X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

এদেশ কি জানে না সন্ত্রাসী কারা?

মাসুদা ভাট্টি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:১৭আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১২:২৩

মাসুদা ভাট্টি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নানা জনের নানা মত। কেউ বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের চরম উত্থান ঘটেছে। কেউ বলেন, এদেশে সন্ত্রাস আসলে কাল্পনিক-বাস্তবতা, এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। অনেকেই সরকারি দল আওয়ামী লীগের দিকে আঙুল তোলেন এই বলে যে, দলটি বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাস আক্রান্ত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে এবং পশ্চিমাদের মনোযোগ ও সহযোগিতা পাওয়ার লোভেই কাজটি করছে।
বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত বার বার আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা সম্পর্কে এই অভিযোগ করছে যে, শেখ হাসিনা আগুন নিয়ে খেলছেন, তিনি বাংলাদেশে সন্ত্রাসী রয়েছে বলে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে বাংলাদেশকে ইরাক বা আফগানিস্তান বানাতে চান। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশে যখন প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছিল (যদিও এর আগেই অর্থাৎ আওয়ামী লীগ শাসনামলেই উদীচী হামলা, রমনা বটমূলে হামলা, ময়মনসিংহের সিনেমা হলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গেছে) তখন বিএনপি-জামায়াতের মূল নেতৃত্ব যেমন আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বা বাণিজ্যমন্ত্রী রাজাকার মতিউর রহমান নিজামী খুব জোর দিয়েই বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ আসলে মিডিয়ার সৃষ্টি। তখন বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ও ফার ইস্টার্ন ইকনোমিক রিভিউ বাংলাদেশকে ‘কোকুন অব টেরর’ বা সন্ত্রাসবাদের জঠর বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের ভেতরকার সাংবাদিক যেমন সালিম সামাদ, প্রিসিলা রাজ; বুদ্ধিজীবীদের যেমন- মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির এবং রাজনীতিবিদ যেমন সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়, যাদেরকে জেলের ভেতর নির্যাতনও করা হয়। এমনকি বিদেশি সাংবাদিক জাইবা মালিক ও ইতালীয় সাংবাদিক ব্রুনো সরেনতিনোকেও গ্রেফতার করা হয়, সে সময় জেলখানায় গিয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রী তাদেরকে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন, মানে আওয়ামী লীগই তাদেরকে বাংলাদেশে এনেছে সন্ত্রাসী খোঁজার জন্য সেকথা বলার জন্য চাপ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে, বিএনপি-জামায়াত জোট একেবারে শুরু থেকেই হয় বাংলাদেশে সন্ত্রাস নেই, নয়তো সন্ত্রাসবাদ আওয়ামী লীগের সৃষ্টি- একথাই জোর দিয়ে বলে আসছে।

কিন্তু বাংলাদেশের গত দশ বছরের ইতিহাসে বার বার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, বাংলাদেশ আসলে সন্ত্রাসবাদের দানবের হাতে চরম ভাবে আক্রান্ত। হলি আর্টিজান বা শোলাকিয়া ঈদগায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ রক্তপাতের পর একথা যারা অস্বীকার করেন তারা হয় মিথ্যে বলেন না হয় তারা নিজেরা এর সঙ্গে জড়িত বলেই নিজেদের বাঁচানোর জন্য আগে ভাবেই অস্বীকার করেন। কিন্তু আমাদের মতো অনেকেই গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের উত্থান নিয়ে বহু কালি খরচ করেছেন এবং সেটা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এই সন্ত্রাসের দানবকে প্রতিহত করার জন্য। কিন্তু প্রতিকারের প্রতি সরকারের নজরদারি কম বলেও অভিযোগ ক্রমশ স্থায়ীত্ব পাচ্ছে। যদিও আজকে এ প্রসঙ্গটি আলোচনায় আনতে চাইছি না। কারণ, বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে কানাডার একটি আদালতের রায়ে নতুন করে সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে গত কয়েকদিন যাবত এবং আদালত স্পষ্ট করেই বলছে যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অতীতেও সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে (নতুনদেশ, টরেন্টো, কানডা)।

নিঃসন্দেহে অভিযোগটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং যে কোনও দেশের রাজনৈতিক দলের জন্যই অত্যন্ত অপমানকর। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের চেয়েও অভিযোগটি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম দেশের জন্য বেশি অপমানকর এ কারণে যে, বিএনপি নামক দলটির সঙ্গেই বাংলাদেশ নামটি জড়িত রয়েছে। যদিও বিএনপি তাদের স্বভাবসুলভ পাগলামো থেকে এই রায়ের জন্যও আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে। খুবই হাস্যকর ভাবে বলছে যে, যেহেতু আদালতের দেওয়া রায়ের সংবাদটি বাংলাদেশে ‘ব্রেক’ করেছেন শওগাত আলী সাগর এবং সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেহেতু কানাডার আদালতকে দিয়ে আওয়ামী লীগই বিএনপি’র বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে।

হাস্যকর কিন্তু বিএনপি’র মতো দল সম্পর্কেতো আগেই বলেছি যে, দলটি এখনও বালির ভেতর মুখ গুঁজে মনে করছে যে, এদেশে সন্ত্রাসবাদ নেই, অথচ একটি বিদেশি আদালতের রায়ে তারা নিজেরাই এখন সন্ত্রাসের দায়ে অভিযুক্ত।

আজকের অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে কোনও দেশের আদালতের রায়ের কপি পেতে বড় কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। যে কেউ চাইলেই সেটা পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শওগাত আলী সাগরের মতো একজন নিষ্ঠ সাংবাদিক দীর্ঘদিন যাবত কানাডায় ‘নতুনদেশ’ নামে একটি অনলাইন পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং তিনি প্রায়ই চমকে দেন বিভিন্ন ব্রেকিং নিউজ দিয়ে। যেমন- পদ্মাসেতু ইস্যুতে কানাডার আদালত যে বিচার প্রক্রিয়া চলছিল তা মূলত বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনিই। সেভাবেই তিনি বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মোহাম্মদ জুয়েল হোসেন গাজী কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হওয়া এবং তাকে কেন্দ্র করে কানাডার আদালত যে রায় দিয়েছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের। এখন যে কেউ চাইলেই এই রায়ের কপি আনাতে পারেন এবং বিশ্লেষণ করতে পারেন। এই রায়ে বাংলাদেশের রাজনীতি, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিয়ে বহুবিধ বিশ্লেষণ লক্ষ্য করা যায়।

যেহেতু লেখাটি বড় হয়ে যাবে সেহেতু বিস্তারিত যাচ্ছি না কিন্তু জুয়েল হোসেন গাজীর বক্তব্যের দিকে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। জুয়েল স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মী হিসেবে স্পষ্টই বলেছেন যে, তার মূল দল বিএনপি তাকে বার বার ‘অগ্নি সংযোগে’, ‘বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর’ এবং ‘নাশকতামূলক কাজের জন্য’ নির্দেশ দিয়েছে। যখনই বিএনপি’র পক্ষ থেকে এরকম নেতিবাচক নির্দেশনা দেওয়া হতো তখনই জুয়েল আত্মগোপন করতেন, যাতে পুলিশের হাতে তাকে ধরা পড়তে না হয়। আমরা জানি যে, ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাস এ দেশের সাধারণ মানুষ কী পরিমাণ দুর্ভোগের ভেতর দিয়ে পার করেছে। অন্তত দেড় শত মানুষ তখন দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী তৎপরতায় মৃত্যুবরণ করেন। আহতের তালিকা দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক। জুয়েল গাজী কানাডার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এসব সন্ত্রাসী তৎপরতায় যুক্ত ছিল না বলে সাক্ষ্য দিলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ প্রথমে সেটা মেনে নিয়েছিল এবং তাকে কানাডায় বসবাসের প্রাথমিক সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু এই প্রশ্নটি স্বাভাবিক ভাবেই উঠে আসে যে, যে রাজনৈতিক কর্মীটি এরকম সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিল, পৃথিবীতে এমন কোনও রাষ্ট্র কি আছে যে রাষ্ট্র একে অপরাধ বলে মনে করে না? কিংবা জুয়েল গাজীর মতো সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত থাকার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না? ধারণা করা যায় যে, এসব প্রশ্ন থেকেই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার কানাডায় পাকাপাকিভাবে বসবাসের আবেদনকে প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে জুয়েল গাজী আদালতের দ্বারস্থ হন ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। আদালত তার আপিলকে খারিজই কেবল করেন না বরং তার মূল রাজনৈতিক দল অর্থাৎ বিএনপি’কে একটি সন্ত্রাসনির্ভর রাজনৈতিক দল হিসেবে রায় দেয়। আগেই বলেছি যে, আদালত বলেছে, দলটি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ছিল, আছে এবং থাকবে। এমনকি যতোক্ষণ পর্যন্ত না বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বাসের ভেতর আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে আদালতে, সে পর্যন্ত দলটি দেশের ভেতর চলা ভয়ঙ্কর আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনও প্রকার বিবৃতিও দেয়নি বলে কানাডার আদালতের রায়ে বলা হয়েছে। যদিও কানাডার আদালত একথাটি বলেনি যে, সে পর্যন্ত বিএনপি’র কোনও উচ্চ পর্যায়ের নেতা সে অপরাধ স্বীকার করাতো দূরের কথা, নিন্দা জানানোর ধারও ধারেনি বরং উল্টো এর জন্য সরকারকেই দায়ী করেছে। যেমনটি করেছিল ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর জনসভায় গ্রেনেড হামলার সময়, এমনও বলা হয়েছে যে, শেখ হাসিনা নাকি তার ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড বহন করে নিয়ে গিয়েছিলেন; সাজানো হয়েছিল জজ মিয়া নাটক।

শুরুতেই বলেছি যে, এদেশের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তাদের অভিযোগের তীর মূলত আওয়ামী লীগের দিকেই, এমনকি এই সেদিনও কল্যাণপুরে বা আশকোনায় যখন জঙ্গিদের ঘেরাও দিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব কাজ করছিলো তাকেও বিএনপি মহাসচিব সরকারের ‘জঙ্গিদমন নাটক’ বলে অভিহিত করেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজেও তার সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তৃতায় বলেছেন যে, সরকারের হাতে কিছু মানুষ ধরা থাকে, সময়-সুযোগ পেলে তাদেরকে জঙ্গি বলে পুলিশ বা র‌্যাব নাকি সাংবাদিক সম্মেলন করে। বিএনপি’র প্রথম সারির নেতাদের এসব বক্তব্য কিন্তু কানাডার আদালতের দেওয়া রায়ের বক্তব্যকে নিদারুণ ভাবে সমর্থন করে।
প্রশ্ন হলো, কানাডার আদালত বলেছে বলেই কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল? আমি ব্যক্তিগতভাবে সেকথা মনে করি না। কিন্তু কানাডার আদালতের পর্যবেক্ষণকে আমরা অস্বীকারও করতে পারি না। কারণ, একথা আমরা বহুদিন ধরেই বলে আসছি যে, এদেশে সন্ত্রাসবাদের যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তার উদ্বোধন হয়েছিল আসলে বিএনপি-জামায়াতের হাত ধরে এবং পরবর্তীকালে হত্যাকারীদের সকল প্রকার আশ্রয়-প্রশ্রয়-চাকরি দিয়েছিল বিএনপি এবং আইন করে হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছিল। তারও আগে ১৯৭১ সালে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়াও বন্ধ করেছিল জেনারেল জিয়া এবঙ যুদ্ধাপরাধীদের এদেশে ফিরিয়ে এনে রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের তকমায়। তালিকা দীর্ঘ না করেও বলা যায় যে, এসবই আসলে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার, সন্ত্রাসবাদে জড়িত হওয়ার, সন্ত্রাসী তৎপরতার যুক্তিযুক্ত প্রমাণ, যা এদেশের প্রতিটি দুধের বালকও জানে। আর রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কথা যতো কম বলা যায় ততোই মঙ্গলকর, কারণ তাতে এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমটির উলঙ্গ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
সুতরাং, একথা আর নতুন করে কানাডার আদালতের রায় থেকে ধার করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না যে, বিএনপি-জামায়াত একটি উগ্র সন্ত্রাসী রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, কেউ এর বিপক্ষে কোনও যুক্তি দেওয়ার মতো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। হ্যাঁ, কেউ কেউ আওয়ামী লীগকেও সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণ করতে চাইবেন, কানাডার আদালতের রায়েও একথা বলার চেষ্টা হয়েছে বলে কেউ কেউ মিঁউ মিঁউ করছেন, কিন্তু তাতে বিএনপি’র সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ খণ্ডায় না, বরং আরো উচ্চকিত হয়।

লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক।

[email protected]

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।

বাংলা ট্রিবিউনের সর্বশেষ
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
মাদারীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লিভারপুল, সেমিফাইনালে আটালান্টা
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা   
ইরানের ওপর কোনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি: ইরানি কর্মকর্তা  
সর্বশেষসর্বাধিক

লাইভ