের অদূরদর্শিতার ও দুর্বলতার কারণে এই মুহূর্তে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দেবে। বর্তমানে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের তোড়জোড় চলছে। সার্চ কমিটির কাছে বিএনপি সহ অন্যান্য দলগুলো নির্বাচন কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের নিজ নিজ পছন্দেও তালিকাও জমা দিয়েছে। বিএনপি’র  তালিকা বা অন্য দলগুলোর দেওয়া তালিকা আদৌ রাষ্ট্রপতি রাখবেন কিনা তা তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। এটি তার সাংবিধানিক অধিকার । সার্চ কমিটির মাধ্যমে কোনও সাংবিধানিক সংস্থা গঠন করার কোনও বাধ্য বাধকতা নেই। নতুন নির্বাচন কমিটি বিএনপি’র পছন্দ না হলে তারা কী আবার পেট্রোল বোমায় ফিরে যাবেন? এমন প্রশ্ন অনেকের। তবে বিএনপি যদি গণতন্ত্রে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে অবদান রাখতে চায় তা হলে তাদের রাজনীতির মৌলিক চিন্তাধারায় ফিরে যেতে হবে। আন্দোলনের ডাক দিয়ে নেতারা বাড়িতে বসে টিভি সিরিয়াল দেখেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোললেন বেগম জিয়া এখন বিস্মৃত। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আর দফতর সম্পাদক রিজভী আহমদ হুঙ্কার দিয়েছেন এবার যদি তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয় তা হলে তারা দেখে নেবেন। এমন ফাঁকা হুঙ্কার সুষ্ঠু রাজনীতির পরিচয় বহন করে না । পারবে কি আগামী নির্বচনের আগে বিএনপি সুষ্ঠু রাজনীতি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে? এই মুহূর্তে তেমন আলামত দেখা যাচ্ছে না ।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক ।

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ